সংগীতশিল্পী আসিফের মামলার প্রতিবেদন ২১ জানুয়ারি
সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে গীতিকার-সুরকার শফিক তুহিনের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলার প্রতিবেদনের জন্য আগামি ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সেমবার (১৭ ডিসেম্বর) মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইসমাত আরা প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।
আসিফ এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন না। তার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
চলতি বছরের ৪ জুন সন্ধ্যায় শফিক তুহিন আইসিটি আইনে আসিফের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
এতে আসিফ ছাড়াও আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার ২ দিনপর ৬ জুন দিনগত রাতে রাজধানীর মগবাজারে আসিফ আকবরের স্টুডিও থেকে আসিফকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
মামলার এজাহারে শফিক তুহিন উল্লেখ করেন, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেলটোয়েন্টিফোরে সার্চলাইট নামক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাদি জানতে পারেন, আসিফ আকবর ও তার সহকারীরা তার অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছে। এর মধ্যে এইতো জীবন/বেদনাতে নীল/ অভিমানী/স্বার্থপর/কাঁদলাম আমি (শফিক তুহিন) কাঁদলামসহ প্রায় শতাধিক।
পরে বাদি জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে।
এজাহারে তিনি আরও বলেন, পরে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে বাদি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ৯ টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইক সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে বাদির বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।
ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করার কথা বলার পাশাপশি ভক্তদের যেখানে বাদিকে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে আসিফ আদালতে এসব কথা অস্বীকার করেন।