সু চি কি রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত হতে পারেন?



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রা'দ আল হুসেইন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন রোহিঙ্গাদের ওপর যে বিভীষিকাময় নির্যাতন চালানো হয়েছে তার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার একদিন হবেই। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান তিনি। তার অর্থ সারা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর নজরদারি রাখার দায়িত্ব তার উপর। ফলে তার এই কথার একটা ওজন তো অবশ্যই আছে বলে জানিয়েছেন বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সংবাদদাতা জাস্টিন রোল্যাট। তিনি বলেন, এই অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন দেশটির একেবারে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক নেত্রী অং সান সু চি যেমন আছেন, তেমনি আছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল অং মি হাইংও। জাস্টিন রোল্যাট বলছেন, গণহত্যার অভিযোগে তাদেরকেও যে ভবিষ্যতের কোনো এক সময়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ মাসের শুরুর দিকে আল হুসেইন জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপরে যে ব্যাপক ও পরিকল্পিত উপায়ে নিপীড়ন চালানো হয়েছে সেটাকে গণহত্যা হিসেবেও বিবেচনা করা হতে পারে। জেইদ রা'দ আল হুসেইন বলেছিলেন "যে মাত্রায় সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে সেটাকে গণহত্যা বলা হবে কিনা এ ব্যাপারে একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।" জাস্টিন রোল্যাট বলছেন, কোনটা গণহত্যা আর কোনটা গণহত্যা নয় তা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়। এটা শুনতেও ভয়াবহ কারণ এটা হচ্ছে 'অপরাধেরও অপরাধ।' এবং এ পর্যন্ত এই গণহত্যার অভিযোগে খুব কম সংখ্যক লোকেরই সাজা হয়েছে। গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকাস্ট বা হত্যাযজ্ঞের পর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গঠিত জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোও এই গণহত্যার ব্যাপারে একটি সনদে স্বাক্ষর করেছে। যেখানে গণহত্যা বলতে বোঝানো হয়েছে- কোনো বিশেষ একটি জনগোষ্ঠীকে নিধন করার লক্ষ্যে তাদের ওপর নিপীড়ন চালানো। জাস্টিন রোল্যাট বলছেন, মিয়ানমারে গণহত্যা চালানো হয়েছে কিনা সেটা প্রমাণ করা জেইদ রা'দ আল হুসেইনের কাজ নয়। একমাত্র আদালতই এই কাজটি করতে পারে। তবে এবিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের আহবান জানিয়েছেন। এবং এটা করতে গিয়ে তিনি মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে মুসলিম রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর হামলাকে 'জঘন্য ও বর্বর' বলে উল্লেখ করেছেন। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার স্বীকার করেছেন এটাকে গণহত্যা হিসেবে তুলে ধরার কাজটাও খুব একটা সহজ হবে না। "কারণ কেউ যখন গণহত্যার মতো অপরাধের পরিকল্পনা করে সেটা তো আর কাগজে কলমে করা হয় না।" তবে তিনি বলেছেন, "এটা প্রমাণ করার জন্যে অনেক কিছুই আছে। ফলে আজ আমরা যা কিছু দেখতে পাচ্ছি সেখান থেকে ভবিষ্যতে আদালত এবিষয়ে তথ্য প্রমাণ বের করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।" গত অগাস্ট মাসে নির্যাতন নিপীড়ন শুরু হওয়ার পর থেকে এই ডিসেম্বরের মধ্যেই সাড়ে ছ'লাখের মতো রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে, যা মোট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুই তৃতীয়াংশের মতো। এছাড়াও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শত শত গ্রাম এবং কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। যে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হচ্ছে তার তথ্য প্রমাণ রয়েছে। যেমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড, খুন, গণহারে ধর্ষণ- এসব অভিযোগ পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মুখ থেকেই এসেছে। বলা হচ্ছে, অগাস্ট মাসে নিপীড়ন শুরু হওয়ার ছ'মাস আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে আহবান জানিয়েছিলেন রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে। জেইদ রা'দ আল হুসেইন বলেছেন, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে যে সহিংসতা শুরু হয়েছিলো তার উপর এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের সময় তিনি টেলিফোনে অং সান সু চি'র সাথে কথা বলেছিলেন। আল হুসেইন বলেছেন, "সামরিক বাহিনীর অভিযান বন্ধ করার জন্যে আমি তার প্রতি আহবান জানিয়েছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথেই বলতে হচ্ছে যে এরকম কিছু হয়নি।" সেনাবাহিনীর উপর মিস সু চি'র ক্ষমতাও খুব সীমিত। তবে জেই; রা'দ আল হুসেইন বিশ্বাস করেন যে চেষ্টা করলে হয়তো তিনি কিছু একটা করতে পারতেন। মিস সু চি রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ না করাতেও আল হুসেইন মিয়ানমারের নেত্রীর সমালোচনা করেছেন। জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা মনে করেন, ২০১৬ সালের সহিংসতার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় তখনই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাহস বেড়ে যায়। "আমার মনে হয় তখন তারা ধরে নেন যে তারা যেটা করছিলেন কোনো ধরনের ভয়ভীতি ছাড়াই তারা সেটা অব্যাহত রাখতে পারেন," বলেন তিনি। "তবে শুরু থেকেই আমরা অনুমান করতে পারছিলাম যে সবকিছু চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনা করেই করা হচ্ছে।" মিয়ানমার সরকার বলছে অগাস্ট মাসে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর সন্ত্রাসী হামলার জবাবেই তারা সেখানে অভিযান চালাতে শুরু করে। তবে বিবিসির অনুসন্ধানী একটি টিভি অনুষ্ঠানের জন্যে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায় যে তার বহু আগে থেকেই এই সেনা অভিযানের পরিকল্পনা শুরু হয়েছিলো। ওই অনুষ্ঠানে দেখানো হয় যে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বৌদ্ধদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কাছে অস্ত্রও সরবরাহ করছিলো।
   

