পার্লামেন্টে টিকল না ব্রেক্সিটের সব বিকল্প প্রস্তাব



আর্ন্তজাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ইস্যুতে এমপিদের আটটি বিকল্প প্রস্তাবের কোনটিই নিম্ন-কক্ষের ভোটে স্পষ্ট সমর্থন আদায় করতে পারেনি। এতে ভেস্তে গেল ব্রেক্সিটের সব বিকল্প প্রস্তাব। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি কাস্টমস ইউনিয়ন প্রস্তাব, চুক্তি অনুমোদনের জন্য গণভোটের আহ্বান, নো-ডিল ব্রেক্সিটের প্রস্তাব থেকে শুরু করে ইইউ এর সঙ্গে শুল্ক কাঠামো রক্ষা করে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রস্তাব সবই বাতিল হয়ে যায়। এই ফলাফলের কারণে ব্রিটেনের একদিনের নাটকীয় পরিস্থিতির অবসান হয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যদি তার চুক্তি পাস হয়ে যায়, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।

অর্থাৎ পার্লামেন্টে ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রত্যাহারের চুক্তি পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

বুধবারের এই ভোটাভুটি ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টের এতদিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করলেও কোনো নির্দিষ্ট অবস্থানে পৌঁছাতে না পারার ব্যাপারটিকে সমালোচকরা ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী এ বছরের ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউএর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক কেমন হবে তেমন কিছু শর্ত নির্দিষ্ট করে একটি খসড়া চুক্তি প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপির সমর্থন আদায় করতে পারেনি।

গত ১২ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এমপিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে এমন একটি চুক্তি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন। কিন্তু সেটাও পরাজিত হয়।

এখন তিনি তৃতীয়বারের মতো ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে উত্থাপন করতে চাইছেন। তবে তার আগে তিনি যথেষ্ট সংখ্যক এমপির সমর্থন নিশ্চিত করতে চান তিনি।

ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সম্ভাব্য বিকল্পগুলো নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছিলেন ব্রিটিশ আইন প্রণেতারা। এর আগে পার্লামেন্টে ১৬টি বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও স্পিকার আটটি প্রস্তাব বেছে নিয়েছিলেন।

বিতর্কের পর আইন-প্রণেতাদের প্রত্যেকের সামনে আটটি বিকল্প প্রস্তাব সংক্রান্ত কাগজ তুলে দেওয়া হয়।

এরমধ্যে যে প্রস্তাবগুলোতে তাদের সম্মতি থাকবে, সেগুলোকে তারা 'হ্যাঁ' হিসেবে, আর যেগুলোতে তাদের আপত্তি থাকবে সেগুলোকে 'না' হিসেবে চিহ্নিত করেন।

   

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গিকে টপকে এবার শীর্ষে কাতারের হামাদ বিমানবন্দর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ছবি: কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরকে হারিয়ে বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত হয়েছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এর মাধ্যমে সিঙ্গাপুর স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডস এর ১২ বারের বিজয়ী চাঙ্গি বিমানবন্দরকে হারিয়ে বিশ্বসেরার মুকুট অর্জন করেছে। প্রতিবেদন-এনডিটিভি।

ব্রিটেনের এভিয়েশন শিল্প সমালোচক প্রতিষ্ঠান স্কাইট্র্যাক্স সম্প্রতি ২০২৪ সালের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের ভোটে স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪ শীর্ষক সেরা বিমানবন্দরের তালিকা ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ছবি: সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর

স্কাইট্র্যাক্সের তালিকায় কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বসেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া জাপানের রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দর চতুর্থ সেরা নির্বাচিত হয়েছে। টোকিওরই নারিতা বিমানবন্দর রয়েছে পঞ্চম স্থানে।

এছাড়া কোভিড -১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে এবং যাত্রী সংখ্যা বাড়ার পরে হংকং বিমানবন্দরটি ২২ তম অবস্থান থেকে ১১তম স্থানে উন্নীত হয়েছে।

