জাবির দুই শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিতের নির্দেশ হাইকোর্টের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বাংলা বিভাগের দুই সহযোগী অধ্যাপককে অধ্যাপক পদে দেওয়া পদোন্নতি স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিভাগের অপর দুই শিক্ষকের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে উপাচার্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পদোন্নতি স্থগিত হওয়া শিক্ষকরা হলেন- ড. ফারহানা আখতার ও ড. হিমেল বরকত।
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হবে দাবি করে হাইকোর্টে ওই আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম তালুকদার।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই শিক্ষকের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
মনিরুজ্জামান রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আখতার ও হিমেল বরকতকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্টে একটা রুল ইস্যু করছিলাম এবং আন্ডার রুলে উপাচার্যের কাছে রিপ্রেজেন্টশন দিয়েছিলাম। কিন্তু উপাচার্য এটা মীমাংসা করলেন না, সে কারণে আমরা হাইকোর্টে একটা আবেদন করছিলাম। সেই আবেদনের শুনানি হয়েছে মঙ্গলবার। শুনানিতে হাইকোর্ট আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে উপাচার্যকে আবেদনটি নিষ্পত্তি করার কথা বলছেন।’
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৩০৩তম সভায় সহযোগী অধ্যাপক থেকে নাজমুল হাসান তালুকদার ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম তালুকদারকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সেদিন থেকে ওই পদোন্নতি কার্যকর হবে বলা হয়। কিন্তু চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৩০৪তম সভায় সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে ফারহানা আখতার ও অধ্যাপক হিমেল বরকতকে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হয়, যা ২০১৮ সালের ৪ জুন থেকে কার্যকর হবে বলা হয়। এতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হবে দাবি করে এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে নাজমুল হাসান তালুকদার ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম তালুকদার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট রিট করেন।
এ বিষয়ে আপিলকারী শিক্ষক নাজমুল হাসান তালুকদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা আবেদনকারী দু’জন শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আখতার ও হিমেল বরকতের পূর্বে পদোন্নতি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে তাদের জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে এগিয়ে রাখে। ফলে আমরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি মনে করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। আমরা কারো বিরুদ্ধে রিট করিনি; আমরা শুধু আমাদের অধিকার চেয়েছি। তারা অধ্যাপক হলে তো আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’