মৌলিক চাহিদা পূরণে ইউএস-বাংলা গ্রুপ, লক্ষ্য গ্রাহকদের সন্তুষ্টি



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা গ্রুপ। ইতিমধ্যে ইউএস-বাংলা বাংলাদেশে বহুমাত্রিক ব্যবসায়িক গ্রুপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ইউএস-বাংলা’র মিশন কিংবা ভিশন বলতে অধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশের জনগনের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

ইউএস-বাংলা গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছে নয় বছর পূর্বে। সময়ের হিসেবে ব্যবসার পরিধি বেড়ে চলেছে জ্যামিতিক হারে, যা বাংলাদেশে অনেকটাই বিরল। আবাসন সংকট নিরসনে ইউএস-বাংলা গড়ে তুলেছে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। এটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরে অবস্থিত।

এখানে রয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়,হাসপাতাল, খোলা মাঠ। সবুজে ঘেরা একটি আধুনিক শহরের রূপ নিবে এই আমেরিকান সিটি। পূর্বাচল আমেরিকান সিটি প্রকল্পে থাকছে গ্রীণ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল,স্পোর্টস কমপ্লেক্স, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, মডার্ন শপিং কমপ্লেক্স এবং স্বনাম ধন্য আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর হেড কোয়ার্টারসহ নানাবিধ প্রতিষ্ঠান।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা গ্রুপের একটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স। ১৭ জুলাই ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক এভিয়েশন ব্যবসায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করেছিল ৭৬ আসন বিশিষ্ট দু’টি কানাডার বোম্বারডিয়ার তৈরী ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়েঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে।

বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল, রাজশাহী রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সাফল্যের পর ইউএস-বাংলা যাত্রা শুরুর দু’বছরের মধ্যে ১৫ মে ২০১৬ সালে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মধ্যেমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে কলকাতা,মাস্কাট, দোহা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।

ইউএস-বাংলার বিমান বহরে চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন “ব্লু স্কাই”। বর্তমানে সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ৩০০টির অধিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়। চারবছরে প্রায় ৪০ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছে, যা বাংলাদেশের এভিয়েশনের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। ৯৮.৭ শতাংশ অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড নিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে মোট যাত্রী সংখ্যার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন করছে ইউএস-বাংলা।

ইউএস-বাংলার টিকেট সংগ্রহ করার জন্য রয়েছে অন-লাইন বুকিং সুবিধা। রয়েছে হোম ডেলিভারী সুবিধাও। সারাদেশে নিজস্ব ৩০টি সেলস্ অফিস। এছাড়া কাঠমান্ডু, কলকাতা, মাস্কাট, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, দোহা, গুয়াংজু, কানাডা,নিউইয়র্ক এ নিজস্ব সেলস্ অফিস। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য রয়েছে “স্কাইস্টার” প্যাকেজ। যার মাধ্যমে শুধু টিকেট ক্রয়েই সুবিধা পাবে না বরং যাত্রীরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট সুবিধাও পেয়ে থাকে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যাত্রীদেরকে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা, যা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এভিয়েশন শিল্পে। সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আন্তর্জাতিক রুটের বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য রয়েছে পিক-ড্রপ সার্ভিস, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরনের পর ১৫ মিনিটে ল্যাগেজ ডেলিভারী, ওয়েজ আর্নার্সদের জন্য বিমানবন্দরে প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ২০ শতাংশ মূল্যছাড়, সামরিকবাহিনীর কর্মকর্তা ও গলফারদের রয়েছে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়সহ আরো নানাবিধ যাত্রী সুবিধা।

ভাইব্রেন্ট ব্র্যান্ড নিয়ে ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা ফুটওয়্যার লিমিটেড আত্মপ্রকাশ করেছে। ফ্যাশন সচেতন গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী দেশের মানুষের আধুনিক ও মননশীল চিন্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই ভাইব্রেন্ট কাজ করছে। ভাইব্রেন্ট প্রডাক্টের মান ও দামের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রেখে গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রাথমিকভাবে প্রায় ৭০০ মডেলের পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য নিত্য নতুন জুতার কালেকশন রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকার মৌচাক, গুলশান ও রামপুরা এবং চট্টগ্রামের হালিশহরে ভাইব্রেন্টের কার্যক্রম শুরু করেছে। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রায় ১০ টি আউটলেটে কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে প্রত্যেকটি আউটলেটেই ক্যাশ ক্রয় ছাড়াও ভিসা ও মাস্টার কার্ড গ্রহণ করা হবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস ইউএসবি এক্সপ্রেস, যা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবাপ্রদানকারী কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ইউএসবি এক্সপ্রেস এর মূল ভিত্তি হচ্ছে আপনার পণ্যের যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান, টেকনোলজিক্যালি পণ্যের অবস্থান নিশ্চিতকরণ, দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যে পণ্য পৌঁছানো।
ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। মেধা, ছাত্রী, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, মুক্তিযোদ্ধা ও খেলোয়াড় কোটায় ভর্তিচ্ছুকরা সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপে ভর্তি হতে পারছেন। এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেও পাচ্ছেন বিশেষ ছাড়। 

গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর ও মাস্টার্স পর্যায়ের প্রোগামগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিবিএ, এমবিএ, ইএমবিএ, এলএলবি, এলএলএম, সমাজবিজ্ঞান, সিএসই, ইইই, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংলিশ এবং ফিল্ম, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির যাত্রা ২০০৩ সালে। বর্তমানে মিরপুর শেওড়াপাড়ায় মোট তিনটি ভবনে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যা শীঘ্রই পূর্বাচল আমেরিকান সিটিস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে যাবে।

ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হাডারস্ফিল্ড, চীনের বেইজিং ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল ইউনিভার্সিটি (বিএলসিইউ) এবং উহান টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এমওইউ ছাড়াও ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গ্রিন ইউনিভার্সিটির যোগাযোগ রয়েছে।
অর্জন করেছে বিশ্বের বিখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ ইন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের সদস্য পদ। জাপান যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ভাষার ওপর ‘নাট-টেস্ট’ পরীক্ষা বাংলাদেশে একমাত্র গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হয়। এর বাইরেও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার সঙ্গে যৌথ গবেষণার চুক্তি রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৮৩জন শিক্ষক পাঠদান করছেন। যেখানে অধ্যাপক ১২জন, সহযোগী অধ্যাপক ৯জন, সহকারী অধ্যাপক ২৭জন এবং ১১৩জন লেকচারারসহ বেশ কিছু খ-কালীন শিক্ষক রয়েছেন। সুবিশাল গ্রন্থাগারে রয়েছে প্রায় ২০হাজার বই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্তত ১০টি গবেষণা প্রজেক্ট পরিচালিত হচ্ছে।

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান বাড়ানোর জন্য “ইন্টারনাল কোয়ালিটি এ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি)” চালু আছে। এই সেলের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রমের কোর্স প্রণয়ন, শিক্ষাদানে নতুনত্ব আনা, দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান, তাদের খেলাধুলার সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ নানা ধরনের কাজ করছে।

বর্তমানে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে রয়েছে ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নয়া দিল্লী ভিত্তিক “এস্ট্রোন হসপিটাল এন্ড হেলথ্ কেয়ার কনসালট্যান্টস (প্রাঃ) লিমিটেড” আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, ঠিক সেই ধরনের ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্বাচলে হসপিটালের অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ইউএস-বাংলা লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ সম্পূর্ণ রপ্তানীমূখী একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর শেষ প্রান্তিকে ইউএস-বাংলা হাইটেক আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। যেখানে নানাধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশীয় চাহিদা পূরণের পর বিদেশেও রপ্তানীর পরিকল্পনা আছে।

ইউএস-বাংলা গ্রুপের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সর্বোচ্চ কাস্টমার সন্তুষ্টি, কর্পোরেট সংস্কৃতি মেনে চলা, সর্বোপরি একটি সুনিয়ন্ত্রিত টীম গঠন করা, যা দিয়ে আর্থ ও সামাজিকভাবে এগিয়ে চলেছে। ইউএস-বাংলা গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলি কোয়ালিটি সিস্টেমের ক্ষেত্রে আইএসও ৯০০১:২০০৮ দ্বারা সার্টিফাইড।

ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠানগুলোর হলো- ইউএস-বাংলা এসেটস্, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউএসবি এক্সপ্রেস, ইউএস-বাংলা লেদারইন্ডাস্ট্রিজ, ইউএস-বাংলা ফুটওয়্যার, ইউএস-বাংলা হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউএস-বাংলা অটোমোবাইলস্, ইউএস-বাংলা ফুডস্,ইউএস-বাংলা ফ্যাশনসহ আরো নানাবিধ প্রতিষ্ঠান।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;