রনি নেশাগ্রস্ত থাকায় মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আদালতে রনি, ছবি: বার্তা২৪.কম

আদালতে রনি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জোড়া খুনের অপরাধে আসামি বখতিয়ার আলম রনির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয়। কিন্তু ঘটনার সময় রনির শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলো। রনির রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালতে এ মন্তব্য করেন।

আদালত রনির রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, রনির পিস্তলের লাইসেন্স ছিলো না। পিস্তল দিয়ে গুলি করলে লোক মারা যাবার বিষয়টি তিনি জানতেন। কিন্তু রনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। ওই সময় তার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তিনি বিষন্নতায় ভুগছিলেন। আর গুলি করার সময় তিনি মদ্যপানে নেশাগ্রস্ত ছিলেন। এ ঘটনায় রনির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয়। কিন্তু ঘটনার সময় রনির শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলো।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমামের আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলায় রায়ে রনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

রনি দশম সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে।

রায় শোনানের জন্য রনিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। ওই আদালত ২০১৮ সালের ৮ মে মামলাটি রায়ে জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু ওই দিন রায় ঘোষণা না করে বিচারক পুনরায় যুক্তিতর্ক শোনার জন্য দিন ধার্য করেন। পরবর্তীতের আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলী করা হয়।

ওই আদালত যুক্তিতর্ক গ্রহণ করে গত ১৫ জানুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু ওইদিনও বিচারক রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ৩০ জানুয়ারি ধার্য করেছিলেন।

২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল দিনগত রাতে তিন বন্ধুসহ রনি মদ্যপ অবস্থায় বাসায় ফেরার পথে নিউইস্কাটন রোডে জ্যামে পড়লে তার পিস্তল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। গুলির শব্দে মুহূর্তে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলে তারা গাড়ি চালিয়ে চলে যান।

এ সময় রনির ছোড়া গুলিতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ইয়াকুব আলী ও জনৈক রিকশাচালক আ. হাকিম মারা যান।

   

দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মেজর মান্নান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।

;

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

চেক প্রতারণার মামললায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন। আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মিয়া হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় আদালত অভিযোগ গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।

এর আগে এক গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করেছিল র‌্যাব। এরপর তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

 

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;