হামাস-ইসরাইলের সংঘাতে অস্ত্রবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর করায় প্রতিবাদের মুখে পদত্যাগ করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাবিগদর লিবারম্যান। হামাসের সাথে অস্ত্রবিরতির চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরাইলের সাধারণ জনতা ও সরকারি কর্মকর্তারা।
এ ক্ষোভের মুখে বুধবার (১৪ নভেম্বর) অ্যাবিগদর লিবারম্যান নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করে।
পদত্যাগ করার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিবারম্যান বলেন, ‘অনেক মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও বর্তমান সরকারের একজন বিশ্বস্ত সদস্য হিসেবে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ চেষ্টা ব্যর্থ হলো।’
গত সোমবার রাতে গাজায় পাল্টাপাল্টি আক্রমণ চালায় ইসরাইল ও হামাস বাহিনী। এই ঘটনার পর ইসরাইল হামাসকে লক্ষ্য করে বিমান অভিযান চালায় এবং হুমকি দিতে থাকে। এতে করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই বাহিনীর পাল্টাপাল্টি হামলায় অন্তত আট জন নিহত হয়। এরপর মিশরের মধ্যস্ততায় অস্ত্রবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর করেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও হামাস নেতারা।
এই চুক্তি করাতেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠে ইসরাইলি জনতা। আর এই ক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
তবে দেশের মানুষের তোপের মুখে পড়লেও ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পাশে পাচ্ছেন লিবারম্যান।
নেতানিয়াহু চুক্তিটি সম্পর্কে বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে এই সিদ্ধান্ত সময়ের দাবি ছিল। তবে সেটা জনগণ সব সময় গ্রহণ করবে না। কারণ তারা শত্রুদের লুকায়িত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানে না।’
হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জনবহুল শহর রাফাহয় মুখোশধারী সশস্ত্র ব্যক্তিরা টহল দিতে শুরু করেছেন। তারা শহরের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন বলে জানা গেছে। তাদের হাতে অস্ত্র ও লাঠি দেখা গেছে।
এঘটনার পর থেকে ওই এলাকার হামাসের সদস্যরা পালিয়ে গেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম আইনিউজ এ খবর জানিয়ে বলেছে, মূলত এলাকার একটি উপজাতীয় গোষ্ঠীর সদস্যরা এ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।
তারা নিজেদের ‘দ্য পপুলার কমিটি ফর প্রটেকশন’-এর সদস্য বলে দাবি করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, রাফাহয় যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থার মধ্যে ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ ঘটছে। সেসব প্রতিরোধে রাস্তায় নেমেছেন তারা।
জানা গেছে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ লিপ্ত থাকায় এলাকায় রসদের ঘাটতি পড়েছে। এতে করে শহরের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উপজাতীয় গোষ্ঠীর নেতৃত্বে এই সশস্ত্র ব্যক্তিরা রাফাহর দখল নিয়ে রাস্তাঘাট ও বাজারে টহল দিতে শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে গাজায় বসবাসীকারী ফিলিস্তিনিরা আইনিউজকে জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে মুখোশধারী ব্যক্তিরা অস্ত্র ও লাঠি হাতে করে গাজার দক্ষিণ শহর রাফাহর রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছেন। তারা এলাকার নিরাপত্তার রক্ষায় কাজ করছেন।
‘দ্য পপুলার কমিটি ফর প্রটেকশন’-এর একজন মুখপাত্র ফ্রান্স নিউজ এজেন্সি এএফপি’কে জানিয়েছেন, মার্চ মাসের শুরু থেকে এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা ও অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে বাজার ও পরিবহন খাত নিরাপদ রাখতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
কারা এ নির্দেশ দিয়েছেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি তিনি। এর জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি’!
এ বিষয়ে দক্ষিণ গাজায় বসবাসীকারী ফিলিস্তিনি এক ব্যক্তি নিরাপত্তার স্বার্থে নিজের নাম না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় হামাস দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই ফাঁকে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ, চুরি এমনকী খুনের মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, হামাস এখন গাজায় এখন নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছে। এতে করে এলাকায় নিরাপত্তার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে’।
তিনি বলেন, তারা (হামাস) যদি গাজা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতো, তাহলে এত চুরি, তারপরে একজন আরেকজনকে খুন করছে, এগুলো দেখতে পেতাম না। এছাড়া যখন এলাকায় ত্রাণ এসে পৌঁছাচ্ছে, তখন তা নিয়ে সবাই সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।
আইনিউজ জানাচ্ছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীর এসব সদস্যরা অরাজকতা ঠেকাতে রীতিমতে হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ, স্থানীয়দের কেউ কেউ অপরাধী চক্র গড়ে তুলেছে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী ও ত্রাণ সহায়তা সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এই অরাজক পরিস্থিতির মধ্যেও গাজায় ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একজন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সংস্থার উপপরিচালক স্কট অ্যান্ডরসন ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’-কে বলেছেন, ‘ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে আমাদের ত্রাণ পৌঁছানোর আগেই অপরাধী চক্র নিয়ে নিতে চাইছে। এটা ঠিক যেন হলিউডের সিনেমার মতো স্টাইলে ঘটছে’।
এদিকে, আইনিউজ জানাচ্ছে, হামাস এবং ইউএনআরডব্লিউএ-কে এড়িয়ে ইসরায়েল গাজার স্থানীয় পরিবারদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করতে শুরু করেছে।
অপরদিকে, যুদ্ধোত্তর গাজায় পশ্চিম তীরে স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলো যাতে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে পারে, সে বিষয়ে তাদের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে ইসরায়েল।
রাফাহ শহরের নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে, ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অব প্যালেস্টিনিয়ান ট্রাইবস’ গত সপ্তাহে একট বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রাফাহয় সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ‘প্রটেকশন কমিটিগুলো’ কাজ শুরু করেছে।
বিবৃতিতে তারা জানায়, নিরাপত্তা রক্ষায় হামাসের যে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতেন, ইসরায়েল তাদের হত্যা করেছে। তাদের স্থলাষিভিক্ত হিসেবে ‘প্রটেকশন কমিটিগুলি’ নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে।
