ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের মামলায় অপূর্ব সরকার নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। তাকে রায়ের অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও চার মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপূর্ব সরকার টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের সিংজুড়ির গৌর চন্দ্র সরকারের ছেলে।
পূর্ব পরিচয়ের কারণে আসামি ভিকটিমকে মালিবাগ হোসাফ টাওয়ারে ডেসটিনি গ্রুপের একটি ট্রেনিংয়ে ভর্তি করে দেন। আসামি ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় চাকরি, প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন।
২০১১ সালের ১১ এপ্রিল ডেসটিনি অফিস থেকে মিটিং শেষে আসামি ভিকটিমকে তার বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাকে মহাখালী এমএ ম্যানশনে নিয়ে যান। ভিকটিমকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজি হয় এবং তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে যায়। পরে আসামি অপূর্ব সরকার তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
ভিকটিম আসামিকে বিয়ের চাপ দিলে ওই বছরের ১৩ এপ্রিল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে ভিকটিমের সিঁথিতে সিঁদুর পরায়। ১৬ মে আসামি ভিকটিমের মা ও বোনকে অঙ্গীকারনামা দেয় যে, সে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাকে ঘরে তুলবে। কিন্তু সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৭ মার্চ আসামি ভিকটিমকে জানিয়ে দেয় তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন না, ঘরেও তুলে নেবেন না।
২০১৩ সালের ২১ মার্চ ভিকটিম আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। রায়ে আগে চার্জশিটভুক্ত ১১ সাক্ষীর ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।