পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ঢাবি শিক্ষকের প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট
বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধের মান পরীক্ষার রিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের নেতৃত্বে করা গবেষণা প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদনটি জমা দিতে বলেছেন আদালত।
রোববার (৩০ জুন) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৫ জুন ঢাবির ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এবং ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক আ.ব.ম. ফারুক গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, বাজারে থাকা সাতটি প্রতিষ্ঠানের পাস্তুরিত দুধ মানহীন। এসব কোম্পানির দুধ পরীক্ষা করে মাত্রাতিরিক্ত কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়া কিছু দুধে এন্টিবায়োটিকও পাওয়া গেছে। এ প্রতিবেদনটিই চেয়েছেন আদালত।
একই দিনে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) ১৮টি ব্র্যান্ডের ১৪টি পাস্তুরিত/ইউএইচটি দুধ পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে জানায়, এসব দুধে ক্ষতিকর উপাদান নেই। এ প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান মামুন।
২০১৮ সালের ১৭ মে ‘পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশই নিরাপদ নয়’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। পরে তিনি ২০ মে আদালতে রিট করেন।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বাজারে পাওয়া যায় এমন সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধের মান পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।