দেওয়ান হোল্ডিংসের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ভবনের সাইনবোর্ড

ভবনের সাইনবোর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ‘মহিউদ্দিন টাওয়ার’ নামে বহুতল ভবন নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ দেওয়ান হোল্ডিংস লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ করেছে জমির মালিকপক্ষ। এ নিয়ে ডেভেলপার কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

অবিরাম চুক্তিভঙ্গের মাধ্যমে ভবনটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় ফেলে রেখেছে দেওয়ান হোল্ডিংস। ফলে গত পাঁচ বছরেও ভবনের ফ্ল্যাট বুঝে পায়নি মালিকপক্ষ।

জমির মালিকপক্ষের অভিযোগ, দেওয়ান হোল্ডিংস লিমিটেড একটি ভুঁইফোড় কোম্পানি। এটি রিহ্যাব সদস্যভুক্ত কোন কোম্পানি নয়।

উত্তর বাড্ডার ছ-৬৮ নম্বর বাড়ির ১১ কাঠা জমির মালিক পৈত্রিক সূত্রে তিন ভাই খন্দকার মাহবুব আলী, খন্দকার মনোয়ার আলী, খন্দকার মোসাদ্দেক আলী ও তাদের বোন জিনাত আরা বেগম। এ জমিতে ১০ তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর ৫৬/১ পুরানা পল্টনের দেওয়ান হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান মো. আবদুস সাত্তারের সঙ্গে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন তারা।

এরপর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ঢিমেতালে নির্মাণ কাজ চলায় চুক্তি মোতাবেক সাড়ে তিন বছরে ভবন নির্মাণে ব্যর্থ হয় দেওয়ান হোল্ডিংস। পরে এক বছর দশ মাস সময় বাড়িয়ে দেয় জমির মালিকপক্ষ। তারপরেও নির্মাণ কাজ শেষ করতে না পারায় দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালের ১২ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এ সময়েও ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেনি কোম্পানিটি।

মালিকপক্ষের অভিযোগ দেওয়ান হোল্ডিংসের অদক্ষতা ও অবহেলায় দশম তলার ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও রাজউক থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে মাত্র ৭ তলা নির্মাণের। তা সত্ত্বেও কোম্পানিটি অবৈধভাবে অষ্টম তলায় স্থাপনা নির্মাণ করেছে। ভবনে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছে মালিকপক্ষ।

তাদের অভিযোগ, জমির মালিকপক্ষকে ১৮টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করার শর্ত থাকলেও দেওয়া হয়েছে মাত্র ৬টি। বাকি ১২টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়নি। অন্যদিকে ডেভেলপার কোম্পানি তাদের প্রাপ্য ১৮ ফ্ল্যাটের ১৬টি এরইমধ্যে বিক্রি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী জমির মালিকপক্ষের ফ্ল্যাট হস্তান্তরে বিলম্বজনিত কারণে ৪৩ লাখ টাকা ভাড়া দিতেও গড়িমসি করছে।

চুক্তিমতে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে সালিশি আদালতে যাওয়ার শর্ত রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় এবং পাওনা ৪৩ লাখ টাকা বার বার চাইলেও কর্ণপাত করেননি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাত্তার।

শেষ পর্যন্ত গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সালিশি আইন ২০০১ এর অধীনে ঢাকার জেলা জজ আদালতে মামলা করেন জমির মালিক খন্দকার মাহবুব আলীসহ চারজন। ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত দেওয়ান আবদুস সাত্তার ও তার স্ত্রীকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।

নোটিশের জবাব না দেওয়ায় আদালত মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পরে গত ১৩ মে জেলা জজ আদালত ভবনের কোন ফ্ল্যাট বা অংশ অন্যত্র কোনভাবে যেন হস্তান্তর না করতে পারে এ জন্য উভয়পক্ষের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (স্থিতাবস্থা) নির্দেশ দেন। এ স্থিতাবস্থা মেয়াদ বাড়ানোয় তা এখনও বলবত রয়েছে। আগামী ২৬ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সালিশি আদালতে মামলা দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দেওয়ান সাত্তার। তিনি হুমকি-ধামকি দিলে জমির মালিক খন্দকার মনোয়ার আলী বাড্ডা থানায় দেওয়ান সাত্তারের বিরুদ্ধে জিডি করেন। জিডির পরেও হুমকি অব্যাহত থাকায় জমির অপর অংশীদার খন্দকার মাহবুব আলীর ছেলে খন্দকার মাহফুজ আহমেদ বাদী হয়ে দেওয়ান সাত্তার, তার সাইট ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমান (সবুজ) ও মো. রেজাউল করিমের (রেজা) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আর হুমকি দেওয়া হবে না এমন মুচলেকা দিয়ে অব্যাহতি পান দেওয়ান সাত্তার ও অন্যরা।

খন্দকার মাহবুব আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে ভবনের কাজ শেষ করতে পারেনি দেওয়ান হোল্ডিংস। দুই দফায় সময় বাড়ানোর পরেও ভবনটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা চাই তারা দ্রুত নির্মাণ শেষ করে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করুক। ভাড়া বাবদ আমাদের পাওনা ৪৩ লাখ টাকা দিতে হবে। আর ভবনের প্রয়োজনে গুণগতমানের সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের যন্ত্র প্রকৌশল শাখায় চাকরি করতেন দেওয়ান আবদুস সাত্তার। ২০১০ সালে অবসরের পর তিনি ডেভেলপার কোম্পানি দেওয়ান হোল্ডিংস প্রতিষ্ঠান করেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান দেওয়ান আবদুস সাত্তারের স্ত্রী।

যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না করা প্রসঙ্গে দেওয়ান আবদুস সাত্তার বলেন, আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেছেন, তাই কাজ করতে পারছি না।

স্থিতাবস্থা গত ১৬ মে জারি হয়েছে, গত ৫ বছরে কেন কাজ শেষ হয়নি তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে স্বীকার করেছেন, নানাবিধ সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ে ভবনের কাজ শেষ করা যায়নি।

   

দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মেজর মান্নান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।

;

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;