ধলেশ্বরীতে দখলদার ৩ প্রতিষ্ঠানসহ ৪৫ ব্যক্তি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
আদালতের প্রতীকী ছবি

আদালতের প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর জমি অবৈধ দখলে রেখেছে ৩ প্রতিষ্ঠানসহ ৪৫ ব্যক্তি। এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামও উঠে এসেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও স্থানীয় ভূমি অফিসের জরিপে, যা প্রতিবেদন আকারে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন হাইকোর্টে দাখিল করেছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার এ প্রতিবেদন দুটি উপস্থাপনের পর শুনানি হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী সাহা; তার সঙ্গে ছিলেন পূরবী রানী শর্মা। জাতীয় নদী কমিশনের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আইনজীবী এমদাদুল হক।

এছাড়া আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর ঝিনাইদহ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকীর মালিকানাধীন মানিকগঞ্জ ‘মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশ লিমিটেড’র পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রাশনা ইমাম।

পরে বিবাদী পক্ষের আবেদনে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছে আদালত।

জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ধলেশ্বরীর প্রায় চার একর (৩.৬৯) জমি দখলে রয়েছে ১৯ জনের দখলে।

তারা হলেন, মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়নের কলম মিয়া, আবেদ আলী, সামছুল হক, বছিরন, ইব্রাহীম মিয়া, নোমাজ আলী, ইদ্রিস আলী, আছিয়া খতুন, আনোয়ারা বেগম, আলী আকবর, সাহেদ আলী, সামছুদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল আলী, জিন্নত আলী, আব্দুল জলিল, সুন্দর আলী, দেলোয়ার হোসেন ও ঢাকার মোহাম্মদপুরের জিয়াউদ্দিন আহাম্মেদ।

আর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকীর মালিকানাধীন ‘মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশ লিমিটেড’র দখলে রয়েছে ১১.৩০ একর জমি।

এছাড়া, ধল্লা ইউনিয়নের জুলফিকারের দখলে রয়েছে ০.৭০ একর, একই ইউনিয়নের ক্লাব ‘জাগরণী চক্র’র দখলে রয়েছে ০.৩৪ একর, আব্দুল বারেক-কমর উদ্দিন-আব্দুল খালেক- রিয়াজ উদ্দিন ও আবেদ আলীর দখলে রয়েছে ০.৭৪ একর, আবু তাহের মোল্লার দখলে ০.৬২ একর, ধল্লার জলিল-সলিম ঢাকার নিজাম উদ্দিনের দখলে ০.৬৩ একর, ঢাকার বিজয়নগরের মনিরুল ইসলামের দখলে রয়েছে ১.১৩ একর, ফোর্ডনগরের আব্দুল মজিদ মোল্লার দখলে ০.৭৫ একর, ধল্লার আব্দুল হক-মোস্তাক আহাম্মদ, শাকিল আহাম্মদের দখলে ১.৯৮ একর, ধল্লার ইদ্রিস মোল্লার দখলে ০.৭০ একর, ঢাকার বাড্ডার পেন্টা প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম আক্তারুজ্জামান ও ধল্লার মহসিনের দখলে ০.৭১ একর, ধল্লার আব্দুল হামিদ-সিদ্দিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান মোল্লা ও ঢাকার লালমাটিয়ার রাকিবা আক্তারের দখলে ২.০২ একর, ধল্লার মোসলেম উদ্দিন-আব্বাস আলী- সরবত আলী- তোফাজ্জল হোসেন- কলম মিয়া- আবেদ আলী- শামছুল হক- বসিরন- ইব্রাহিম মিয়া- নোমাজ আলী- ইদ্রিস আলী- আছিয়া খাতুন- আনোয়ারা বেগম-আলী আকবর ও ফরিদ আহোম্মদের দখলে রয়েছে ২.৯৭ ও মোনিকগঞ্জের কালিবাড়ির মো. রমজান আলীর দখলে রয়েছে ১.৩২ একর জমি।

জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদনে নদীর অবৈধ দখল বন্ধে ধল্লা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে বলা হয়েছে, ধল্লা মৌজার ধলেশ্বরী নদী ও নদী ফরশোর এলাকায় ঢাকা নর্দান পাওয়ার জেনারেশনস লিমিটেড (বর্তমানে মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশনস লিমিটেড) অবৈধ দখলের জন্য বালু ভরাট কাজ আরম্ভ করলে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়।

কিন্তু মৌখিক নিষেধ না মানলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক গত বছরের ৩ মে প্রকল্পের পরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। নোটিসের কারণ দর্শানের জন্য পরিচালক ১৫ দিন সময় চেয়ে আবেদন করলে জেলা প্রশাসক গত বছরের ২০ জুন জমি ব্যবহারের অনুমতি না দিয়ে অবিলম্বে নদী ও নদীর ফরশোরের জমি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে আদেশ দেয়।

এ আদেশের পরও জমি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে না দিলে গত বছরের ২৬ জুন জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান নির্মাণাধীন প্রকল্পের স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণ এবং দিয়ারা জরিপ বাতিল করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।

সে নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য গত বছরের ৩০ জুলাই সাত দিনের সময় দিয়ে সংশ্লিষ্টদের নোটিস দেন জেলা প্রশাসক। এর দুই দিন পর অর্থাৎ ২ আগস্ট জেলা প্রশাসক দিয়ারা জরিপও বাতিল করে।

এদিকে, উচ্ছেদের নোটিশ পেয়ে মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশনস লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটে বাদীর পক্ষে রায় হলে সরকারের পক্ষে আপিলের অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) আবেদন করা হয়।

এই লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে আদালত অবৈধ স্থাপনা অপসারণে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে আদেশ দিলেও এখন পর্যন্ত তা দখলমুক্ত করতে পারেনি সরকার।
জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সুপারিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশনস লিমিটেডের দখলে থাকা ধলেশ্বরী নদীর সকল জমি প্লাবন ভূমির অন্তর্গত। এই কোম্পানির ক্রয় করা জমি রেজিস্ট্রি ও বিএস জরিপভূক্ত করে তা জারি করা আইনের সরাসরি লঙ্ঘন ও গর্হিত কাজ। এছাড়াও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করতে সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর জায়গা দখল করে ডরিন পাওয়ারের ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র’ শিরোনামে দৈনিক বনিক বার্তায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তা যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

আদালত সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ, অবৈধ স্থাপনা অপসারণে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একইসঙ্গে ধলেশ্বরী নদী দখল করে ‘ডরিন পাওয়ার’ নামের একটি কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সচিব, জ্বালানী ও খনিজ মন্ত্রণালয় সচিব, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

সেই রুলের জবাবেই মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন এই প্রতিবেদন দিল।

   

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মো. আলমগীর (৩১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো.জাকির হোসেন এ রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, তরুণীর সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে জড়িয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল আসামি আলমগীর। তরুণীকে বিভিন্ন জায়গায়, মাজারে নিয়ে আলমগীর মাথায় হাত রেখে বিশ্বাস করান যে, তরুণীকে আলমগীর বিয়ে করবে। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার তারা গেইট আসলাম কলোনিতে ভাড়া বাসায় তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আলমগীর। এ সময় তরুণী বাধা দিলে মাথায় হাত রেখে আলমগীর বলে যে, আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, তুমি আমার স্ত্রী এবং আমি তোমার স্বামী। আমি তোমাকে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে করব বলে সুকৌশলে তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কয়েক দফা শারীরিকভাবে মেলামেশা করে।

পরে তরুণী আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তরুণীকে চেনে না জানিয়ে হুমকি দেয়। পরে তরুণী ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে মামলার তদন্ত শেষে  অভিযোগপত্র জমা দিলে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি অভিযোগ আমলে নেন। ২০২১ সালের ৩ মার্চ আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নিখিল কুমার নাথ বলেন, পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. আলমগীরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৪ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন। পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসময় তাদের স্থায়ী জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম. এ আউয়ালের আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জন হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।

