খালেদার জামিন আবেদন খারিজ
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের পর বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে যাওয়ার সময় বিএনপির আইনজীবীরা শেম... শেম... (লজ্জা) বলে চিৎকার দিতে থাকেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। খালেদার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর মো. নাসির উদ্দিন, নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এর আগে গত ২৮ জুলাই খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের আবেদন মেনশন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। কোর্ট এ আবেদনের উপর শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন।
গত ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসে।
এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের এ বেঞ্চ খালেদার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারিক আদালতের রায়ের নথি দুইমাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর ড. মো. আকতারুজ্জামান।
রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাতবছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট।