কুমিল্লায় ট্রাক উল্টে যাওয়া

১৩ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিতে রুল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
হাইকোর্ট

হাইকোর্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার ইটভাটায় ট্রাক উল্টে ১৩ শ্রমিক নিহত ও ২ জনের আহত হওয়ার ঘটনায় তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিহত ও আহতদের জীবন রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, পরিবেশ সচিব ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসকসহ ছয়জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নিহতদের পক্ষে দুই স্বজনের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মিজবাহুল আনওয়ার। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী মো. সোহরাব হোসেন ও মো. জামাল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

জুন মাসে রিট আবেদনটি করেন নিহত রঞ্জিত চন্দ্র রায় ও তরুণ চন্দ্র রায়ের পিতা সুরেশ চন্দ্র রায় ও মো. সেলিম মিয়ার পিতা মো. জাহাঙ্গীর আলম।

গত ২৫ জানুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের করিমপুরে ঘুমন্ত ইটভাটার শ্রমিকদের ওপর ট্রাক উল্টে পড়লে ১৩ জন শ্রমিক মারা যান। নিহত শ্রমিকদের সবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়।

এ ঘটনা নিয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ‘ঘুম থেকে চিরঘুমে’, ‘ঘুমের মধ্যে চিরঘুমে ১৩ জন’ এবং ‘চৌদ্দগ্রামে কয়লার ট্রাক উল্টে ১৩ শ্রমিকের মৃত্যু’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমের এসব প্রতিবেদন রিট আবেদনে যুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কের পাশে করিমপুর (দোসরী) গ্রামের বিশাল ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ‘কাজী অ্যান্ড কোং’ নামে ইটভাটার ঝুপড়ি ঘরে গাদাগাদি করে ঘুমাতেন শ্রমিকরা। ওই দিন ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে ছিলেন সবাই। ভোরের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কয়লাভর্তি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-০১১৪) থেকে কয়লা নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ট্রাক শ্রমিকরা। এ সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইটভাটা শ্রমিকদের থাকার ঘরের ওপর গিয়ে উল্টে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১২ শ্রমিক। গুরুতর আহত একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতরা হলেন—নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), তার ভাই তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. সেলিম মিয়া (২৮), অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে দিপু চন্দ্র রায় (১৯), কিশোর চন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর চন্দ্র রায় (২১), রামপ্রসাদের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র রায় (১৯), কামিক্ষার ছেলে অজিত রায় (২০), শিমুলবাড়ি গ্রামের মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় (১৯), খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে মৃণাল চন্দ্র রায় (২১), পাঠানপাড়া গ্রামের নুর আলমের ছেলে মো. মোরসালিন (১৮), ফজলুল করিমের ছেলে মাসুম (১৮), রাজবাড়ি গ্রামের খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮) ও ধলু চন্দ্র রায়ের ছেলে কনক চন্দ্র রায় (২৫)। গুরুতর আহত দুই জন হলেন—বিষ্ণু চন্দ্র ও মো. রিপন।

   

বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন।’

মো. আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

আশফাকুল ইসলাম ১৯৫৯ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এ কে এম নুরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আর মাতা জাহানারা আরজু একুশে পদক প্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক।

;

বান্দরবানে ৫২ কেএনএফ সদস্য রিমান্ডে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনার মামলায় ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ৫৭ জনকে আদালতে তোলা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫২ জনকে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী। শুধু এক নারী আসামিকে জেল গেটে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে বলা হয়েছে। বাকি চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টায় আসামিদের বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইনের এজলাসে হাজির করা হয়।

এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী মহতুল হোসেন যত্ন আসামিদের জামিন আবেদন করেন। তখন বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ড আবেদন করেন, আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আবেদনের ওপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রুমা ও থানচিতে ৩টি ব্যাংক ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বান্দরবানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চিরুনি অভিযানে আটক করা হয়। এই পর্যন্ত মোট ৬৬ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

;

সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা হাবিব-দীপক আত্মসমর্পণ করে কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব ও যুবদলের ক্রীড়া সম্পাদক আবুল মনছুর খান দিপককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন৷ শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত বছর আসামিদের বিরুদ্ধে পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় দুই বছর এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আজ তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

;

পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন মামলার বাদী ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত পরে আদেশ দিবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া মর্মেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী (মদ পানকারী)। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে মদ পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে মদ পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল মদের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। 

বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন ও ভাঙচুর করেন।

;