ওসি মোয়াজ্জেমকে ভিডিও কপি দেওয়ার নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওসি মোয়াজ্জেম, পুরনো ছবি

ওসি মোয়াজ্জেম, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেমের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে তার সঙ্গে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির কথোপকথনের ভিডিও’র কপি তাকে (ওসি মোয়াজ্জেমকে) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩০ জুন) মামলার চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে তার আইনজীবী আবু সাঈদ সাগর ও ফারুক আহমেদ আদালতে দাখিল করা ভিডিও’র সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করেন। তারা বলেন, চার্জ শুনানির আগে এ ভিডিওটি দেখা দরকার।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম এ ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসের কপি দেওয়ার বিধান নেই উল্লেখ করে তীব্র বিরোধীতা করেন। এছাড়া আদালত কক্ষে আসামির সঙ্গে আইনজীবীদের কথা বলার সুযোগ চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দেন।

তবে শুনানি শেষে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেনের আদালত সিডি আকারে ভিডিও’র সার্টিফায়েড কপি জমা আসামিপক্ষকে দেওয়ার নির্দেশ দেন।’

গত ১৬ ‍জুন বিকেলে হাইকোর্ট এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন তাকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে। তার বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুর হক সুমন।

ওইদিন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

পিআইবি ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এর ভিত্তিতে গত ২৭ মে ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় বাদী সুমন বলেছিলেন, ‘যৌন হয়রানির বিষয়ে নুসরাত থানায় অভিযোগ করতে গেলে, আসামিসহ তাকে থানায় নেওয়া হয়। সেই সময় ওসি মোয়াজ্জেম তাকে আপত্তিকর জেরা করেন ও জেরার ভিডিও তার মুঠোফোনে ধারণ করেন। নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ১১ এপ্রিল বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় সে ভিডিও ছেড়ে দেন তিনি। থানার ভেতরে এমন ভিডিও ধারণ করা ও সোস্যাল মিডিয়ার ছড়িয়ে দেওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অপরাধ।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাকে আটক করে। গত ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।

আরও পড়ুন: মৃত্যুর কাছে হার মানল মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত

আরও পড়ুন: পরোয়ানা এসেছে, ওসি মোয়াজ্জেম আসেননি


আরও পড়ুন: আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করলেন ওসি মোয়াজ্জেম

আরও পড়ুন: ওসি মোয়াজ্জেমের নিরাপত্তা-বেশভূষা নিয়ে আদালত চত্বরে প্রশ্ন

আরও পড়ুন: মাদরাসা ছাত্রীর অবস্থার উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা

   

চেক প্রতারণার মামললায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন। আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মিয়া হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় আদালত অভিযোগ গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।

এর আগে এক গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করেছিল র‌্যাব। এরপর তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

 

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;

আমীর খসরুসহ বিএনপির ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামশুল আরেফীনের আদালতে এই অভিযোগ গঠন করা হয়। যদিও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি চলাকালে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানা এলাকায় বিএনপির মহানগর কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ৩৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৭ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে। এ সময় আরও ৭৬ জনকে অভিযোগপত্রে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। আর মামলার এজাহার থেকে ১২ জনকে বাদ দেওয়া হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মফিজুল হক ভূঁইয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক মামলায় আজ (বুধবার) অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত সেটি না মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন। এবং আগামী জুনে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ ছাড়াও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, উত্তর জেলা সভাপতি আসলাম চৌধুরী, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীসহ বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতাকর্মীর নামে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িতে সমাবেশ ডাকে ২০ দলীয় জোট। সমাবেশ চলাকালে ওইদিন পুলিশের সঙ্গে জোটের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩০২ জনকে গ্রেফতার করে। পরে ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করে।

;