পদ্মা সেতুতে কাটা মাথার গুজব: সেই নাজমুলের জামিন হয়নি
‘পদ্মা সেতুতে এক লাখ মানুষের কাটা মাথা লাগবে’ এমন গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেফতার নড়াইলের নাজমুল হোসেন বাবুর (৪০) জামিন হয়নি হাইকোর্টে।
তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকো।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিতে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, আসামি তার মোবাইল ফোনের মেসেঞ্জার থেকে গুজবের বিষয়টি অন্য মোবাইলে দেননি।
জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, আসামি সাতজনের মেসেঞ্জারে গুজবটি ছড়িয়েছেন। বিষয়টি সিআইডির মাধ্যমে নিশ্চিত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালত জামিন না দিয়ে রুল জারি করেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট নাজমুল হোসেন বাবুর জামিন চেয়ে নড়াইল আদালতে আবেদন করা হয়। এরপর ওই জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে তা নাকচ করেন নড়াইলের ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ মো. হায়দার আলী খোন্দকার। এরপর বিচারিক আদালতের জামিন না পেয়ে সে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
নাজমুল তার ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার আইডি থেকে 'পদ্মা সেতু নির্মাণে এক লাখ কাটা মাথা লাগবে' লেখা একটি মেসেজ বিভিন্ন জনের মেসেঞ্জারে পাঠান। তাকে তার মোবাইলসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২), ৩১(২), ৩৫ ধারায় ২৫ জুলাই নড়াইল সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন নড়াইল সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস হোসেন।