যে ইস্যুগুলো ভারতের নির্বাচনে বড় ভূমিকা নেবে



কলকাতা ডেস্ক
যে ইস্যুগুলো ভারতের নির্বাচনে বড় ভূমিকা নেবে। ছবি: প্রতীকী

যে ইস্যুগুলো ভারতের নির্বাচনে বড় ভূমিকা নেবে। ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

এ বছর ভারতে সাত দফায় নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে দিন ঘোষণা হয়ে গেছে। ভোটগ্রহণ শুরু ১১ এপ্রিল, আর তা শেষ হবে ১৯ মে। একদিকে যেমন রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট, তেমনই রয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট এবং রয়েছে মমতার নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলিও। যে যার মতো শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে।

এই নির্বাচনে যে বিষয়গুলি বড় ইস্যু হতে চলেছে তা হল:

নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ: একমাস আগেও এই বিষয়টি নিয়ে এতো আলোচনা ছিল না। তবে পুলওয়ামা হামলার পরে জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি নির্বাচনের অন্যতম বড় ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে। এবারের নির্বাচনে এটি বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে মোদি সরকার, অন্যদিকে রয়েছে বিরোধী শিবির। দেশের সেনাকে মাঝখানে রেখে দুই শিবির দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। বিরোধীদের দাবি, সব কিছু আগে থেকে জেনেও নজর দেয়নি কেন্দ্র। অর্থাৎ জাতীয় নিরাপত্তাকে জলাঞ্জলি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি, এই আমলে শত্রুর চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়েছে সরকার।

মুদ্রাস্ফীতি: এই নির্বাচনে মোদি সরকারের বড় হাতিয়ার হতে চলেছে বিষয়টি। মুদ্রাস্ফীতির হার কমিয়ে আনতে মোদী সরকার সফল। কংগ্রেসের সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতির হার অনেক বেশি ছিল।

কর্মসংস্থান: বিরোধীদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে চলেছে কর্মসংস্থান। মোদি সরকার এই ইস্যুতে ব্যাকফুটে থাকবেই। ২০১৪ সালে এই কর্মসংস্থানকেই অন্যতম হাতিয়ার করে বিজেপি সরকারে এসেছিল। তারপরে জিএসটি, নোট বাতিলের মতো ঘটনায় কর্মসংস্থান কমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক সরকারি রিপোর্টেও কর্মসংস্থানের হার গত কয়েক দশকে সর্বনিম্ন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সামাজিক অস্থিরতা: গ্রামীণ ভারতে অস্থিরতা আগেও ছিল এবং তা এই সরকারের আমলেও রয়ে গেছে। কৃষক আত্মহত্যা এবারে অন্যতম ইস্যু। গ্রামীণ মানুষদের মধ্যে তা নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস সাত দশক কিছু করেনি। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি পাঁচ বছরে অবস্থার আরও অবনতি ঘটিয়েছে। ফলে নির্বাচনে এটি অন্যতম ইস্যু সন্দেহ নেই।

মেরুকরণ: দেশে যেন ধর্মের ভিত্তিতে আড়াআড়ি মেরুকরণ হয়ে গেছে। বিষয়টা বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের (প্রায় ২০ কোটি) ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে রয়েছে বলে অভিযোগ। আবার হিন্দু (১০৭.৭ কোটি) ভোটব্যাংক গতবারের মতো এবারো অটুট থাকলে তবেই তাদের কোর্টে বল থাকতে পারে।

জাতপাত: এ বিষয় নিয়ে রাজনীতি এর আগেও হয়েছে। ইস্যুটি বিশেষ কয়েকটি অঞ্চলে বড় ভূমিকা নেবে। আঞ্চলিক দলগুলো এ নিয়ে এবারো ফায়দা নেবে। বিশেষ করে অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী। তবে উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে আটকানোর পথে নামবে বলেই জানা যাচ্ছে। আবার অন্য রাজ্যগুলিতে (বিহার, ওড়িশা ইত্যাদি) জাতপাতের রাজনীতি বিজেপিকে সুবিধা দেবে। সবমিলিয়ে বিষয়টা নিয়ে লড়াই জমে উঠতে চলেছে।

দুর্নীতি: ২০১৪ সালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ছিল দুর্নীতি। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে নোট বাতিল থেকে রাফাল যুদ্ধ বিমানের ইস্যুতে বিরোধীরা সরব হবে। 

