মিল্কভিটা, আড়ং, প্রাণসহ ১৮ পাস্তুরিত দুধে ক্ষতিকর কিছু পায়নি বিএসটিআই
১৮টি পাস্তুরিত-ইউএইচটি দুধের নমুনা পরীক্ষায় ক্ষতিকর উপাদান খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। হাইকোর্টে দাখিল করা একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টেও দ্বৈত বেঞ্চে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিএসটিআই।
বিএসটিআইর প্রতিবেদনে ১৪টি ব্যান্ডের ১৮টি পাস্তুরিত দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যয়িনি। প্রতিবেদন অনুসারে ব্যান্ডগুলো হলো-বেড়ার ইছামতি ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসের ‘পিউরা’, নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ড্যানিশ ডেইরি ফার্মের ‘আয়রান’, গাজীপুরের জয়দেবপুরের ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসের ‘আড়ং ডেইরি’, ঢাকার ধামরাইর আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘ফার্ম ফ্রেশ দুধ’, গাজীপুরের শ্রীপুরের আমেরিকান ডেইরির ‘মো’, ঢাকার মিরপুর-৭ বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের ‘মিল্কভিটা’, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের আফতাব মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রোডাক্টসের ‘আফতাব’, কুষ্টিয়ার কামারখালীর শিলাইদহ ডেইরির ‘আল্ট্রা’, পাবনার বেড়ার তানিয়া ডেইরি অ্যান্ড ফুড ‘প্রাণ মিল্ক’, নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারের বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টেসের ‘ডেইরি ফ্রেশ’, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের উত্তকবঙ্গ ডেইরীর ‘মিল্ক ফ্রেশ’, ‘প্রাণ মিল্ক’, ঢাকার ধামরাইর আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক’, ঢাকার গুলশানের রাফি অ্যান্ড ব্রাদার্সের ‘কাউহেড পিউর মিল্ক’, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসের ‘আড়ং ডেইরি’।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
প্রতিবেদন দাখিলের পর আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত।
২০১৮ সালের ২০ মে পাস্তুরিত দুধে ব্যাকটেরিয়ার রয়েছে এমন দাবি করে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভির আহমেদ। একইবছরের ১৭ মে ‘পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশই নিরাপদ নয়’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তিনি তা আদালতের নজরে আনেন।
আদালত ওই আইনজীবীকে রিট আকারে আবেদন নিয়ে আসতে বলেন। এরপর আইনজীবী তানভীর আহেমদ রিট করেন। রিটের পর বাজারে পাওয়া যায় এমন সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধের মান পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।