কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ৫



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
কাশ্মিরের গাড়ি তল্লাশি করার অস্থায়ী একটি চেকপোস্টে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ কাশ্মিরি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ কাশ্মিরের সোপিয়ানে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। নিহতদের মধ্যে একজনকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তারা অপর তিনজনকে ওই ‘সন্ত্রাসীর’ সহযোগী বলে দাবি করলেও স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই তিনজন সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত বেসামরিক। নিহত অপরজন একজন বেসামরিক শিক্ষার্থী, তাকে একটি গাড়ির ভিতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, রাত ৮টার দিকে চেকপোস্টে তল্লাশিরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা একটি গাড়িকে থামার সঙ্কেত দিলে গাড়ি থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর পাল্টা গুলিতে ওই গাড়িটির সব আরোহী নিহত হন। নিহত ‘সন্ত্রাসীকে’ শাহিদ আহমদ দার বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি সোপিয়ানের বাসিন্দা। তার কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, “গাড়িতে থাকা ওই তিন ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (ওজিডব্লিউএস) বা সহযোগী ওই সন্ত্রাসীর সঙ্গে ছিল, তাদেরও মৃত পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।” কিন্তু সোপিয়ানের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চলতি বছর এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সেনাবাহিনীর গুলিতে বেসামরিকরা নিহত হল এবং এই ঘটনায় অস্থিরতা শুরু হতে পারে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেনাবাহিনীর গুলিতে তিন ব্যক্তি নিহত হলে প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কাশ্মির। সেনাবাহিনীর দাবি করেছিল, পাথর নিক্ষেপকারী উত্তেজিত জনতার সহিংসতা মোকাবিলা করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। সেনাবাহিনীর যে বহরটি জনতার রোষের মুখে পড়েছিল সেই বহরের নেতৃত্বে থাকা কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছিল। এতে ভারতজুড়ে ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। গত মাসে ওই সেনা কর্মকর্তার পিতার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রোববারের ঘটনার বিষয়ে কোনো এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
   

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কাল থেকে ভোটগ্রহণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ। সাত দফায় দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ফলে এ নির্বাচন হতে চলেছে বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় নির্বাচন।

নির্বাচনের আগ মূহুর্তেও ভারতের রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে মরিয়া। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মোদির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ ইন্ডিয়া জোটও বসে নেই। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবার পশ্চিমবঙ্গসহ আসামে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রচার চালাচ্ছে। দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টিসহ দেশটির অন্যান্য রাজ্যের অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোও প্রচারে ব্যস্ত। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া জোটের অপর গুরুত্বপূর্ণ নেতা অখিলেশ যাদবকে নিয়ে প্রচারে নেমেছেন। মাঠে সরব রয়েছেন কংগ্রেসের জনপ্রিয় মুখ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।

এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশনও এরই মধ্যে শেষ করেছে ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। প্রথম দফায় আগামীকাল (শুক্রবার) ১৯ এপ্রিল ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফা ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারের বেশি।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এবার ভারতে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ।

দেশজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভায় ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে, তেমনই মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও রয়েছে।

;

ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। 

কর্মকর্তাদের মতে, মিত্রদের কাছ থেকে বিমান প্রতিরক্ষা সহায়তার জন্য নতুন করে আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার পর ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, রাশিয়ার হামলায় বেশ কিছু বহুতল ভবনসহ পার্কিং করা গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এতে তিন শিশুসহ ৬০ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অলেক্সান্ডার লোমাকো বলেছেন, একটি ভবনে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত করেছে এবং বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিয়েভের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, হামলায় আরও চারটি উচ্চ ভবন, একটি হাসপাতাল, কয়েক ডজন গাড়ি এবং একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জরুরি পরিষেবাগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং কর্মকর্তারা জনসাধারণকে রক্ত ​​দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন।

চেরনিহিভ রাশিয়ান সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দূরে অবস্থিত।

 

;

ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান-ইসরায়েলের উত্তেজনার মধ্যেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ১৪ ইসরায়েলি সৈন্য আহত হন।

এ হামলার দায় স্বীকার করে গোষ্ঠীটি জানায়, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ সদস্যদের জন্য প্রতিশোধ নিতেই এমন হামলা চালানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে গোষ্ঠীটির শীর্ষ কমান্ডারসহ কয়েকজন নিহত হন। সেই হামলার পাল্টা প্রতিশোধ নিতেই ইসরাইলের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে হিজবুল্লাহ।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ছজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। এ ঘটনার পর লেবানন সীমান্তে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

 

;

ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হবে কি না-ভোট আজ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা পরিষদে পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনের নাম সুপারিশ করা হবে কি না- এ প্রশ্নে আজ ভোট হবে। শুক্রবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টার দিকে হবে ভোট।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের সনদ অনুসারে, কোনো দেশ যদি এই সংস্থার সদস্য হতে চায় সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমে আবেদনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ জোগাড় করতে হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে সেই সুপারিশ সংযুক্ত করলেই কেবল দেশটিকে সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারটি বিবেচনা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

শুক্রবারের ভোটে যদি নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত ৯টি সদস্যরাষ্ট্র পক্ষে ভোট দেয় এবং স্থায়ী ৫ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীন- স্থায়ী এই পাঁচ সদস্যরাষ্ট্রের কোনোটিই যদি ভোটের প্রস্তাবে ভেটো না দেয়, তাহলেই নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ অর্জন করতে পারবে ফিলিস্তিন।

উল্লেখ্য, ৮ এপ্রিল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মাল্টার জাতিসংঘ দূত ভানেসা ফ্রেজিয়ের জানিয়েছিলেন, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনের পক্ষে সুপারিশের ব্যাপারে চলতি এপ্রিলেই সিদ্ধান্ত নেবে নিরাপত্তা পরিষদ।

এর আগে, এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র আলজেরিয়া ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের সুপারিশ সংক্রান্ত ভোটের একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ভোটের দিন ঠিক হয়। বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, পূর্ণ সদস্যপদের জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা-তদবিরের পর ২০১১ সালে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে জাতিসংঘে প্রবেশের অনুমতি পায় ফিলিস্তিন। এই ক্যাটাগরিভুক্ত দেশ বা ভূখণ্ডগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচনা-বিতর্কে যুক্ত হতে পারে, কিন্তু উত্থাপিত কোনো প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।

পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম- এই তিন ভূখণ্ডের সমন্বয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র চায় ফিলিস্তিন। কিন্তু এই ৩টি ভূখণ্ডই ১৯৬৭ সাল থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েল।

শান্তিপূর্ণ দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ‘ফিলিস্তিন’ এবং ‘ইসরায়েল’ নামে দু’টি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে সমর্থন ও তৎপরতা জারি রেখেছে। ১৯৯০ সালে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এ বিষয়ক একটি দলিলে স্বাক্ষরও করেছিল ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা।

গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ফের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য তৎপরতা শুরু করে ফিলিস্তিন, আর এই তৎপরতার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় শেষ হবে শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের মধ্যে দিয়ে।

;