উন্নয়নমূলক প্রকল্প: মোদির আমলে উজ্জ্বলা যোজনা, স্বচ্ছ ভারত, কিষাণ যোজনা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো নানা প্রকল্প শুরু হয়েছে এবং বিজেপির বেলায় আন্তর্জাতিক রাজনীতি অনেকটা প্রকাশ পেয়েছে। যা ভারতের কাছে লাভজনক। মোদি সরকার এগুলিকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামবে। কংগ্রেসও বিরুদ্ধে প্রচার করছে।

নরেন্দ্র দামোদর মোদি: এই নামটাই বিজেপির বড় ফ্যাক্টর। এবারের নির্বাচনে বিজেপির ফিরে আসা একমাত্র নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে বা কতটা প্রভাব এখনো রয়েছে তার ওপরে। যদি মোদির প্রতি জনগণের আস্থা অটুট থাকে তাহলে ফের সরকার হবে বিজেপি থেকেই।

গোমাংস: বিজেপি অবৈধ গোহত্যা বন্ধ করা ইস্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশে বিশাল জয় পেয়েছিল। তবে বিষয়টা নিয়ে রোষেও পড়তে হয়েছে। এই গোরক্ষার নামে নানা জায়গায় হামলা হয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটেছে, উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুধু সংখ্যালঘু নয়, সংখ্যাগুরুরাও বিষয়টা ভালো ভাবে নেয়নি। বিষয়টা ভোটে বড় ইস্যু হতে চলেছে।

নবীন ভোটার: এ বছর দেড় কোটির বেশি নতুন ভোটার প্রথমবার ভোট দেবে এবং প্রায় সাড়ে ৮ কোটি নতুন ভোটার ২০১৪ সালের তুলনায় বেড়েছে। এই নবীন ভোটাররাই বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।

নারী ভোটার: লক্ষ্যণীয় ভাবে নারী ভোটারা এবারে একটা ফ্যাক্টর হতে চলেছে। যা আগে সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। এবারের ভোটে নারীরা কাদের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয় তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করবে। গ্রামীণ ভারতে শৌচালয় বানানো থেকে শুরু করে উজ্জ্বলা যোজনা চালু, তিন তালাক নিয়ে নারীদের পাশে দাঁড়ানোর কাজ বিজেপি করেছে। বিরোধীরা এগুলিকে কীভাবে সামাল দেয় সেটাই দেখার।

এছাড়া অঞ্চল ভিত্তিক আরও ইস্যু আছে। কারণ কাশ্মীরে যা ইস্যু, তা কন্যাকুমারীতে নয়। আবার পশ্চিমবাংলায় যে সমস্যাগুলো আছে তার থেকে মনিপুর মিজোরামে ভিন্ন। বিশাল ভারতে ১৩৫ কোটি জনগণই শেষ কথা বলবে। ২৩ মে ফল ঘোষণার দিন বোঝা যাবে আগামী ৫ বছরের জন্য কোন শক্তি দিল্লীর মসনদে বলতে চলেছে।

 

   

বিয়ে করলেন জোড়া মাথার ২ বোন অ্যাবি-ব্রিটানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জোড়া লাগা দুই বোন অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল বিয়ে করেছেন। তবে তাদের স্বামী একজনই। 

মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সেনা সদস্য জোশ বোলিংকে তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন জোড়া লাগা এই দুই বোন। আমেরিকার বিখ্যাত জোড়া মাথার যমজ বোন অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল মূলত মিনেসোটার বাসিন্দা।

বর্তমান শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। তাদের শরীর এক হলেও মাথা সম্পূর্ণ আলাদা। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন। এমনকি খাবারের প্রতি ভালোবাসাতেও আসে পার্থক্য। কারণ তাদের হৃৎপিণ্ড, পিত্তাশয় ও পাকস্থলী আলাদা। তাই ক্ষুধাও আলাদা সময়ে পায়।

প্যাটি-মাইক দম্পতির ঘরে ১৯৯০ সালে জন্ম নেন এই যমজ দুই বোন। জন্মের সময় যমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই অপারেশন করে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়নি পরিবার। ১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

জোশ বোলিং-এর ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ২০ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের রিসেপশনে দম্পতি নাচ ও চুম্বন করছেন। সেখানে অ্যাবি ও তার বোন একটি সাদা, স্লিভলেস ব্রাইডাল গাউন এবং লেস-ব্যাক পোশাক পরেছিলেন।

;