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে সবকিছু ঝলসে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে এবং লোকজনকে বাইরে থাকার বিষয় সতর্কতা জারি করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চ, এপ্রিল ও মে সাধারণত ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উষ্ণ ও শুষ্কতম মাস। তবে এই বছর এল নিনোর আবহাওয়ার প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

ম্যানিলার দক্ষিণে ক্যাভিট প্রদেশের একটি সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে কাজ করেন ৬০ বছর বয়সি এরলিন তুমারন।

তিনি বলেন, ‘এত গরম যে, আপনি নিশ্বাস নিতে পারবেন না।’ রিসোর্টটিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাপ সূচক ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

এরলিন তুমারন বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, আমাদের পুলগুলো এখনও খালি। এই গরমে আপনি আশা করতে পারেন যে, লোকেরা এসে পুলগুলোতে সাঁতার কাটবে। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা গরমের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে নারাজ।’

দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুধবার অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আনা সোলিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তাপ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোলিস এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের বাইরে কাটানো সময় সীমিত করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও টুপি ব্যবহার করতে হবে।’

সোলিস বলেন, এল নিনোর কারণে ‘চরম তাপ’ দেশের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করছে। দেশটির প্রায় অর্ধেক প্রদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে খরায় রয়েছে।

অ্যাপাররি উত্তর পৌরসভায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

;

ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা ও টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়া সহায়তা বিল এবং টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির সিনেটে বিলগুলো অনুমোদনের পর এটি অপেক্ষায় ছিল বাইডেনের স্বাক্ষরের। অবশেষে তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো চূড়ান্ত আইনে পরিণত হলো।

অনুমোদিত টিকটক বিলের শর্তে বলা হয়েছে, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নয়তো এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট।

এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী মনে করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া বিদেশি সহায়তা প্যাকেজে ইসরায়েলে সামরিক ও গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্র তাইওয়ানের জন্য ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসিত চীনকে মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

;

‘ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তান সফরকে উদ্দেশ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, রাইসির সফরে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে আটটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) ইসলামাবাদে আকস্মিক সফরে আসেন রাইসি। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে রাইসি পাকিস্তান সফর করেন।

গত সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই রাইসির এ সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, ইসলামাবাদ সফরে এসে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন রাইসি। তিনি বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

রাইসির পাকিস্তান সফর ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্বাক্ষর সই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকির কথা বলেন।

ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিই। তবে পাকিস্তান সরকার তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কথা জানাতে পারে।’

গত সপ্তাহে চীন ও বেলারুশের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, কারণ সেসব এমন উপকরণ ছিল, যা গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।

;

লোকসভায় এনডিএ জোট ২২০টা আসনও পাবে না: কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স) জোট জাতীয় সংসদের লোকসভায় ২শ ২০টা আসনও পাবে না।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এনডিটিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিদ্দারামাইয়া এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রার্থী হবেন না জানিয়ে বলেন, আমার প্রার্থী না হওয়ায় ইন্ডিয়া ব্লক কোনো বেকায়দায় পড়বে না।

তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন যখন মাত্র আর দুদিন পর ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের ২৪টিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।

সিদ্দারামাইয়া বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লক লোকসভায় ৪শটি আসনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে লড়ছে। তবে এনডিএ জোট ২শ ২০টি আসনও পাবে না। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেননি।

এ সময় এনডিটিভিকে তিনি বলেন, বিজেপি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার দল জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) জোটে দেবগৌড়া একজন ‘অপবিত্র’।

 

;