ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বার হিসেবে পরিচিত ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০ মেয়াদে কার্যকরী পরিষদের দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের প্রথমদিনের ভোটগ্রহণ চলছে।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুপুরে ১ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। একইভাবে বৃহস্পতিবারও ভোটগ্রহণ করা হবে।

গত ৩১ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদলকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ২০ আইনজীবীকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা বারের নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও সমমনা দল নিয়ে গঠিত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি ও সমমনা দল নিয়ে গঠিত নীল প্যানেল ২৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে ২০১৯-২০ মেয়াদে নিবন্ধিত আইনজীবীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৪৩১ জন। তবে বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১৭ হাজার ৮৯৭ জন। গত মেয়াদে ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ১২৯ জন। গত মেয়াদে ৯ হাজার ১১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ঢাকা বারের নির্বাচন কমিশনার নজরুল ইসলাম শামীম বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবার ১১ থেকে ১২ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন, সভাপতি পদে গাজী মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আসাদুজ্জামান খান রচি। অপরদিকে নীল প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন, সভাপতি পদে মো. ইকবাল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান।

সাদা প্যানেলের সম্পাদকীয় পদের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, ট্রেজারার পদে আব্দুল জলিল আফ্রাদ (কবির), সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ ওমর ফারুক আসিফ, লাইব্রেরি পদে মো. আতাউর রহমান খান রুকু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শায়লা পারভীন পিয়া, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. জাহিদুল ইসলাম কাদির, খেলাধুলা সম্পাদক পদে মো. উজ্জ্বল মিয়া ও সমাজ কল্যান সম্পাদক পদে হুমায়ুন খন্দকার টগর।

নীল প্যানেলের সম্পদকীয় পদের প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, সহ-সভাপতি পদে এ আর মিজানুর রহমান, ট্রেজারার পদে মো. লুৎফর রহমান আজাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. নিহার হোসেন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ভুইয়া ছোটন, লাইব্রেরি পদে মো. জিয়াউল হক জিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোরশেদা খাতুন শিল্পী, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. জুলফিকার আলী হায়দার জীবন, খেলাধুলা সম্পাদক পদে মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক পদে মাহবুব হাসান রানা।

সাদা প্যানেলের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন, আয়েশা বিনতে আলী, এএইচএম শফিকুল ইসলাম মোল্লা সোহাগ, হায়াত আল মাহমুদ জিকু, কাওছার হাসান, মো. সাব্বির হাসান, মো. বাহারুল ইসলাম বাহার, মো. হাসান আকবর আফজাল, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. জুয়েল শিকদার, মো. মাসুম মিয়া, মো. মাসুম মৃধা, সাইফুল ইসলাম, সৌরভ হোসেন, তানভীর আহমেদ সজিব ও তুষার ঘোষ।

নীল পদের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন, আজহার উদ্দিন রিপন, কাজী রওশান দিল আফরোজ, এমআর রাসেল, মো. বাবুল আক্তার, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. ইকবাল মাহমুদ সরকার, মো. মেহেদী হাসান জুয়েল, মো. রাসেদুল ইসলাম রাসেল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম (স্বপন), মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মো. ইয়াছিন মিয়া, মোসা. ফারহানা আক্তার লুবনা, নজরুল হক শুভ, শাহীন সুলতানা খুকি ও সাদেকুল ইসলাম ভুঁইয়া জাদু।

২০১৮-১৯ মেয়াদে ২৭টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ও অপর ৭টি সম্পাদকীয় পদসহ ১৪টি পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল বিজয়ী হয়। অপরদিকে, বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল সভাপতি ও অপর ৩টি সম্পাদকীয় ১৩টি পদে জয়লাভ করে।

 

   

পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন মামলার বাদী ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত পরে আদেশ দিবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া মর্মেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী (মদ পানকারী)। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে মদ পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে মদ পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল মদের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। 

বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন ও ভাঙচুর করেন।

;

দ্বীপ উন্নয়ন, কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করতে সংসদকে হাইকোর্টের পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘দ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনে দ্বীপ উন্নয়ন আইন দ্রুত প্রণয়নের জন্য জাতীয় সংসদকে পরামর্শ প্রদান করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

রায়ে, কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন, ২০১৬ অতি দ্রুত আইন আকারে পাশ করার জন্যও জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

রায়ে বলা হয়েছে, জাপান ও ফিনল্যান্ডের প্রণীত আইন যতটুকু সম্ভব অনুসরন ও সমন্বয় করে আমাদের দেশের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ‘দ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের নিমিত্তে দ্বীপ উন্নয়ন আইন দ্রুত প্রণয়নের জন্য মহান জাতীয় সংসদকে পরামর্শ প্রদান করা হলো।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেয়।

