মিন্নির জবানবন্দির আগে এসপির সংবাদ সম্মেলন, প্রশ্ন হাইকোর্টের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট বলেছেন, তদন্ত চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গণমাধ্যমে কথা বলার বিষয়ে নীতিমালা থাকা দরকার। আদালত বলেছেন, তদন্ত পর্যায়ে কথা বললে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়।

রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

শুনানিতে আদালত বলেন, মামলা তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় সে বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) কিভাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মিন্নি দোষ স্বীকার করেছে? তখনও আসামি (মিন্নি) আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দেয়নি।

আদালত বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি ইদানীং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) করে আসামিকেও হাজির করা হচ্ছে। এর আগে গাজীপুরের এক জঙ্গির মামলার সময় আমরা (আদালত) বলেছিলাম, আসামিদের এভাবে মিডিয়ার সামনে হাজির করে বক্তব্য (সংবাদ সম্মেলন) না দিতে। কিন্তু এখন দেখছি বিভিন্ন সময় আসামিদের মিডিয়ার সামনে হাজির করা হচ্ছে। এটা দুনিয়ার আর কোন দেশে আছে কিনা জানা নেই।

আদালত আরও বলেন, শুধু এ মামলায় না আরও অনেক মামলায় আমরা সংবাদ সম্মেলন (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর) দেখছি। তদন্ত পর্যায়ে এ ধরণের সংবাদ সম্মেলন করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? বরগুনার এসপি বলেছেন, আসামি মিন্নি দোষ স্বীকার করেছে। বিচারিক জবানবন্দির আগে এসব কি পাবলিকের (সংবাদ সম্মেলন করে) সামনে বলা যায়? প্রায় দেখা যায়, তদন্ত পর্যায়ে এ ধরণের ব্রিফিং করা হচ্ছে, যা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। সে (মিন্নি) যদি দোষ স্বীকার করেও তাহলেও কি এসপির এ ধরণের সংবাদ সম্মেলন করা ঠিক হয়েছে?

এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, এটা করা উচিত হয়নি।

আদালত বলেন, মিন্নিকে সকালে সাক্ষী হিসেবে নেওয়া হয়েছে পুলিশ লাইনে। রাতে তাকে আসামি করা হয়েছে। তাহলে সুষ্ঠ তদন্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু আছে?

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মিন্নিকে অনেক পরে (মামলা হওয়ার) ডাকা হয়েছে।

আদালত বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের অনেক নিয়ম নীতি রয়েছে। আগে ক্যান্টনমেন্টে ডাকা হতো। সেখানে একজন লোককে নেয়া হলে তার মানসিক অবস্থা কি হতে পারে?

মিন্নির আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, জামিন আবেদনকারীকেও (মিন্নি) সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছিলো। পরে আসামি করা হয়েছে।

তখন আদালত বলেন, অতি উৎসাহী হলে নানান সমস্যা হয়। এগুলোর একটা নীতিমালা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে) থাকা দরকার।

তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, আগামী ২২ আগস্ট এ মামলায় বিচারিক আদালতে পুলিশ প্রতিবেদনের দিন ধার্য রয়েছে। সেখানে সব উঠে আসবে।

তখন আইনজীবী আমিন উদ্দিন বলেন, ১৬৪ ধারায় মিন্নির জবানবন্দি পড়লে বোঝা যায়, এটা সাজানো। একজন মানুষের কি এত ক্ষমতা যে তিনি এত সুন্দর করে ঘটনার বর্ণনা দেবেন? আসামিকে (মিন্নি) যদি জামিন দেয়া হয় তবে কোনভাবেই তদন্ত প্রভাবিত হবেনা। জামিন দিলে সে পালিয়ে যাবেনা। তার বাবার হেফাজতে থাকবে। 

আমিন উদ্দিন বলেন, তাকে ডেকে নিয়ে সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার দেখানো হয়। একটা মেয়েকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তার উপর কতটা চাপ থাকে তা বোঝা যায়! এছাড়াও এ মামলার আরেক আসামিকে ১ জুলাই গ্রেফতারের পর ১৪ জুলাই জবানবন্দি নেয়া হয়েছে যার মধ্যে একটি বড় সময়ের ব্যবধান রয়েছে।

এরপর আদালত মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ২৮ আগস্ট এ রুলের ওপর শুনানি হবে। একইসঙ্গে মিন্নির জবানবন্দির বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন। আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে তাকে ওই ব্যাখ্যা দিতে হবে। এছাড়া এ মামলার যাবতীয় নথি (কেস ডকেট) নিয়ে হাজির হতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলবের আদেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন: মিন্নির রিমান্ড ও জবানবন্দির তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট

