সেই বাদল ফরাজীকে কেন আদালতে হাজির নয়: হাইকোর্ট
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কারাগারে বন্দী বাদল ফরাজীকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি তা নিশ্চিত হতে তাকে কেন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান ও মো. শাহীনুজ্জামান শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০০৮ সালের ৬ মে দিল্লির অমর কলোনির এক বৃদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় ওই বছরের ১৩ জুলাই বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা বাদল ফরাজীকে গ্রেফতার করে ভারতের পুলিশ। টুরিস্ট ভিসায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সেখানে বিচার শেষে তাকে ওই মামলায় ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট এক রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ভারতীয় আদালত। এরপর থেকে তিনি ভারতের বিহার কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
পরে ভারতীয় একটি বেসরকারি সংস্থা বাদল ফরাজীর ঘটনা জানতে পেরে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। তারা ঢাকার পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় গত বছর ৬ জুলাই তাকে দেশে ফেরত আনে। এরপর থেকে তাকে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ কারাগারে রাখা হয়েছে।
এ অবস্থায় তাকে মুক্তি দিতে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তবে ওই রিট আবেদন একই বছরের ১১ জুলাই উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করা হয়।
পরে এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর পুনরায় এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এই রিটের শুনানি নিয়ে আজ রুল জারি করেন আদালত।