উপজাতীয় নেতারা বলেছেন, ইসরায়েলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী হামাসকে সরিয়ে দিয়ে তারা এলাকা দখলে রাখতে চাইছেন না।
এ বিষয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় উপজাতি গোষ্ঠীর প্রধান আকেফ আল-মাস্রি বলেছেন, গাজা উপত্যকার প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে তেমন একটা মাথা ঘামায় না। তিনি বলেন, উপজাতীয় নেতারা শুধুমাত্র জরুরি ত্রাণ বিতরণ কাজের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছেন।
‘ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর গ্রুপ’-এর চেয়ারম্যান রামি আবদু বলেছেন, উপজাতীয় নেতারা হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তাদের মধ্যকার চরমপন্থি নেতাদের কারণে হামাসকে সরিয়ে ইসরায়েলের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ধরুন, আমি যদি ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই, তাহলে প্রথমেই আমাকে গুলি করে হত্যা করা হবে।
কয়েক দশক ধরে প্যালেস্টাইন ও ইসরায়েলের একটি অংশ থেকে শরণার্থীদের গাজায় আসার কারণে এলাকার প্রভাবশালী পরিবারগুলির আধিপত্য খর্ব হয়েছে বলে জানান রামি আবদু।
যুদ্ধ শুরুর পর গাজা থেকে মিশরে আশ্রয় নেওয়া লেখক ও অনুবাদক জেসন শাওয়া জানান, উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলো যদি গাজা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে, তাহলেও তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, গাজাবাসী কোনোমতেই এটা হতে দেবে না। ২০ বছর আগে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে যে অরাজকতা বিরাজ করতো, সেই অবস্থায় দাঁড়াবে গাজা।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের এই সময়ে কোনো কোনো গোষ্ঠী শরণার্থীদের ত্রাণ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
লন্ডনের কিংস কলেজের প্রভাষক ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশ্লেষক ডা. অ্যাড্রিয়াস ক্রিগ বলেন, গাজা উপত্যকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গোষ্ঠীরগুলোর বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহবোধ করবে না ইসরায়েল।
তিনি বলেন, এর আগে এই উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলো অতীতে হামাসের সঙ্গে পাল্লা দিতে চোরাচালান এবং অপধারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস হামলার পরিকল্পনা করলেও এই গোষ্ঠীগুলো তখন বেশিরকমভাবে বাড়াবাড়ি করেছিল।
এ বিষয়ে ইনো বেন মেনাচেম নামে এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, গাজায় নিরাপত্তার রক্ষায় গোষ্ঠীগুলোর পেছনে ‘সাদা পোশাকে থাকা’ হামাস কর্মীরা যুক্ত রয়েছেন।
তবে তিনি এটাও বলেন, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল জয়লাভ করলে এ সব উপজাতীয় গোষ্ঠীর কোনো কোনোটি তাদের অবস্থান পাল্টে ফেলতে পারে।
পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্নীতিতে বিজেপি: অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
আন্তর্জাতিক
নির্বাচনী বন্ড শুধু ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। এর জন্য নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ভুগতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর। তিনি বলেন, এই দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারকে ভোটাররা শাস্তি দেবেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর বলেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা সবাই দেখতে পেয়েছেন। এটাও বুঝতে পেরেছেন, এটি শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে ব়ড় দুর্নীতি। এটা বিজেপিকে ভোগাবে বলেই মনে হয়। এই নির্বাচনী বন্ড আগামী দিনে আরও বেশি করে প্রচারিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ডের যে তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাতে দেখা যায়- নির্বাচনী বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৬ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা পেয়েছে। তালিকায় তাদের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। তারা ওই সময়ের মধ্যে পেয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস পেয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ আরও চার দিন বাড়িয়েছে ভারতের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ প্রথম দফায় বাড়িয়ে ১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গত ২১ মার্চ দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মদ নীতি কেলেঙ্কারির মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত তার রিমান্ড মঞ্জুর করে ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়।
নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে রুশ গোয়েন্দা প্রধানের উ.কোরিয়া সফর : কেসিএনএ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
আন্তর্জাতিক
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে ঐতিহাসিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হওয়ার প্রেক্ষিতে রুশ গোয়েন্দা প্রধান চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ কথা জানায়।
রাশিয়ার বিদেশি গোয়েদা সংস্থা এসভিআর-এর প্রধান সের্গেই নারিশকিন ২৫ থেকে ২৭ মার্চ তার সফরকালে উত্তর কোরিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রী রি চ্যাং ডে-এর সাথে বৈঠক করেন।
কেসিএনএ জানায়, কর্মকর্তারা শত্রু শক্তির ক্রমবর্ধমান গুপ্তচরবৃত্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপের মোকাবিলা করতে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়া ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়া উভয়ই বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে শীর্ষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে কিম ঘোষণা করেন, রাশিয়ার সাথে তার দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তবে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করেছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে।
এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়া জোর দিয়ে বলেছে, গত জুলাইয়ের দিকে স্থানান্তর শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ায় প্রায় ৭ হাজার কন্টেইনার অস্ত্র পাঠিয়েছে।
ওয়াশিংটন ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া বিনিময়ে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও তার সোভিয়েত যুগের সামরিক সরঞ্জাম উন্নত করার মতো সামরিক সহায়তা চায়।
কেসিএনএ'র রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ একটি বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনার টেবিলে থাকা বিষয়গুলোর ওপর সম্পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।