আফগানিস্তানে নির্বাচনী প্রচারণায় বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহিত

ছবি: সংগৃহিত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব তাখার অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বার্তা সংস্থা এপি জানায়, শনিবারের এ বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হওয়া ছাড়াও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়। আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষ এখনও হতাহতের সংখ্যা জানায়নি।

আফগান পুলিশের এক মুখপত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী নাজিফা ইউসুফি বেকের নির্বাচনী শোভাযাত্রার পাশে রাখা একটি মোটর সাইকেলে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।

নাজিফা ইউসুফি শোভাযাত্রায় পৌঁছার পূর্বেই এ বিস্ফোরণ ঘটে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, কোন পক্ষই এ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু তালেবান বলেছিল, নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা দিয়ে যারা এই ব্যবস্থাকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে তাদেরকে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্বাচনে জালিয়াতি কমানোর প্রচেষ্টার মধ্যেই তালেবান আঘাত হানার প্রতীজ্ঞা করে।

তাখার প্রদেশটি আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে তাজাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত। গত কয়েক বছর ধরেই সেখানে তালেবানরা তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসছে।

আগামী ২০ অক্টোবর আফগানিস্তানের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২৪৯টি আসনের বিপরীতে ৪১৭ জন নারী প্রার্থীসহ মোট দুই হাজার ৫৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর শনিবারের এ হামলাসহ এ পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

অক্টোবরের দুই তারিখে নাঙারহারের পূর্বাঞ্চল প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় হামলায় ১৩ জন নিহত হন এবং আহত হন ৪০ জনেরও বেশি মানুষ।

হেলমন্দ প্রদেশে নির্বাচনী সভায় আত্মঘাতী বোমা হামলার কয়েক দিন পরেই শনিবারের এ বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে নির্বাচনে প্রার্থী সালেহ মোহাম্মদ আচেকজি সহ কমপক্ষে আটজনের প্রাণহানি ঘটে।

স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচটি হত্যার ঘটনা ঘটে।

তিন বছরেরও বেশি সময় দেরিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের ভোট প্রস্তুতি কয়েক মাস ধরে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় আদৌ ভোটগ্রহণ হবে কিনা তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে।

আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা, জালিয়াতির অভিযোগ ও ভোটগ্রহণের প্রাক্কালে এসে ভোটারদের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যাহত ও বিশ্বাসযোগ্য ফলাফল আশায় ব্যাঘাত ঘটায়।

   

 ৯৯ টি  রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ৯৯টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৫৮টি ড্রোন এবং দুই ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে।


শুক্রবার বিমান বাহিনীর এক বিবৃতিতে কিয়েভ বলেছে, ৮৪টি বিমান লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে  ৫৮টি শাহেদ ড্রোন এবং ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র।

এই ড্রোনগুলো দিয়ে ওডেসা, খারকিভ, নিপ্রোপেট্রোভস্ক, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে হামলা করে রাশিয়া। জাপোরিঝিয়ার গভর্নর জানিয়েছেন, এই ড্রোন হামলায় দুই নারী আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন। শুক্রবার তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ভারতের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গেও কথা বলবেন। রাজঘাটে গিয়ে মহত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাও জানাবেন।

গত সপ্তাহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

রাশিার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ‘পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রসহ কোনো ন্যাটো দেশকে আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই।  তবে তারা যদি ইউক্রেনকে এফ ১৬ বিমান দেয়, তাহলে রাশিয়া তা ধ্বংস করে দেবে।’

পুতিন বলেছেন, ‘ওরা এফ১৬ পাবে বলে পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কিন্তু এফ১৬ পেলেও যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি বদলাবে না।’

;

হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের উপপ্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননে শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের উপপ্রধানকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বাজুরিয়েহতে তাদের বিমান বাহিনীর হামলায় আলী আবদেল হাসান নাইম নামের হামাসের ওই কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