তবে এবারও বিশ্বের সেরা ১০ বিমানবন্দরের তালিকায় স্থান পায়নি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিমানবন্দর।

ছবি: টোকিওর নারিতা বিমানবন্দর 

কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বদর আল মীর বলেন, এই বছর হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তার অপারেশনের মাইলফলক দশম বছর উদযাপন করছে। এবং আমরা সত্যি সম্মানিত যে যাত্রীরা আমাদের তৃতীয়বারের মতো বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত করেছেন।

এছাড়া তালিকার প্রথম ১০ এ জায়গা পেয়েছে সিউলে ইনচিওন (৩), প্যারিস সিডিজি (৬), দুবাই বিমানবন্দর (৭), মিউনিখ বিমানবন্দর (৮), জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (৯), ইস্তানবুল বিমানবন্দর (১০)।

 

 

 

;

লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন না গুলাম নবি আজাদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক কংগ্রেস নেতা ও বর্তমানে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টির (ডিপিএপি) প্রধান গুলাম নবি আজাদ। তার দলের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে কংগ্রেস ছাড়ার পর এবার গুলাম নবি আজাদ ডিপিএপির হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে মনে করা হচ্ছিল। গত ২ এপ্রিল দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে তার নামও ঘোষণা করা হয়েছিল।

কিন্তু আজাদ আদৌ ভোটে লড়বেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। দলের ঘোষণার পরেও তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটে লড়ার বিষয়ে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।

সবশেষ ভোটের মাত্র দুদিন আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে ডিপিএপি বলেছে, গুলাম নবি আজাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কিছু কারণ আছে। যদিও কারণগুলো প্রকাশ করেনি দলটি। ডিপিএপির প্রাদেশিক সভাপতি, কাশ্মীর, মোহাম্মদ আমিন ভাট বলেছেন, তিনি একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে কিছু কারণ দিয়েছেন।

এরপর ওই আসন থেকে মোহাম্মদ সেলিম প্যারেকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, অনন্তনাগ-রাজৌরি আসনে লড়াই কঠিন হতে পারে এমনটা আঁচ করেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজাদ।

;

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কাল থেকে ভোটগ্রহণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ। সাত দফায় দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ফলে এ নির্বাচন হতে চলেছে বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় নির্বাচন।

নির্বাচনের আগ মূহুর্তেও ভারতের রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে মরিয়া। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মোদির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ ইন্ডিয়া জোটও বসে নেই। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবার পশ্চিমবঙ্গসহ আসামে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রচার চালাচ্ছে। দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টিসহ দেশটির অন্যান্য রাজ্যের অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোও প্রচারে ব্যস্ত। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া জোটের অপর গুরুত্বপূর্ণ নেতা অখিলেশ যাদবকে নিয়ে প্রচারে নেমেছেন। মাঠে সরব রয়েছেন কংগ্রেসের জনপ্রিয় মুখ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।

এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশনও এরই মধ্যে শেষ করেছে ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। প্রথম দফায় আগামীকাল (শুক্রবার) ১৯ এপ্রিল ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফা ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারের বেশি।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এবার ভারতে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ।

দেশজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভায় ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে, তেমনই মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও রয়েছে।

;

ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। 

কর্মকর্তাদের মতে, মিত্রদের কাছ থেকে বিমান প্রতিরক্ষা সহায়তার জন্য নতুন করে আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার পর ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, রাশিয়ার হামলায় বেশ কিছু বহুতল ভবনসহ পার্কিং করা গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এতে তিন শিশুসহ ৬০ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অলেক্সান্ডার লোমাকো বলেছেন, একটি ভবনে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত করেছে এবং বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিয়েভের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, হামলায় আরও চারটি উচ্চ ভবন, একটি হাসপাতাল, কয়েক ডজন গাড়ি এবং একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জরুরি পরিষেবাগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং কর্মকর্তারা জনসাধারণকে রক্ত ​​দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন।

চেরনিহিভ রাশিয়ান সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দূরে অবস্থিত।

 

;