হুমায়ুন সমাধি: যেখানে মোগল সাম্রাজ্যের মহিমার যাত্রা শুরু



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নয়াদিল্লির হুমায়ুন সমাধি থেকে: মোগল সাম্রাজের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর মাত্র চার বছরের রাজত্ব শেষে আফগানিস্তানে ফিরে গেছেন। কাবুলে সম্রাটের মৃত্যু হলে সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। অসুস্থ যে পুত্রকে বাঁচাতে সম্রাট বাবর নিজের জীবন তুচ্ছ করেছিলেন, সেই হুমায়ুন বাদশাহ হয়েও বারবার ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন। কখনও রাজ্য হারিয়ে কিংবা পাঠাগারের সিড়ি থেকে পড়ে অল্প বয়সে জীবন হারিয়ে।

কিন্তু মৃত্যুর কয়েক বছর পর তার সন্তান সম্রাট আকবর মায়ের ইচ্ছাকে প্রাধন্য দিয়ে হুমায়ুনের জন্য বিশাল যে সমাধি প্রতিষ্ঠা করেন, সাড়ে ৪০০ বছর ধরে এখনও তা মোগলদের প্রতিষ্ঠার কথা গৌরবের সঙ্গে বলে যাচ্ছে।

এটাই মোগল সাম্রাজ্যের প্রতাপ ও প্রভাব দেখানোর ভিত্তি হয়ে দেখা দেয়। সমাধি সৌধ ছাড়াও এই স্থানটির রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব। শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের হাতে আটক হওয়ার আগে এখানেই আশ্রয় নিয়েছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/11/1554985028724.jpg

এছাড়া ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময়, পুরান কেল্লা ও হুমায়ুন সমাধি সৌধে আশ্রয় নিয়েছিল লাখ লাখ শরণার্থী। ভারত থেকে বর্তমান পাকিস্তানের দিকে যাওয়ার জন্য স্থানীয় মুসলমানরা আশ্রয় নিয়েছিল এখানে।

১৫৫৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন এই বাদশাহ। প্রথমে তাঁকে দিল্লির পুরনো কেল্লায় সমাহিত করা হয়। মৃত্যুর নয় বছর পর ১৫৬৫ সালে তাঁর স্ত্রী হামিদা বানু বেগম প্রিয় স্বামীর স্মৃতিতে যমুনা পারে একটি সমাধি নির্মাণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ততদিনে আকবর তার সর্বময় ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন। নিজাম ভক্ত হুমায়ুনের সুপ্ত ইচ্ছা ছিল- খাজা নিজামুদ্দিনের দরগার পাশেই তাকে যেন সমাহিত করা হয়। হামিদা বানুর তত্ববধানে সেখানেই এই সমাধি সৌধের নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৫৭২ সালে।

সৌধটির নকশা প্রস্তুত করেন পারসিক স্থপতি মিরাক মির্জা গিয়াস, যিনি মিরাক গিয়াসুদ্দিন নামেও পরিচিত। তবে নির্মাণকার্য শেষ হওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পুত্র সৈয়দ মুহাম্মদ ইবন মিরাক গিয়াসুদ্দিন পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন। বিশাল চারটি দরজা পার হয়ে মূল সমাধি স্থলে যেতে হয়। একজন মানুষের কবরে যেতে এত আয়োজন!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/11/1554985051525.jpg

চারপাশটা কয়েক স্তরের সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। লাল ও সাদা বেলেপাথর দিয়েই তৈরি এ সমাধিক্ষেত্র। এত পরিমাণ লাল বেলে পাথরের ব্যবহার করা এটাই প্রথম স্থাপত্য। সর্বশেষ গেটের পাশে মূল সমাধি ভবন। তার চারপাশে সুন্দর বাগান আর জলাধার। বড় বড় গাছে পাখি যেন ডেকেই যাচ্ছে। চারপাশের ছাদের মাঝে বিশাল গম্বুজ।

সে সময় বিশ্বে এত বড় গম্বুজ ছিল না। এ গম্বুজ ছিল সেসময়ের সবচেয়ে বড় আশ্চর্য স্থাপনা। এর ঠিক মাঝখানেই হুমায়ুনের সমাধি। মূল গম্বুজটিও দোতলা বিশিষ্ট। কবরের চারপাশে আটটি গেট আছে। এই সমাধিকে তাজমহলের পূর্বসূরি বলা যেতে পারে।

যেভাবে মমতাজ মহলের পাশেই সমাহিত শাহজাহান, হুমায়ুনের পাশে সেভাবেই চিরনিদ্রায় শায়িত এই সৌধের নির্মাতা হামিদা বানু বেগম। জাহান্দার শাহ, ফারুক শিয়ার, ও দ্বিতীয় আলমগীরের সমাধিও আছে এখানে। আছে শাহজাহানের কন্যা জাহানারার ও পুত্র দারাশিকের কবরও।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/11/1554985094789.jpg