আইডিএফ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর রকেট ফায়ারের অন্যতম নেতা এই নাইম ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা ও পরিকল্পনার জন্য দায়ী।

এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছেন, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

;

বিয়ে করলেন জোড়া মাথার অ্যাবি-ব্রিটানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জোড়া লাগা দুই বোন অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন মার্কিন সেনা সদস্য জোশ বোলিংকে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন হলেও স্বামী একজনই। তারা মূলত মিনেসোটার বাসিন্দা।

মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত অ্যাবি ও ব্রিটানির শরীর এক হলেও মাথা সম্পূর্ণ আলাদা। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন। এমনকি খাবারের প্রতি ভালোবাসাতেও আসে পার্থক্য। কারণ তাদের হৃৎপিণ্ড, পিত্তাশয় ও পাকস্থলী আলাদা। তাই ক্ষুধাও আলাদা সময়ে পায়।

প্যাটি-মাইক দম্পতির ঘরে ১৯৯০ সালে জন্ম নেন এই যমজ দুই বোন। জন্মের সময় যমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই অপারেশন করে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়নি পরিবার। ১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

জোশ বোলিং-এর ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ২০ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের রিসেপশনে দম্পতি নাচ ও চুম্বন করছেন। সেখানে একটি সাদা, স্লিভলেস ব্রাইডাল গাউন এবং লেস-ব্যাক পোশাক পরেছিলেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

;

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও নিঁখোজ প্রায় ১০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলায় সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ১৪০ জন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তারা জানিয়েছে ওই হামলায় আহতের সংখ্যা ১৮২ জন। হামলার পর ৯৫ জনের মতো এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

বাজা নিউজ সার্ভিসের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই তালিকায় এমন লোকও রয়েছেন যাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেননি। এর মধ্যে যারা মারা গেছেন, তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

গত ২২ মার্চ রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হামলার সময় সামরিক ইউনিফর্ম পরা চার সন্ত্রাসী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে, বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এর আগে সন্ত্রাসীর সংখ্যা পাঁচ বলে জানানো হয়েছিল।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গেছে পাঁচ শতাধিক রাউন্ড গুলি। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারপারসন দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘রাশিয়া রক্ত ​​দিয়ে এর প্রতিশোধ নেবে। সন্ত্রাসীরা বোঝে শুধু সন্ত্রাসের ভাষা। বলপ্রয়োগ না করলে এবং সন্ত্রাসীদের পরিবারসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তদন্ত করে কোনও লাভ নেই।’

আরটি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পরিকল্পনা করেই ওই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আক্রমণকারীদের জন্য ক্রোকাস সিটি হলে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

মস্কোর দাবি, একজন অভিযুক্ত হামলাকারী অপরাধ স্বীকার করে পুরো পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। প্ল্যান ছিল, হামলাকারীরা আক্রমণ করার ইউক্রেনের দিকে চলে যাবে। এক্ষেত্রে তিন হামলাকারীর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, সন্ত্রাসীরা পুরো হল পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদন্তের সময় হলটিতে রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে।

এদিকে, ওই হামলার পর থেকে ভিকটিমদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছে রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো। ‘ক্রোকাস হেল্প সেন্টার’ নামক একটি টেলিগ্রাম চ্যাটে জড়ো হওয়া ভিকটিমদের বন্ধু এবং আত্মীয়রাও নিজেদের মতো করে খোঁজ চালাচ্ছেন।

এদিকে, বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, যেমন ১৫ বছর বয়সি আর্সেনি, যিনি তার মা ইরিনা ভেদেনেইভার সঙ্গে কনসার্টে গিয়েছিলেন। রবিবার শট টেলিগ্রাম চ্যানেল আর্সেনির একটি ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তিনি কনসার্ট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দাদিকে এই ছবি পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

তার মাকে ইতিমধ্যেই মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত নিশ্চিত মৃতদের তালিকায় মা ও ছেলে উভয়ের নাম রয়েছে।

;