দাম বাড়ছে যেসব পণ্যের
ঢাকা: ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দাম বাড়ছে সিগারেটসহ সিরামিক পণ্য, আমদানি মধু, গ্রিণ টি, চকলেট, এনার্জি ড্রিংক ও প্রসাধনী সামগ্রীর। আরও দাম বাড়ছে আমদানিকৃত চাল, শেভিং সাম্রগী ও ফিলামেন্ট বাল্বের।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুরে দিকে সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত এ বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করছেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে চাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে সব ধরণের চাল আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক ৩ শতাংশ প্রযোজ্য হবে। এতে চালের দাম বাড়বে। এনার্জি ড্রিংকের ওপর ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের স্থলে ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে দাম বাড়বে এনার্জি ড্রিংকের।
আরও দাম বাড়বে প্রসাধন সামগ্রী এবং ত্বক পরিচর্যা সামগ্রীর। শেভের সময় বা শেভের আগে বা পরে ব্যবহার্য সামগ্রী, শরীরের দুর্গন্ধ এবং ঘাম দূরীকরণে ব্যবহৃতসামগ্রী (আতর ব্যতীত), সুগন্ধযুক্ত বাথ সল্ট এবং অন্যান্য গোসল সামগ্রী, কক্ষের দুর্গন্ধ দূরীকরণে ব্যবহৃত অন্যান্য সুগন্ধি সামগ্রী (আগরবাতি এবং সমজাতীয়পণ্য ব্যতীত) ও সমজাতীয় অন্যান্য পণ্যের ব্যবহার সীমিত করার লক্ষ্যে সম্পূরক শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া সিগারেট পেপার ও বিড়ি পেপার এর উপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
দাম বাড়বে সিরামিকের বাথটাব ও জিকুজি, শাওয়ার, শাওয়ার ট্রে ওপর। এসবের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যুতের ব্যবহার হ্রাস করার লক্ষ্যে আলট্রা ভায়োলেট/ইনফ্রা-রেড ল্যাম্প ব্যতীত অন্যান্য ফিলামেন্ট ল্যাম্পের ব্যবহার কমানোর জন্য ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সকল ধরণের পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়ক সামগ্রীর দাম বাড়বে। এসবের ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।