পাঁচ রাজ্যের বিধানসভায় বিজেপির ভরাডুবি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সবকটি আসনে ভরাডুবি হয়েছে। তিনটি আসনে ক্ষমতা হারানোর পাশাপাশি কোন রাজ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। বিপরীতে মিজোরাম রাজ্যে ক্ষমতা হারালেও মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিসগড়ে, তেলেঙ্গা ও মিজোরামে বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতে থাকে।

পাঁচটি রাজ্যে মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিসগড়ে, তেলেঙ্গা ও মিজোরামে ভোটগ্রহণ শেষ হয় গত শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর)। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগড়ে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি।

এ নির্বাচনে তিনটি রাজ্যেই কংগ্রেসের কাছে ক্ষমতা হারিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি। পাশাপাশি বাকি দুই রাজ্য তেলেঙ্গা ও মিজোরামে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি ক্ষমতাসীন দলটি।

এদিকে বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হলেও তিনটি রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপির অধীনে থাকা মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগড় তিনটি রাজ্য এখন কংগ্রেসের দখলে।

তবে তিন রাজ্যে জয়ী হলেও কংগ্রেস ক্ষমতা হারিয়েছে মিজোরামে। রাজ্যটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতাসীন হবে আঞ্চলিক জোট এমএনএফ। অন্যদিকে তেলেঙ্গা রাজ্যে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস)। রাজ্যটিতে এর আগেও ক্ষমতায় ছিল দলটি।

ভোটের সংক্ষিপ্ত ফলাফল, মধ্য প্রদেশে ২৩০ আসনে ১১৭ টিতে জয় পেয়েছে কংগ্রেস, রাজস্থানের ১৯৯টি আসনে ১০২ আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস, ছত্তিসগড়ে ৯০টি আসনে ৬৩টিতে জয় নিয়ে এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে কংগ্রেস।

তেলেঙ্গার ১১৯ আসনের ৮৭ আসনেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আঞ্চলিক দল টিআরএস। মিজোরামে ৪০ আসনের ২৬ টিতে জয় পেয়েছে বিজেপির মিত্র জোট এমএনএফ।

উল্লেখ্য, মাত্র ৬ মাস পরেই দেশটিতে লোকসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগে বিধানসভার পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবি অনেকটা অশনি সংকেত ক্ষমতাসীন বিজেপির জন্য।

   

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে বাস খাদে, নিহত ৪৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকার লিমপোপোতে সেতুর নিচে একটি চলন্ত বাস পড়ে গিয়ে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। বেঁচে থাকা একমাত্র একটি আট বছরের মেয়েকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসযাত্রীরা মোরিয়াতে ইস্টারের সময় দীর্ঘ সপ্তাহান্তে চার্চ সার্ভিসের জন্য যাচ্ছিলেন। মারকেন ও মোকোপেন শহরের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাসটি প্রথমে সেতুতে ধাক্কা মারে, এরপর নিচের খাদে পড়ে তাতে আগুন ধরে যায়। পরিবহনমন্ত্রী চিকুঙ্গা দুর্ঘটনাস্থলে যান এবং দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত করা হবে বলে জানান।

এই দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রেসিডেন্ট রামাফোসা সবাইকে সাবধান করে দিয়ে বলেছিলেন, ইস্টার সপ্তাহান্তে যাতায়াতের সময় তারা যেন সতর্ক থাকেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলে। কিছু দেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে তা চেনা যাচ্ছে না। অন্য দেহগুলো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে ছিল বা আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছিল।

উল্লেখ্য, গত বছর ইস্টারের সময় দীর্ঘ সপ্তাহান্তে চার দিনে ২২৫ জন মারা গিয়েছিল। ১৮৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো হওয়া সত্ত্বেও সেখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়। ফলে সড়ক নিরাপত্তার দিক থেকে তা একেবারেই ভালো জায়গায় নেই।

;

দক্ষিণ আফ্রিকায় গিরিখাদে বাস, নিহত ৪৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে গভীর গিরিখাদে পড়ে আগুন ধরে যায়। এতে বাসটির ৪৬ যাত্রীর মধ্যে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পরিবহন মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম এএফপি’র খবরে বলা হয়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আট বছর বয়সী এক শিশু প্রাণে বেঁচে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাড়িটি বতসোয়ানা থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় মোরিয়ার দিকে যাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে তা সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গিয়ে আগুন ধরে যায়। এতে ৪৫ জন প্রাণ হারায়।