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও নিঁখোজ প্রায় ১০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলায় সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ১৪০ জন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তারা জানিয়েছে ওই হামলায় আহতের সংখ্যা ১৮২ জন। হামলার পর ৯৫ জনের মতো এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

বাজা নিউজ সার্ভিসের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই তালিকায় এমন লোকও রয়েছেন যাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেননি। এর মধ্যে যারা মারা গেছেন, তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

গত ২২ মার্চ রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হামলার সময় সামরিক ইউনিফর্ম পরা চার সন্ত্রাসী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে, বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এর আগে সন্ত্রাসীর সংখ্যা পাঁচ বলে জানানো হয়েছিল।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গেছে পাঁচ শতাধিক রাউন্ড গুলি। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারপারসন দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘রাশিয়া রক্ত ​​দিয়ে এর প্রতিশোধ নেবে। সন্ত্রাসীরা বোঝে শুধু সন্ত্রাসের ভাষা। বলপ্রয়োগ না করলে এবং সন্ত্রাসীদের পরিবারসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তদন্ত করে কোনও লাভ নেই।’

আরটি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পরিকল্পনা করেই ওই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আক্রমণকারীদের জন্য ক্রোকাস সিটি হলে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

মস্কোর দাবি, একজন অভিযুক্ত হামলাকারী অপরাধ স্বীকার করে পুরো পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। প্ল্যান ছিল, হামলাকারীরা আক্রমণ করার ইউক্রেনের দিকে চলে যাবে। এক্ষেত্রে তিন হামলাকারীর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, সন্ত্রাসীরা পুরো হল পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদন্তের সময় হলটিতে রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে।

এদিকে, ওই হামলার পর থেকে ভিকটিমদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছে রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো। ‘ক্রোকাস হেল্প সেন্টার’ নামক একটি টেলিগ্রাম চ্যাটে জড়ো হওয়া ভিকটিমদের বন্ধু এবং আত্মীয়রাও নিজেদের মতো করে খোঁজ চালাচ্ছেন।

এদিকে, বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, যেমন ১৫ বছর বয়সি আর্সেনি, যিনি তার মা ইরিনা ভেদেনেইভার সঙ্গে কনসার্টে গিয়েছিলেন। রবিবার শট টেলিগ্রাম চ্যানেল আর্সেনির একটি ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তিনি কনসার্ট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দাদিকে এই ছবি পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

তার মাকে ইতিমধ্যেই মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত নিশ্চিত মৃতদের তালিকায় মা ও ছেলে উভয়ের নাম রয়েছে।

;

কাশ্মিরে হাইওয়ে থেকে বাস খাদে পড়ে ১০ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত-শাসিত জম্মু-কাশ্মিরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই অভিবাসী শ্রমিক। তারা শ্রীনগরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাদের বহনকারী গাড়িটি হাইওয়য়ে থেকে ৩০০ ফুট গভীরে একটি খাদে পড়ে গেলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মিরের শ্রীনগর-জম্মু মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পরে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং গাড়িটি রামবান জেলার ব্যাটারি চেশমা ​​নামক স্থানে ৩০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়।

এনডিটিভি বলছে, নিহতরা অভিবাসী শ্রমিক এবং তারা শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিলেন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য কাশ্মিরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশও সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এই প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, নিহতদের পরিবারকে সকল সহায়তা দেওয়া হবে।

;

পাথর ছুড়ে নারী হত্যার প্রথা ফেরাচ্ছে তালেবান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা আবারও চালু করতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। 

শনিবার রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক অডিও বার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই ঘোষণা দেন। 

টেলিগ্রাফ ও এনডিটিভি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিগ্রাফের হাতে আসা এক ভিডিওতে আখুন্দজাদা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যে ওকালতি করছে তা শরিয়াহ-বিরোধী। পাথর মেরে কোনো নারীকে হত্যা করার ঘটনা নারী অধিকারের লঙ্ঘন বলে ভাবছেন তারা। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে এই নিয়ম কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব।’

তিনি আরও বলেন, কাবুল দখল নিয়েই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু মাত্র।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে কোনো প্রবেশাধিকার নেই।

একজন তরুণ ছাত্রের বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, দেশটিতে অনেক পরিবারের জন্য মেয়েদের একমাত্র ভবিষ্যৎ হলো বিয়ে। তাদের মধ্যে বিষণ্নতা ব্যাপক। গত দুই বছরে মেয়েদের আত্মহত্যার হারও অনেক বেড়েছে দেশটিতে। 



;