অনুমোদিত ১৫টি বোতলজাত পানির মধ্যে পাঁচটি মানহীন
বিএসটিআই অনুমোদিত জার এবং প্লাস্টিক বোতলে পানি বাজারজাতকৃত ১৫টি কোম্পানির মধ্যে ৫টি মানহীন বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বিএসটিআই।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান হারিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলীলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করে বিএসটিআই।
মানহীন কোম্পানিগুলো হলো- ফ্রুটস অ্যান্ড ফ্লেভার লিমিটেডের ‘ইয়ামি ইয়ামি’, সিনহা বাংলাদেশ ট্রেডস লিমিটেডের ‘একুয়া মিনারেল’, ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘সিএফবি’, ওরোটেক ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির ‘ওসমা’ এবং শ্রী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয় লিমিটেডের ‘সিনমিন’।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জে আর খান রবীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
বোতল এবং জারে বাজারজাত পানির মান বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিএসটিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই সংবাদ যুক্ত করে ২৭ মে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার।
পরে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বাজারে বেআইনিভাবে প্লাস্টিক বোতলে পানি সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেয়। আদেশের পাশাপাশি বিএসটিআই কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।
এছাড়া রুল জারি করে প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সরকারের ব্যার্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চায় আদালত।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি আগের আদেশ অনুযায়ী বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এতে একটি কমিটি গঠনসহ আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। আদালত পানি পরীক্ষা করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বিএসটিআইকে এক সপ্তাহ সময় দেন।
অনুমোদিত ১৫ টি জার এবং প্লাস্টিক বোতলে বাজারজাত পানির মান পরীক্ষা করে আজ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে বিএসটিআই।