দুর্ঘটনার পর সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে অনেকের লাশ এবং জীবিতাস্থায় এক শিশুর উদ্ধার করা হয়। সেখানে অনেকের লাশ বাসের ভিতরে আটকে এবং কিছু লাশ ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এই ঘটনায় বাসটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় কিছু লাশ এমন বিভৎসভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের শনাক্ত করা যায়নি।

পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিয়ে চিকুনগা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিনি দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে পূর্ণ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেন।

 

;

পাথর ছুড়ে নারী হত্যার প্রথা ফেরাচ্ছে তালেবান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা আবারও চালু করতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। 

শনিবার রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক অডিও বার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই ঘোষণা দেন। 

টেলিগ্রাফ ও এনডিটিভি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিগ্রাফের হাতে আসা এক ভিডিওতে আখুন্দজাদা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যে ওকালতি করছে তা শরিয়াহ-বিরোধী। পাথর মেরে কোনো নারীকে হত্যা করার ঘটনা নারী অধিকারের লঙ্ঘন বলে ভাবছেন তারা। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে এই নিয়ম কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব।’

তিনি আরও বলেন, কাবুল দখল নিয়েই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু মাত্র।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে কোনো প্রবেশাধিকার নেই।

একজন তরুণ ছাত্রের বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, দেশটিতে অনেক পরিবারের জন্য মেয়েদের একমাত্র ভবিষ্যৎ হলো বিয়ে। তাদের মধ্যে বিষণ্নতা ব্যাপক। গত দুই বছরে মেয়েদের আত্মহত্যার হারও অনেক বেড়েছে দেশটিতে। 



;

হার্ভার্ড লাইব্রেরির বই বাঁধাই থেকে মানুষের চামড়া অপসারণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিতে গত ৯০ বছর যাবত সংরক্ষিত ছিল মানুষের চামড়ায় বাঁধানো একটি বই। বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, এ বইটি থেকে মানুষের চামড়া অপসারণ করা হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম এএফপি’র মাধ্যমে জানা যায়, ঊনবিংশ শতকের বই ডেস ডেস্টিনেস দে ল’আমে বা আত্মার নিয়তি। পরবর্তীতে বইটি নিয়ে গবেষণা হয়। ২০১৪ সালে জানা যায়, এক মৃত নারীর চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা হয় এই বই।

হার্ভার্ড জানিয়েছে, বইটির বাঁধাই অপসারন করা হয়েছে এবং উল্লেখ করেছে, ‘বইটির তদারককারীদের অতীতের ব্যর্থতা যা মানুষের মর্যাদাকে আরও আপত্তিকর এবং যার দেহাবশেষ বাঁধাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল তাকে হেয় করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তার শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, ফরাসি লেখক আর্সিন হোসায়ের লেখা বইটির প্রথম মালিক ছিলেন ড. লুডোভিচ বোল্যান্ড। তিনি এক হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ওই হাসপাতালের এক মানসিক রোগী হৃদরোগে মারা গেলে তার চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেন ড. বোল্যান্ড। বোল্যান্ড একটি নোটে হাউসেয়েকে বলেছিলেন: ‘মানুষের আত্মা সম্পর্কে একটি বই মানুষের ত্বকের আবরণ পাওয়ার যোগ্য।’

বুধবার হার্ভার্ড বিবৃতিতে বলেছে, বইটির সাথে সম্পর্কিত বোল্যান্ডের স্টুয়ার্ডশিপ অনুশীলনগুলো ‘নৈতিক মানগুলোর স্তর পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এতে বলা হয়, বইটি মানুষের ত্বকে আবদ্ধ ছিল তা নিশ্চিত করার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের পরে লাইব্রেরি ব্লক পোস্টে বইটি সম্পর্কে ‘একটি চাঞ্চল্যকর, বিষাদগ্রস্ত এবং হাস্যকর টোন ব্যবহার করেছে যা অনুরূপ আন্তর্জাতিক মিডিয়া কভারেজকে উৎসাহিত করে।’

২০২২ সালে হার্ভার্ডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির সংরক্ষণে রয়েছে আরও ২০ হাজারেও বেশি মানব দেহাবশেষ, যার মধ্যে আছে কঙ্কাল, দাঁত, চুল, এবং হাড়ের অংশ।

;