জোড়া খুনের মামলায় এমপিপুত্র রনির যাবজ্জীবন
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে এলোপাতাড়ি গুলি করে জোড়া খুনের অভিযোগে দশম সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমামের আদালত এ রায় প্রদান করেন।
রায় শোনানের জন্য রনিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রায়ে রনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
২০১৫ সালের ২১ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। চার্জশিটে রনিকে একমাত্র আসামি করা হয়।
চার্জশিটের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, পিস্তলের ২১টি তাজা গুলি, গুলি রাখার চার্জার, একটি রক্তমাখা গুলির অংশ বিশেষ, ভিকটিম আ. হাকিমও ইয়াকুব আলীর ব্যবহৃত দু’টি লুঙ্গিসহ মোট ১৫টি আলামত আদালতে জমা দেওয়া হয়।
চার্জশিটে গাড়ির ড্রাইভার ইমরান ফকির ও তিন বন্ধুসহ ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল দিনগত রাতে তিন বন্ধুসহ রনি শেলবারে মদ পান করে। রাত সাড়ে ১১টায় শেলবার বন্ধ হয়ে গেলে তারা বার থেকে বাসায় ফেরার পথে নিউইস্কাটন রোডে জ্যামে পড়লে রনি তার পিস্তল বের করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। গুলির শব্দে মুহূর্তে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলে তারা গাড়ি চালিয়ে চলে যান।
এ সময় রনির ছোড়া গুলিতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও জনৈক রিকশাচালক আ. হাকিম মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৫ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।