জাদুকাটা নদী থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জাদুকাটা নদী থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে জেলা প্রশাসকের বালু মহাল ঘোষণা এবং ইজারা বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, খনিজ সম্পদ সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) আটজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ অন্তবর্তীকালীন এ আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেন।
আদালতের রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান ও আইনজীবী ফয়েজ আহমেদ।
গত ২২ মে সুনামগঞ্জের ডিসি জাদুকাটা নদীকে বালু মহাল ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দেন। স্থানীয় একটি পত্রিকায় এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে গত ৯ জুলাই ডিসি জাদুকাটা নদীর বালু মহাল ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেন দৈনিক ইত্তেফাকে।
বালু মহাল ঘোষণা এবং ইজারা বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লিগ্যাল সাপোর্ট এবং পিপলস রাইট ফাউন্ডেশনের (এলএসপিআরএফ) চেয়ারম্যান আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন।
রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে ৭ মার্চ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয় সারা দেশের যেখানে বালু ও পাথর সমৃদ্ধ তা খনিজ সমৃদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৯৯২ সালের খনি ও খনিজ সম্পদ আইনে এটিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
জাদুকাটা নদীতে বালুর সাথে নুড়ী পাথর রয়েছে বিধায় এটি খনিজ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে বিধায় বালু মহালের মধ্যে পড়ে পড়ে না। তা সত্ত্বেও সুনামগঞ্জের ডিসি জাদুকাটা নদীকে বালু মহাল ঘোষণা দিয়েছেন যা আইন পরিপন্থী।