মাধ্যমিক পর্যায়ে বুলিং প্রমাণিত হলে ‘ছাড়পত্র’



নাজমুল আহসান রাজু, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে সহপাঠিদের দ্বারা কোনও শিক্ষার্থীকে অপমান, অশালীন আচরণ ও মানসিক আঘাতকে ‘বুলিং’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়। নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, বুলিংয়ে ফৌজদারী অপরাধ হয় না। তবে ফৌজদারী অপরাধের মতো কিছু ঘটার আগাম তথ্য পেলে পুলিশের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। আর তা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ছাড়পত্র (টিসি) দেয়া যেতে পারে।

তবে খসড়া নীতিমালায়, স্কুলে বুলিং প্রতিকারের চেয়ে স্কুলের পরিবেশ ভীতিমুক্ত ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে শিক্ষার্থী বন্ধব করা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতনতা তৈরির ওপর বেশী গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এ খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করেছে। গত ১০ জুলাই খসড়া নীতিমালাটি হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। আর আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে এই নীতিমালা চূড়ান্তের অগ্রগতি জানাতে হবে।

বুলিংয়ের নেতিবাচক দিক তুলে ধরে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায়ই স্কুল বুলিংয়ের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বুলিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে চায় না। এতে শিক্ষণ ও শিখন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। স্কুলের পরিবেশও নষ্ট হয়।

খসড়া নীতিমালায় বুলিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বিদ্যালয় চলাকালীন সময় বা বিদ্যালয় শুরু হওয়ার আগে বা পরে, শ্রেণিকক্ষে বা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বা বাইরে কোনও শিক্ষার্থী কর্তৃক (এককভাবে বা দলগতভাবে) অন্য কোনও শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করা, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা, অশালীন বা অপমানজনক নামে ডাকা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা, কোনও বিশেষ শব্দ বারবার ব্যবহার করে উত্ত্যক্ত বা বিরক্ত করাকে স্কুল বুলিং হিসেবে গণ্য করা হবে।

নীতিমালায় মৌখিক, শারীরিক ও সামাজিক- এই তিন ধরনের বুলিং চিহ্নিত করা হয়েছে। যদি কাউকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু বলা বা লেখা বা খারাপ কিছুর প্রতি ইঙ্গিত করা, উপহাস করা, খারাপ নামে সম্বোধন ও অশালীন শব্দ ব্যবহার ও হুমকি দেয়া হয় তাহলে সেটা মৌখিক বুলিং হবে।

যদি কাউকে কোনও কিছু দিয়ে আঘাত, চড়-থাপ্পড় দেয়া, লাথি ও ধাক্কা মারা, থুথু নিক্ষেপ, জিনিসপত্র জোর করে নিয়ে যাওয়া বা ভেঙে ফেলা ও মুখ বা হাত দিয়ে অসৌজন্যমূলক অঙ্গভঙ্গি করা হয় তাহলে শারীরিক বুলিং হবে।

যদি সামাজিক স্ট্যাটাস, একক বা দলগত বন্ধুত্ব বা পারস্পরিক সম্পর্ক, ধর্মীয় পরিচিতি বা বংশগত অহংবোধ থেকে কোনও শিক্ষার্থীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা, কারও সম্পর্কে গুজব ছড়ানো এবং প্রকাশ্যে কাউকে অপমান করা, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র বা জাত নিয়ে কোনও কথা বলা হয় তাহলে সামাজিক বুলিং হবে।

বুলিং প্রতিরোধে অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কে নীতিমালায় বলা হয়েছে, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীকে স্কুলের নিয়মকানুন মেনে চলা ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে হবে। পিতামাতা তাদের সন্তানদের ভালবাসার মাধ্যমে মূল্যবোধ শিক্ষা দিবেন। সন্তান বুলিংকারী বা বুলিংয়ের শিকার যাই হোক না কেন, পূর্বাপর না জেনে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকবেন। কারো সামনে পিতা-মাতা ঝগড়া বিবাদে জড়িত হবেন না। বুলিংকারীর বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত নিলে বিরোধিতা না করে সহযোগিতা করা।

আর স্কুলের ক্ষেত্রে যে কোনও ধরণের বুলিংয়ের ব্যাপারে কঠোর নীতিমালা (জিরো টলারেন্স) গ্রহণ করা। স্কুল বুলিংয়ের সর্বোচ্চ শান্তি হিসেবে টিসি প্রদানের পূর্ব ঘোষণা দেওয়া, বুলিংয়ের ঘটনায় অভিযোগ শোনা ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, যেকোনও ব্যবস্থা নিরপেক্ষভাবে গ্রহণ করতে হবে। সামাজিক উচুনিচু ভেদাভেদ করা যাবে না। স্কুলের বিরতির সময় তদারকি জোরদার, স্কুল প্রাঙ্গণ, করিডোর ও শ্রেণিকক্ষ সিসিটিভির নজরদারিতে রাখা, বুলিংয়ের খারাপ দিক তুলে ধরে স্কুলে নাটক বা অভিনয় মঞ্চস্থ করা, বুলিংয়ের ভুক্তভোগীকে শিক্ষক ও স্কুলের কর্মীদের মানসিক সমর্থন দেয়া ও স্কুলের নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষকদের চাপমুক্তভাবে দায়িত্ব পালনের পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বুলিংকারী এবং বুলিংয়ের ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত বিবরণ নেওয়া উত্তম। যদি সাক্ষী থাকে তাহলে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা। তাদের আলাদা আলাদা বক্তব্য শুনবে প্রতিরোধ কমিটি। উভয়কে যত্নসহকারে কাউন্সেলিং করা উচিত, যাতে তাদের আচরণে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, সাইবার বুলিং যেমন- বাজে ক্ষুদেবার্তা বা গোপন কিছু অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি একটি নতুন সমস্যা। এ ধরণের অভিযোগ পেলে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ শিক্ষক বা স্কুলের কর্মী দ্বারা ঘটনা তদন্ত করতে হবে। স্কুলে ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা, ছবি তোলা ও ভিডিও নিষিদ্ধ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা, যেকোনও পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের পরামর্শ নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া,  স্কুলে কোনও প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যাবে না, যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দল বা উপদলের সৃষ্টি হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী আত্মহত্যা করলে সুপ্রিম কোর্টের চারজন আইনজীবী ঘটনাটি নজরে আনলে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তখন ‘বুলিং’ প্রতিরোধ করতে একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেন আদালত। আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে। যা গত ১০ জুলাই বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গাঠিত হাইকোর্টেও দ্বৈত বেঞ্চে দাখিল করা হয়। ওইদিন আদালত বুলিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা যাতে অভিযোগ জানাতে পারে সেজন্য স্কুলে অভিযোগ বাক্স খোলার বিষয়টি নীতমালায় অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশ দেন।

   

দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মেজর মান্নান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।

;

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;