কেলেঙ্কারির হোতারা এমএল ডায়িং আইপিওতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: শেয়ার বাজারে সিকিউরিটিজ আইন লংঘন করা কেলেঙ্কারির হোতারা এমএল ডায়িংয়ের পর্ষদে থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে। এমন একটি কোম্পানি বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন পাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ফার গ্রুপের (এফএআর) একটি প্রতিষ্ঠান এমএল ডায়িং লিমিটেড। একই গ্রুপের আরও দুটি প্রতিষ্ঠান বাজারে তালিকাভুক্ত। একটি আরএন স্পিনিং অপরটি ফার কেমিক্যাল। দুটি প্রতিষ্ঠানের এবং পর্ষদের অনিয়ম প্রমাণ পাওয়ায় কোম্পানি ও পরিচালকদের জরিমানা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এর মধ্যে আরএন স্পিনিং মিলের রাইট শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমানে পরিচালক এবং ফার গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ফারুক কে (এমএল ডায়িংয়ের উদ্যোক্তা পরিচালক) অপসারণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ৪৬৪ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত দেয় কমিশন। শুধু তাই নয় রাইট শেয়ার ইস্যু সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের কারণে ওই কোম্পানির (আরএন স্পিনিং) সচিব কেও অপসারণ করা হয়।

একই সঙ্গে ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের সেকশন ২২ অনুসারে কোম্পানিকে ১০ লাখ, পরিচালক শিরিন ফারুক (এমএল ডায়িং এর উদ্যোক্তা পরিচালক)কে ২৫ লাখ এবং অন্যান্য পরিচালককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালতের মাধ্যমে তা সুরাহা হয়।

অপরদিকে ফার কেমিক্যালের আইপিও অনুমোদনের পর নানা অসত্য তথ্য কমিশনে দাখিল করার প্রমাণ পায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এ কারণে ৫২৬ তম কমিশন সভায় প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করে বিএসইসি। আর এসব অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির হোতারাই এম এল ডায়িং এর সঙ্গে জড়িত। তারাই এমএল ডায়িংয়ের উদ্যোক্তা পরিচালক। আর এসব কেলেঙ্কারিরা হোতারা সদ্য অনুমোদন পাওয়া আইপিও এমএল ডায়িংয়ে জড়িত থাকার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এ সম্পর্কে এমএল ডায়িংয়ের কোম্পানি সচিব একেএম আতিকুর রহমান বার্তা২৪.কম কে বলেন, গ্রুপের অন্য কোম্পানিতে অনিয়ম হলেও এটাতে হবে তেমনটি নয়। তাছাড়া অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তারা এমএল ডায়িংয়ের শুরু থেকে থাকলেও বর্তমানে নেই।

তবে কোম্পানির এই কর্মকর্তা উদ্যোক্তা পরিচালকরা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নেই বললেও এমএল ডায়িং আইপিও প্রসপেক্টাসের ৪১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, এমএল ডায়িংয়ের প্রি-আইপিওতে উদ্যোক্তা পরিচালক আব্দুল কাদের ফারুক এবং শিরিন ফারুক এর প্রত্যেকের ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে। তাছাড়া পোস্ট-আইপিওতে তাদের প্রত্যেকের শেয়ার ধারনের পরিমাণ দাড়াবে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এদিকে, এমএল ডায়িংয়ের চেয়ারম্যান ফাইয়াজ কাদের। তার ব্যবসার অভিজ্ঞতা মাত্র ৩ বছর। আর তিন বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান কতটুকু ব্যবসা সফল হবেন এবং বিনিয়োগকারীরা কতটুকু লাভবান হবে তা নিয়েও শেয়ার বাজারে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এসব বিতর্কিত কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদন না দেয়ার দাবী জানান বিনিয়োগকারীরা। 

প্রসপেক্টাসে দেয়া আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কোম্পানির গত পাচ বছরের করপরবর্তী মুনাফা বেশ তারতম্য রয়েছে। তাছাড়া আলোচিত সময়ের শেয়ার প্রতি আয়ে(ইপিএস) কমে এসেছে। একই সঙ্গে কোম্পানির পণ্য বিক্রিও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া নগদ অর্থ প্রবাহে নেতিবাচক দিক লক্ষ্য করা গেছে। কোম্পানির শুরু পর থেকে এ পর্যন্ত লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাসও নেই। এসব কারণে কোম্পানিটি ভবিষ্যতে ঝুঁকিপূর্ণ বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

তথ্যমতে, এমএল ডায়িং ২০১৩ সালে করপরবর্তী মুনাফা করেছে ৬৮ কোটি টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪ টাকা ৮৫ পয়সা। পরবর্তী সময়ে কোম্পানির মুনাফা এবং ইপিএস ধারাবাহিক ভাবে কমেছে। ২০১৬ সালে কোম্পানির করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা।অর্থাৎ করপরবর্তী মুনাফা এবং ইপিএসে বড় হোচট খেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে আইপিওতে আসার আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন কোম্পানির করপরবর্তী মুনাফা সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং ইপিএস ১ টাকা ৫৮ পয়সা।অর্থাৎ পাচ বছরের মধ্যে চারবছরই করপরবর্তী মুনাফা এবং ইপিএস ধারাবাহিক ভাবে কমেছে। কোম্পানির পণ্য বিক্রি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হওয়ায় মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।তাছাড়া কোম্পানির নগদ অর্থের প্রবাহও (ক্যাশ ফ্লো)নেগেটিভ। এসব কারণে কোম্পানিটির ভবিষ্যত ঝুকিপূর্ণ বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, একটি কোম্পানি পাচ বছরের মধ্যে চার বছর যেখানে ধারাবাহিকভাবে মুনাফা কমেছে সেখানে কিভাবে এক বছরে ভালো কিছু করবে। তাছাড়া সামনে নির্বাচনী বছর। অতীতে জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরে ব্যবসা অন্যান্য সময়ের তুলনায় মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করতে দেখা গেছে। এতে পুরো মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একই সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠানে নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। সব মিলিয়ে কোম্পানিটি একটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

উল্লেখ্য, এমএল ডায়িংকে শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসি। সে অনুযায়ী গত ৮ জুলাই থেকে কোম্পানির অর্থ সংগ্রহ করতে আবেদন শুরু হয়েছে, যা ১৯ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বর্তমান বাজারে যেসব আইপিও আসছে তাদের বেশির ভাগই মন্দাবস্থা।আর এসব দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ায় দিন দিন ভালো শেয়ারের অভাব বাড়ছে। এতে বাজার দীর্ঘ মেয়াদী অস্থিরতায় সহায়তা করবে। আর তাই ভালো কোম্পানির আইপিও বাজারে আসার অনুমোদন দেয়ার জন্য নিয়ন্ত্রন সংস্থা বিএসইসির নিকট দাবী জানায় তারা। 

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;