২০২২ সালের ২ জুন রায়টি দেওয়া হয়। দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার ১৫ পৃষ্ঠার এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এই রায় ও আদেশের অনুলিপি সকল মন্ত্রী ও জাতীয় সংসদ সদস্যদেরকে ই-মেইলে প্রেরণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রায় ও আদেশের অনুলিপি সকল পক্ষকে দ্রুত অবহিত করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নওগাঁর মিজানুর রহমানকে পুকুর খনন বন্ধ করতে ভূমি অফিসের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে আনা এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেয় উচ্চ আদালত। নোটিশটিকে আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও বাতিল ঘোষণা করে দেয়া এই রায়ে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪২ (১) মোতাবেক সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর এবং যেকোনো ভাবে এর বিলি-ব্যবস্থা তথা শ্রেণি পরিবর্তন প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কেবলমাত্র সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারা নাগরিকের উপরোল্লিখিত সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর এবং যেকোনোভাবে এর বিলি-ব্যবস্থা তথা শ্রেণি পরিবর্তন-এ বিধি নিষেধ আরোপ করা তথা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এটি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪২(১) এর মর্মার্থ। সুতরাং এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায় যে, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর এবং যেকোনোভাবে এর বিলি-ব্যবস্থা তথা শ্রেণি পরিবর্তন সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার। কোনোভাবেই উক্ত মৌলিক অধিকার তথা সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর এবং যেকোনোভাবে এর বিলি-ব্যবস্থা তথা শ্রেণি পরিবর্তনে বাধা প্রদান করা যাবে না। নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর এবং যেকোনোভাবে এর বিলি- ব্যবস্থা তথা শ্রেণি পরিবর্তন এর অধিকারে পরিবর্তন, বিধি-নিষেধ এবং যেকোনো প্রকারের নিয়ন্ত্রণ কেবলমাত্র সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইনের মাধ্যমে করতে হবে।’

রায়ে বলা হয়েছে, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর উপরিল্লিখিত ধারা ৪ পর্যালোচনায় এটি কাঁচের মতো পরিস্কার যে, বিপণন তথা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন উন্মুক্ত স্থান থেকে মাটি বা বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। কিন্তু স্বীকৃত মতেই আলোচ্য মোকদ্দমায় দরখাস্তকারী বিপণন বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন মাটি উত্তোলন করছেন না। রায়ে আরো বলা হয়েছে, ফসলী জমিতে পুকুর খননের বিধিনিষেধ আরোপ করে ও কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন, ২০১৬ খসড়া আইন প্রণয়ন করা হলেও কোন এক অজানা কারণে এটি এখনো আলোর মুখ দেখছে না।

দীপ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সম্মত টেকসই উন্নয়নের নিমিত্তে পৃথিবীতে প্রথম জাপান রিমোট আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট এক্ট নামে একটি আইন ১৯৫৩ সালে প্রণয়ন করে। আমাদের প্রতিবেশী ভারতেও দ্বীপ উন্নয়নের গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০১৭ সালে আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেন দ্বীপসমূহের উন্নয়নের ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আমাদের দ্বীপ সমূহের উন্নয়নের নিমিত্তে দ্বীপ উন্নয়ন আইন দ্রুত প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

;

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মো. আলমগীর (৩১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো.জাকির হোসেন এ রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, তরুণীর সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে জড়িয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল আসামি আলমগীর। তরুণীকে বিভিন্ন জায়গায়, মাজারে নিয়ে আলমগীর মাথায় হাত রেখে বিশ্বাস করান যে, তরুণীকে আলমগীর বিয়ে করবে। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার তারা গেইট আসলাম কলোনিতে ভাড়া বাসায় তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আলমগীর। এ সময় তরুণী বাধা দিলে মাথায় হাত রেখে আলমগীর বলে যে, আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, তুমি আমার স্ত্রী এবং আমি তোমার স্বামী। আমি তোমাকে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে করব বলে সুকৌশলে তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কয়েক দফা শারীরিকভাবে মেলামেশা করে।

পরে তরুণী আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তরুণীকে চেনে না জানিয়ে হুমকি দেয়। পরে তরুণী ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে মামলার তদন্ত শেষে  অভিযোগপত্র জমা দিলে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি অভিযোগ আমলে নেন। ২০২১ সালের ৩ মার্চ আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নিখিল কুমার নাথ বলেন, পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. আলমগীরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৪ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন। পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসময় তাদের স্থায়ী জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম. এ আউয়ালের আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জন হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।

অপর তিন আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়।

ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় দেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

;