ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো-মন্দের বাজেট
ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো-মন্দের বলে আখ্যায়িত করেছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশ (আইবিএফবি)।
ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট করের হার কমানো একটি গোষ্ঠির জন্য ভালো হলেও, তৈরি পোশাকখাতের করপোরেটর কর বৃদ্ধি পাওয়া ক্ষতিকর বলে মনে করে সংগঠনটি।
সোমবার (১১ জুন) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সংগঠনটির কার্যালয়ে বাজেটোত্তর প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করে ফোরামটি। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আইবিএফবির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান।
হাফিজুর রহমান বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে কেবলমাত্র ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে করপোরেট কর কমানোয় আইবিএফবি অত্যান্ত বিস্মিত হয়েছে। শুধুমাত্র আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট খাতকে সুবিধা না দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল খাতেই করপোরেট কর কমানো উচিৎ বলে আইবিএফবি মনে করে।”
তিনি বলেন, “তৈরী পোশাক খাতের করপোটে কর ১২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা পূর্বের হার অনুযায়ী নির্ধারণ করা উচিত। ব্যবসায়ী সমাজের বারংবার অনুরোধ ও তৎপরবর্তীতে আশ্বাস সত্ত্বেও করপোরেট কর হার কমানো হয়নি। যেসব শিল্পপণ্য এবং নিত্য ব্যবহার্য পণ্যসামগ্রী সাধারণ জনগণ ব্যবহার করে সে সমস্ত পণ্যসংশ্লিষ্ট খাতে করপোরেট কর না কমানো ক্ষতিকর মনে করে আইবিএফবি।”
প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার প্রত্যক্ষ করের তুলনায় পরোক্ষ করের উপর নির্ভরশীলতা দেখিয়েছে। যা পরোক্ষ কর বৃদ্ধিতে দেশের দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে প্রত্যক্ষ কর দেশের ধনী শ্রেনীর উপর করের পরিমান বৃদ্ধি করে। এ কারনে করদাতার আওতা বাড়লে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধিপাবে যা পরোক্ষ করের উপর সরকারের নির্ভরশীলতাকে কমিয়ে আনবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আইবিএফবি মনে করে, বাজেটের সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য খাতভিত্তিক পর্যাপ্ত বরাদ্দ, কৃষি ও উৎপাদন খাতের ভীত মজবুত করা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নে নজর বৃদ্ধি, আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলদেশ বিনির্মানে উপযুক্ত ব্যবসায়ের পরিবেশ সৃষ্টি ও বেসরকারী খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বরাদ্দ, বাজেটে বিকেন্দ্রীকরণ এবং সব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করাই ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের বিশেস প্রতিপাদ্য হওয়া প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সহ-সভাপতি হুমাউন রশিদ, মো. ওমর সাফায়াত কাউসার, পরিচালক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ আলী দ্বীন, এমএস সিদ্দিকি, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান।