হাইকোর্টে ওসি মোয়াজ্জেমের ফের জামিন আবেদন
ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন আবারও হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী রানা কাওসার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।
বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
আইনজীবী রানা কাওসার জানান, আবেদনটি কার্যতালিকায় আসার পর শুনানি হবে। তিনি (ওসি মোয়াজ্জেম) অসুস্থ। জামিন পেলেও দেশ ত্যাগ করবেন না। এ যুক্তিতে জামিন মঞ্জুরের আর্জি রয়েছে আবেদনে।
এর আগে গত ৯ জুলাই কারাগারে থাকা ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নট প্রেস রিজেক্ট) করে দেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ ।
উত্থাপিত হয়নি মর্মে জামিন আবেদন খারিজ হলে সেটি অন্য কোনো বেঞ্চে শুনানির জন্য নেওয়ার সুযোগ থাকে।
২০ দিন আত্মগোপনে থাকার পর আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আসলে গত ১৬ জুন গ্রেফতার হন ওসি মোয়াজ্জেম। পরদিন তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের (বাংলাদেশ) বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার মা সোনাগাজী থানায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ছাত্রী অভিযোগ দাখিল করেন। এ ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এ জবানবন্দি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওসির কাছে দেওয়া জবানবন্দি ভাইরাল হওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ২৭ মে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।