খালেদার আদালত স্থানান্তরের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ
নাইকো দুর্নীতি মামলা কেরানীগঞ্জ কারাগারের আদালতে স্থানান্তরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার দায়ের করা রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৩ জুন) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
দুপুরে রিটের শুনানিতে দুদকের আইনজীবী বলেন, 'মামলাটি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা। এর জন্য আলাদা বেঞ্চ রয়েছে। ফলে এ রিটের শুনানি এ সংক্রান্ত বেঞ্চে করা বাঞ্ছনীয়।'
জবাবে বিএনপি নেত্রীর আইনজীবী বলেন, 'মামলার বাদী দুদক হলেও এটি দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় নয়। আইন মন্ত্রণালয় বেআইনিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি।'
এরপর আদালত রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেছেন, 'রিট আবেদনটি অন্য কোনো বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।'
নাইকো মামলার বিচার চলছিল পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে। গত ১২ মে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের ভবনের বিশেষ আদালতে স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। গত ২৬ মে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন খালেদা জিয়া।
গত ১০ জুন হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ রিট আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক।
খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এ মামলায় কেরানীগঞ্জের বিশেষ জজ আদালত আগামী ১৪ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন রোববার।