অপর তিন আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়।

ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় দেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

;

নাশকতার ১২ মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন থানার দায়ের হওয়া নাশকতার ১২ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

১২ মামলার মধ্যে পল্টন থানার ছয়টি, রমনা থানার তিনটি, মতিঝিল থানার দুটি ও ওয়ারী থানার একটি মামলা রয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এসব মামলায় ইশরাক হোসেন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি মামলার নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তার স্থায়ী জামিন বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির জন্য রেখেছেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নাশকতার ১২ মামলায় ইশরাক হোসেনকে ছয় সপ্তাহের জামিন দেন হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজি এবাদত হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ।

জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় নাশকতার অভিযোগে ১২টি মামলা দায়ের করা হয়।

;

ঢাকার নিম্ন আদালতের ১০৭ বিচারকের ৫২ জনই ছুটিতে



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের টানা পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে আদালত খুললেও বিচারক, আইনজীবীর উপস্থিতি ছিল নিতান্তই কম। চিরচেনা ব্যস্ত ঢাকার নিম্ন আদালত পাড়া সোমবার (১৫ এপ্রিল) দেখা যায়নি।

আদালত পাড়া ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চিরচেনা সেই ভিড় নেই। ঢাকার নিম্ন আদালত তথা ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধিকাংশ এজলাসই ফাঁকা ছিল। অফিস স্টাফগণ থাকলেও আইনজীবী বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল একদমই নগণ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বর্তমানে ১০৭ জন বিচারক কর্মরত। কিন্তু সোমবার উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৫৫ জন। ৫২ জন আছেন ছুটিতে।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মোট বিচারকের সংখ্যা ৩৬ জন। আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে জানান, ঢাকা জেলা জজশিপে ৪২টি বিচারকের পদের মধ্যে ৬টি ফাঁকা। বর্তমানে ৩৬ বিচারক কর্মরত আছেন। সোমবার ৩৬ বিচারকের মধ্যে ২৫ জনই উপস্থিত থেকে বিচারকাজ চালাচ্ছেন। ১১ বিচারক ছুটিতে আছেন। ছুটিতে আদালতসমূহের দায়িত্ব উপস্থিত বিচারকদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে। তাই বিচারকাজের কোন বিঘ্ন হবে না।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির শাহ্ মো. মামুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, মহানগর জজশিপের ২৪ বিচারকের মধ্যে মহানগর দায়রা জজসহ ১৪ জনই ছুটিতে আছেন। ১০ জন বিচারককে সকল কোর্টের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্তকর্তা মো. আব্দুল খালেককে তার কক্ষে না পেয়ে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন জানান। তবে উক্ত আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুর কবির বাবুল বার্তা২৪.কমকে জানান, ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলামসহ ৫ জন ছুটিতে আছেন। তাদের মধ্যে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম অসুস্থ ও অপর একজন প্রশিক্ষণজনিত কারণে ছুটিতে আছেন।

তিনি আরও জানান, ৫ বিচারক ছুটিতে থাকলেও বিচারকাজ ঠিকই চলছে। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, হাজিরা, জামিন শুনানি সবই সময়মতো হচ্ছে। কোন অসুবিধা হয়নি।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির ৩৭ ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ২২ ম্যাজিস্ট্রেট ছুটিতে আছেন। তবে বিচারে যেন কোন বিঘ্ন না ঘটে এবং বিচারপ্রার্থীরা যাতে হয়রানি না হন সেজন্য উপস্থিত ১৫ ম্যাজিস্ট্রেটকে সকল কোর্টের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। এতে করে মামলায় কোন বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না।

আ্ইনজীবী গোপাল দত্ত জানান, ঈদের ছুটির সাথে সকলে হয়তো ২/১ দিন করে বাড়তি ছুটি নেওয়ায় বিচারকের উপস্থিতি কম। তবে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীর সংখ্যাও অনেক কম। তাই বিচারের ওপর এর কোন প্রভাব পড়বে না। সব কিছু স্বাভাবিক হতে আরও ২/১ দিন সময় লাগবে।

;