মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ভুয়া পরিচয়ে চাকরি, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশে চাকরি গ্রহণের মামলায় পুলিশের কনস্টেবল আবদুল মালেককে আগাম জামিন দেয়নি হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) আবদুল মালেক বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেন।
আদালত আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে, এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা।
মামলার অভিযোগে দেখা যায়. ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল আবদুল মালেক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেয়। চাকরি গ্রহণের সময় তিনি ১৯৯৮ সনে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর এ এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে এসএসসি পাশের কথা উল্লেখ করেন। আবেদনপত্রের সাথে পিতা হিসেবে মো. আবদুর রাজ্জাকের মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র দাখিল করেন তিনি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, তিনি এসএসসি পাশ করেননি। এছাড়া তার পিতার নাম মো. আবদুস সাত্তার।
জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটন হওয়ার পর দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গত ৫ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।