বিটিএমসির মিলের সংখ্যা শূন্য!



ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: একটা সময় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) আওতায় ২৪ টি মিল চললেও এখন তার সংখ্যা শূন্য। ২৪টি মিলের মধ্যে ১৬টি বন্ধ ও ৮টি মিল বেসরকারি মালিকানায় লিজ দেওয়া হয়েছে। বছরের পর বছর বিটিএমসির লোকসান বেড়ে হাজার কোটি টাকার বেশি হওয়ায় বিটিএমসি‘র এমন হাল।

২০১৭ সালের অক্টোবরে বিটিএমসির ৮ কারখানাকে বেসরকারি খাতে লিজ দেয় কর্তৃপক্ষ। তৎকালীন বিটিএমসির দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান পি এস এম শহীদুল হারুন বার্তা২৪.কমকে বলেন,  আমরা নানাভাবেই বিটিএমসিকে লাভজনক করার চেষ্টা করেছি। তবে তা করা যাচ্ছিলো না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সহসাই তা করাও সম্ভব নয়। ফলে লোকসান বেড়েই চলছিলো। অবশেষে যেসব মিল চলমান ছিলো সেগুলো ভাড়ায় দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করি। এ প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ৮ কারখানা ভাড়া দেওয়া হয়। এতে ব্যয় কমে আসে। তাই চলতি অর্থবছর ২০১৭-১৮ শেষে লোকসান কমে আসবে বলে আশা করছি।

অন্যদিকে, আগামীতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপে ২টি মিল চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিটিএমসির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ সালাম।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিটিএমসিকে নিয়ে আমাদের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে।  একসময় বিটিএমসির আওতায় থাকা মিলগুলোতে কয়েক লক্ষ শ্রমিক কাজ করত। বিটিএমসির সেই দিন ফিরিয়ে আনতে চাই। তাই সামনেই পিপিপি’র (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে) মাধ্যমে ২টি কারখানা চালু করা হবে, কাজও চলছে। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে টেন্ডার দিতে পারবো।

গত বছরের জুনের ১৪ তারিখে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাথে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদনা চুক্তি হয়। সেই চুক্তির আওতায়ই বিটিএমসির লোকসান কমাতে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভাড়ায় কারখানা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কিন্তু বছরের পর বছর ধরে বিটিএমসিকে লোকসান গুণতে হলো; তা নিয়ে নানা মত সংস্থাটির কর্মকর্তাদের। তবে বেশিরভাগ কর্মকর্তা মনে করেন, জনবল সংকট ও অব্যবস্থাপনার কারণেই এমন লোকসান গুণতে হয়েছে।

বিটিএমসি থেকে জানা যায়, সংস্থাটির অনুমোদিতে পদের মধ্যে ৪২ শতাংশ পদই শূন্য। বিটিএমসির সর্বশেষ মাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থাটিতে নিজস্ব অর্থায়নে অনুমোদিত পদের সংখ্যা রয়েছে ৩০৭টি। এর মধ্যে ১৩০টি পদে লোক রয়েছে। বাকী ১৭৭টি শূন্য। সে হিসাবে বিটিএমসিতে ৪২ শতাংশ পদই শূন্য।

বিটিএমসি থেকে পাওয়া তথ্য অুনযায়ী, সরকারি এই সংস্থাটিতে প্রথম শ্রেনীর পদ শূন্য রয়েছে ৪২ টি, দ্বিতীয় শ্রেনীর পদ শূন্য রয়েছে ১৫টি, তৃতীয় শ্রেনীর শূন্য পদের সংখ্যা ১০৫টি ও ৪র্থ শ্রেনীর পদ শূন্য রয়েছে ১৫টি।

 

   

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংকের আলোচনা অনুষ্ঠান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, এফসিএ, ডিরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জয়নাল আবেদীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্যসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল করিম, সৈয়দ আবু আসাদ, মোঃ কামরুল হাসান, প্রফেসর ড. মোঃ ফসিউল আলম, খুরশীদ-উল-আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বোরহান উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিফতাহ উদ্দীনসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান ও উপশাখার ইনচার্জগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের নিট মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিটি ব্যাংক তাদের ২০২৩ সালের সমন্বিত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বহিঃনিরীক্ষকের অনাপত্তি-পত্রের ভিত্তিতে ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যাংকটি ২০২৩ সালের জন্য ৬৩৮ কোটি টাকার কর পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা ঘোষণা করে। ২০২২ সালের ৪৭৮ কোটি টাকার বিপরীতে এই মুনাফা ৩৩.৫% বাড়লো।

পর্ষদ সভায় এই মুনাফার ওপরে ১৫% নগদ লভ্যাংশ ও ১০% বোনাস লভ্যাংশও প্রস্তাবিত হয়, যা ব্যাংকের আগামী ৩০ মে তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হবে।

এই আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে ডলার সংকটের কারণে সিটি ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ থেকে আয় তার আগের বছর থেকে ৭৪% কমে গেলেও ব্যাংকের আমানত ব্যয় হ্রাস পাওয়া, ভাল ঋণের প্রবৃদ্ধি হওয়া, ঋণ থেকে প্রাপ্ত মুনাফার হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়া এবং সরকারি ট্রেজারি বিল বা বন্ড থেকে মুনাফা কিছুটা বৃদ্ধির কারণে এই ব্যাংক গত বছর মোট ১,৩৯১ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করতে সমর্থ হয়, যা ২০২২ সালে ছিল ১,২৩৭ কোটি টাকা। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে সিটি ব্যাংক ঋণের বিপরীতে মোট ২৫৬ কোটি টাকার প্রভিশন সংস্থান বাবদ ব্যয় করেছে।

নিট মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা হওয়ার কারণে এ ব্যাংকের রিটার্ন অন ইকুয়িটি বা শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন পৌঁছালো ঈর্ষণীয় ১৭.৭ শতাংশে। ব্যাংকটির আয়ের উল্লেখযোগ্য দুটি দিক হলো, এর মোট আয়ের ২৬ শতাংশই এসেছে ফি, কমিশন ইত্যাদি থেকে; এবং এই আয়ের ৪০ শতাংশই এসেছে ব্যক্তি খাত থেকে (রিটেইল, কার্ড ও ক্ষুদ্র ঋণ)।

এই নিট মুনাফা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা, যা ২০২২ সালে ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে সিটি ব্যাংকের কার্যক্রম ও ক্রমোন্নতি, বিশেষ করে টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন, ডিজিটাল মাধ্যমে অগ্রগতি এবং রিটেইল ব্যাংকিং, কার্ডস ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের প্রসার আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে।

;

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভা এটি।

তিনি জানান, সভায় ১১ টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।

এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

;