 হাইকোর্টে ফের মিন্নির জামিন আবেদন

 মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর

   

পদে থেকেই উপজেলায় প্রার্থী হতে পারবেন ইউপি চেয়ারম্যানরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পদত্যাগ না করেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। কুষ্টিয়া ও সিলেটের দুটি উপজেলা নির্বাচনের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আদেশ দিয়েছেন আদালত।

;

কুমিল্লায় পারভেজ হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যা মামলায় একই উপজেলার কালিবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সেকান্দার আলীসহ ১৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ও ৩ পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার ধনুয়াখালী এলাকার মৃত হাজী মো. আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সেকান্দর আলী (৬৪), একই এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. শাহীন (৩৯), সৈয়দপুর এলাকার আব্দুস সাত্তার এর ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২), কমলাপুর এলাকার মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২১), যশপুর এলাকার মৃত আহমেদ আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, কমলাপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. জয়নাল মাস্টারের ছেলে মো. কায়সার (৩২), কমলাপুর এলাকার মৃত মনিরের ছেলে মো. রিয়াজ (৩৩), মনশাসন এলাকার শফিক মেম্বার এর ছেলে বিল্লাল, কমলাপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে কামাল হোসেন, কালির বাজার ইউনিয়নের আবদুল ওহেদ এর ছেলে মো. ইব্রাহীম খলিল (৪৫), রায়চোঁ এলাকার ইমদাদুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান, সৈয়দপুর এলাকার মৃত হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, নারায়নসার এলাকার মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে আনোয়ার।

মামলার তথ্যমতে, ২০২০ সালের ১০ জুন কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে কবরস্থান সংলগ্ন বাগানে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা পারভেজকে নির্মমভাবে হত্যা করে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী এবং তার বাহিনীর ক্যাডারেরা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শরিফুল ইসলাম জানান, এই চাঞ্চল্যকর পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে এজাহারে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। এই ঘটনায় চারজন আসামির ১৬৪ ধারা জবানবন্দি ও ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত ১৪ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। রায়ের সময় ১৪ জন আসামির মধ্যে ১১ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাকী ৩ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।

;

চট্টগ্রামে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের মামলায় যুবকের ২২ বছর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের রাউজান থানায় রাবার বাগান থেকে ৫ বছর আগের অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের একটি মামলায় মো. আলমগীর নামরে এক যুবকের ২২ বছরের কারাদণ্ডের দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১৫ এর বিচারক আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আলমগীর প্রকাশ আলম ডাকাত (৪৬) রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির মো .আবদুল ছাত্তারের ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর রাউজান থানার পূর্ব রাউজান গ্রাম রাবার বাগান ঘোড়া সামছু টিলার এলাকা থেকে মো. আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় দেশি তৈরি কারখানা থেকে ১০টি দেশি তৈরি শর্টগান সদৃশ বন্দুক, ১টি গ্যাস গান, ৫টি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, ১টি পুরাতন ম্যাগাজিন, ৭টি কার্তুজের খোসা, ৩টি দেশীয় তৈরি এক নালা বন্দুক ও ২৭টি কাঠের বাটসহ দেশীয় তৈরি অস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাউজান থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইমুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাফেজ আহম্মেদ জানান, সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. আলমগীরকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

কার্তুজের জন্য ৭ বছর কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। মোট ২২ বছর কারাদণ্ড দিলেও দুটি কারাদণ্ড একসঙ্গে চলবে, আসামি আলমগীরকে ১৫ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

স্ত্রী জামিন পেলেও পাননি ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র মামলায় ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আশফাকুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।

শুনানির পর খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, এটা জামিনযোগ্য অপরাধ। আশফাকুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে এবং তানিয়া খন্দকারকে অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন।

এর আগে গত ২১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। প্রীতি ওড়ান নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনের বাসিন্দা ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করতেন।

এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান।

মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ৩০৪ (ক) ধারায় অভিযোগ করা হয়। এরপর ৬ জানুয়ারি তাদের গ্রেফতার করা হয়। ৭ জানুয়ারি আদালত আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাদের তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন । ১৮ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

ঘটনার পরিক্রমায় গত ২ এপ্রিল ডেইলি স্টার থেকে সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

;