বন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট স্থাপনে হাইকোর্টের নির্দেশ
ফলে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য দেশের বন্দরগুলোতে ‘কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মৌসুমি ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ হয় কিনা, তা পরীক্ষা করে দুইমাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আমসহ অন্যান্য ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহাররোধে করা রিটের শুনানিতে রোববার (২৩ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।
শুনানিকালে আদালত হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘ফলে রাসায়নিকের প্রয়োগ ঠেকাতে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান প্রয়োগের কথা ভাবতে হবে। কারণ, জনগণের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি প্রথম। মনে রাখবেন, জনগণ বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। বিএসটিআইর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান।
২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগরোধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) একটি রিট আবেদন করে। ওই রিটের রায় ঘোষণার পর আদালত রিট মামলাটি চলমান রাখেন।
রিট আবেদনটি চলমান থাকায় এইচআরপিবি গত ৯ এপ্রিল ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগরোধে একটি সম্পূরক আবেদন করলে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় আম বাগানগুলোতে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে বাজার ও আড়তগুলোতে আমসহ অন্যান্য ফলে রাসায়নিকের ব্যবহাররোধে নজরদারী কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।