বুয়েটের ১৯ শিক্ষকের পেনশন দিতে আদালতের রায় বহাল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
হাইকোর্ট

হাইকোর্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক তিন উপাচার্যসহ অবসরপ্রাপ্ত ১৯ শিক্ষককে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী  অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) ও পেনশন সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে করা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও বুয়েট কর্তৃপক্ষের রিভিউ আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও তবারক হোসাইন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার উর্মি রহমান। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ।

পরে ব্যারিস্টার উর্মি রহমান বলেন, আদালতের আজকের আদেশের ফলে রিট আবেদনকারীদের মধ্যে সাবেক দুই উপাচার্য ড. মো. মনোয়ারুল ইসলাম ও প্রফেসর সাহেদা রহমান এবং অপর ৫ শিক্ষক ড. মো. মোহর আলী, ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরী, ড. মো. কামরুল ইসলাম, ড. এম এম শাহিদুল হাসান ও ড. মো. কামরুল আহসান কেবল পেনশন সুবিধা পাবেন।

এছাড়া সাবেক উপাচার্য ড. মো. মাজহারুল হক এবং ১১শিক্ষক ড. মো. মীরজাহান মিয়া, ড. আমিনুল হক, ড. মো. ইমতিয়াজ হোসেন, ড. সারওয়ার জাহান, ড. শহিদুল ইসলাম খান, ড. মো. ওবায়েদ উল্লাহ, ড. মো.জয়নুল আবেদিন, ড. মো. আব্দুর রউফ, ড. মো. রিফায়েত উল্লাহ, ড. নিলুফার ফরহাত হোসাইন ও ড. নজরুল ইসলাম পিআরএল ও পেনশন সুবিধা পাবেন।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে অবসরে যাওয়া বুয়েটের ১৯ শিক্ষক পিআরএল ও পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় হাইকোর্টে পৃথক তিনটি রিট আবেদন করেন। ওসব রিট আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায় অনুসারে বুয়েটের সাবেক ৭ শিক্ষককে শুধু পেনশন সুবিধা এবং ১২ জন শিক্ষককে পিআরএল ও পেনশন সুবিধা দিতে বলা হয়।

একইসঙ্গে রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের প্রাপ্য পিআরএল ও পেনশন সুবিধা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এরপর ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বুয়েট কর্তৃপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে পেনশন সুবিধা দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

পরে আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করলে তাও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

 

 

 

 

   

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

এর আগে মঙ্গলবার কত রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয় রিটে। এছাড়া ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ’ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।

;

আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫ (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নিয়োগ প্রদান করেন।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

;