জাহালমের মতোই বিনা দোষে জেল খাটলেন শুক্কুর শাহ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আরেক জাহালম শুক্কুর শাহ, ছবি: বার্তা২৪

আরেক জাহালম শুক্কুর শাহ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শাহবাগ থানার একটি মাদক মামলার আসামি না হয়েও পুলিশের ভুলে ১১ মাস কারাভোগ করলেন আরেক মো. শুক্কুর শাহ। অনেকটাই কিছুদিন আগে বিনাদোষে কারাভোগ করে জেল থেকে মুক্তি পাওয়া জাহালম এর মতোই ঘটনা।

তাকে এ মামলায় গ্রেফতারের ৫ মাস পর বিষয়টি আদালতের গোচরে আসলে। বিচারক থানার প্রতিবেদন তলব করেন। এ সংক্রান্ত একটি পুলিশ প্রতিবেদন চাইলে পুলিশ মামলার ঠিকানার বাড়িওয়ালার প্রত্যয়নপত্রসহ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। যাতে বলা হয় সঠিক আসামিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

আর এভাবেই শুক্কুর শাহ হয়ে গেলেন শুক্কুর আলী। অন্যের পাপ মাথায় নিয়ে জেল খাটলেন ১১ মাস। তবে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। গত ৩০ জানুয়ারি মামলার বাদী আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসলে তিনি জেরায় বলেন, 'কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামিকে তিনি চেনেন না। এ মামলায় তিনি তাকে গ্রেফতার করেন নি।'

এতেই নড়েচড়ে বসেন বিচারক। তিনি জেল সুপারকে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে তলব করেন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও ওয়ারেন্টে তামিল কর্মকর্তাকেও তলব করেন। পুলিশ এবার নিজেদের ভুল স্বীকার করে আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

শুক্কুর শাহ এ মামলার আসামি নয়। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান অন্য কোনো মামলায় আটক না থাকলে শুক্কুর শাহকে আজই মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শুক্কুর শাহকে মুক্তি দেয় বলে জানান তার ভাই নজরুল শাহ।

মামলার ঘটনা সূত্রে দেখা যায়, মো. শুক্কুর আলী, পিতা আবুল কাশেমের নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। ২০১১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি গ্রেফতার হন। এরপর ২০১২ সালের ২০ জুন তিনি এ মামলায় জামিন পান।

জামিন পেয়ে তিনি এ মামলায় হাজিরা না দিয়ে পলাতক হন। ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এ পরোয়ানা তামিলের দায়িত্ব পান এসআই মো. মমিনুল ইসলাম।

তিনি সংবাদ পান যে, হাজারীবাগ থানার ৯(৩)১৮ মামলায় শুক্কুর নামে এক আসামি গ্রেফতার হয়েছে। তার পিতার নামও কাশেম। তিনি যাচাই বাছাই না করেই শাহবাগ থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। এভাবেই আদালতের নথিতে শুক্কুর শাহ হয়ে যান শুক্কুর আলী।

শুক্কুর শাহ'র আইনজীবী মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, হাজারীবাগ থানার মামলায় জামিন পেয়েও শুক্কুর শাহ কারাগার থেকে বের হতে পারেননি। পরে খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারে তাকে শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অথচ এ মামলায় শুক্কুর শাহ আসামিই নন।

তিনি বলেন, '২০১৮ সালের ৮ আগস্ট বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়। তিনি আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র আদালতে দাখিল করতে বলেন। কিন্তু গ্রেফতারের সময় পুলিশ পরিচয়পত্র নিয়ে যাওয়ায় তারা তা আদালতে দাখিল করতে পারেননি। তবে শুক্কুর আলীকে এ মামলায় জামিন দিলেও শুক্কুর আলী ও শুক্কুর শাহ এক ব্যক্তি না হওয়ায় তাকে মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।'

আইনজীবী জাকির আরও বলেন, 'গত ৩০ জানুয়ারি মামলার বাদী আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় জেরায় বলেন যে, তিনি এ আসামিকে চিনেন না। তাকে তিনি গ্রেফতার করেন নি। ফলে বিচারক পুলিশের পরোয়ানা তামিল কর্মকর্তা, শাহবাগ থানার ওসি ও জেল সুপারকে কাগজপত্রসহ ডেকে পাঠান।'

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তারা আদালতে হাজির হন। কারাগারে রক্ষিত প্রথমে আটক শুক্কুর আলীর ছবি ও শুক্কুর শাহ ছবি, তাদের মায়ের নাম এক না হওয়ায় আদালত শুক্কুর শাহকে এ মামলায় খালাস দেন।

শুক্কুর শাহ যে শুক্কুর আলী নন। তা আদালতে জানানোর পরও অতিরিক্ত ছয়মাস তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে জানান তার আইনজীবী জাকির হোসেন। বাদী তাকে সনাক্ত না করলে আরও কতদিন তাকে থাকতে হতো কে জানে।

   

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

চেক প্রতারণার মামললায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন। আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মিয়া হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় আদালত অভিযোগ গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।

এর আগে এক গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করেছিল র‌্যাব। এরপর তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

 

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;