হুমায়ুনের মূল সমাধি সৌধ ছাড়াও পশ্চিমের প্রধান দরজা থেকে সেই সমাধি পর্যন্ত যে পথটি গিয়েছে তার দু’পাশে অনেকগুলো ছোট স্মারক রয়েছে। এগুলো হুমায়ুনের সমাধিরও ২০ বছর আগে নির্মিত। এই সমাধি চত্বরটি সুরি শাসক শের শাহের রাজসভার আফগান অভিজাত পুরুষ ইসা খান নিয়াজির। নিয়াজি মোঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। ১৫৪৭ সালে এই সমাধি চত্বর নির্মিত হয়।

ব্রিটিশ আমলে সমাধি সৌধের বাগানসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। পরবর্তীতে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) বিভাগ এই ঐতিহ্য স্মারক সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ধীরে ধীরে মূলভবন এবং বাগান পুনরুদ্ধার করা হয়। আর এ কাজে অর্থ দেয় আগা খান ফাউন্ডেশন।

   

১৯৯৪ সালের বোমা হামলা

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৪ সালের বোমা হামলার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা। ৩০ বছর আগের সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদির জন্য গ্রেফতারের নোটিশ জারি করতে বলেছে দেশটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার একটি আদালত ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুরোধ জানিয়েছে। এছড়া ওয়াহিদীকে গ্রেফতার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্টারপোল তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। যদিও একটি রেড নোটিশ সদস্য দেশগুলোতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা গঠন করে না।

যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না, গ্রেফতার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।


বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-সহ ইরানি প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। তবে, বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে প্রেসিডেন্টের সাথে যেতে দেখা যায়নি।

ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আহমেদ ওয়াহিদী মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা হামলাটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। সেই সময় বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। ইরান অবশ্য সবসময়ই এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ইরান এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।

আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আদালত রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য ভিত্তিহীন এ বিষয়কে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

;

ভাষণ দেয়ার সময় জ্ঞান হারালেন মন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মঞ্চে হঠাৎ জ্ঞান হারালেন মন্ত্রী। উপস্থিত নেতাকর্মীরা ছুটে এসে তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের এক জনসভায় এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি।
তিনি ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে নাগপুর থেকে নির্বাচন করেছেন। বুধবার তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্দের নেতৃত্বাধীন শিভ সেনার নেতা রাজশ্রী পাতিলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

মঞ্চ থেকে নিচে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু সময় পর জ্ঞান ফেরে তার। এরপর আবারও মঞ্চে উঠে নিজের বক্তৃতা শেষ করেন নিতিন।
অতিরিক্ত গরমের কারণেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রী, এমনটাই ধারণা দলীয় নেতাকর্মীর।

পরবর্তীতে নিতিন নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেন। এতে লেখেন, গরমের কারণে অস্বস্তি বোধ করেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এখন পুরোপুরি সুস্থ আছেন।

 

 

;

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: নিহত বেড়ে ৩৪ হাজার ২৬২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার হাজার ২৬২ জনে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনাদোলু ও আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৮৬ জন। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ হাজার ২৬২ জনে, আহতের সংখ্যা ৭৭ হাজার ২২৯ জনে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর গাজার হাসপাতালে দুটি গণকবর থেকে ৩০০ টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের আহ্বানকে সমর্থন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এদিকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৯৫ বিলিয়ন ডলারের একটি নিরাপত্তা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা এবং গাজাকে ১ বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা।

;

হিজাব না পরা নারীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিজাব না পরে রাস্তায় বের হওয়া নারী ও তরুণীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান। গত ১৩ এপ্রিল থেকে ‘নুর’ নামের একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করে দেশটি। এরপরই থেকেই হিজাব আইন কার্যকরে কঠোরতা শুরু হয়েছে।

ইরানে হিজাব পরিধানে কঠোর আইন রয়েছে। যারা এই আইন ভঙ্গ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নারীদের ওপর চালানো ধরপাকড়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব ছাড়া বাইরে বের হওয়া নারীদের ‘নৈতিকতা পুলিশের’ সদস্যরা জোরপূর্বক গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের ব্যস্ততম তেহরান স্কয়ার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক মা ও মেয়ে। ওই সময় তাদের ঘিরে ধরেন পুলিশের পাঁচ নারী ও দুই পুরুষ সদস্য। যখন তারা গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করেন তখন তাদের সজোরে ধাক্কা মেরে গাড়িতে তোলা হয়।

তেহরানের শহীদী বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনা গালিবাফ নামের এক নারী শিক্ষার্থী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, তাকে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। যখন তিনি জোরাজুরি করেন তখন তাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর ও যৌন হেনস্তা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।  

এমন পোস্ট দেওয়ার একদিন পরই এই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে ইভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একজন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, গত শনিবার পুলিশের আট সদস্য তাকে ঘিরে ধরে। ওই সময় ‘বেশ্যা’, ‘নগ্ন আমেরিকার বেশ্যাপ্রেমী’ বলে তাকে গালাগালি করে। এছাড়া নারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও পুরুষরাও গ্রেফতার করা সময় তাকে স্পর্শ করেছে বলে দাবি করেছেন এই তরুণী।




;