আটকে গেল সাবেক এমপি রানার মুক্তি
টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া স্থায়ী জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত জামিন স্থগিত করে ওইদিন এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। ফলে আবারো রানার কারামুক্তি আটকে গেল।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিতের আবেদন করে। দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এ স্থগিতাদেশ দেন।
বুধবার (২০ জুন) এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আমানুর রহমান খান রানাকে স্থায়ী জামিন দেন।
আদালতে আমানুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট রানাকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়ে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে জামিন স্থগিত করে রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।।
দুই যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নে। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়াকে আটক করা হলে তারা হত্যায় জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।