রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিবের ৫ সুপারিশ



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে সঙ্কট মোকাবেলায় মিয়ানমারকে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বিষয়গুলো তুলে ধরেন মহাসচিবের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী জেফরি ফেল্টম্যান। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে ফেল্টম্যান যে সুপারিশগুলো তুলে ধরেন তা হলÑ কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদনকে ভিত্তি হিসেবে ধরে শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ীভাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, বাস্তুচ্যুতদের মূল ভূমিতে বা পছন্দনীয় কাছাকাছি কোনো স্থানে প্রত্যাবাসন করা, জীবন ধারণের মৌলিক সব প্রয়োজন মেটাতে অবাধ চলাফেরার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, প্রত্যাবাসনের যোগ্যতার ক্ষেত্রে উদার মানদ- নির্ধারণ এবং সব প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মিয়ানমার ইস্যুতে গত ৬ নভেম্বর একটি প্রেসিডেন্সিয়াল বিবৃতি গ্রহণ করে নিরাপত্তা পরিষদ। এ বিষয়ে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবকে বিবৃতি দিতে অনুরোধ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এই বিবৃতি আসে। নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার ইস্যুতে অগ্রগতির ব্যাপারে ফেল্টম্যান বলেন, ‘আমরা আশা করছি, জাতিসংঘের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হবে মিয়ানমার।’ গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ২৬ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন ফেল্টম্যান। একইসঙ্গে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহযোগিতা বজায় রাখারও আহ্বান জানান। মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান করতে হবে বলে উল্লেখ করেন ফেল্টম্যান। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কটের উৎপত্তি হয়েছে মিয়ানমারে এবং তাদেরই এটার সমাধান করতে হবে। রাখাইন সম্প্রদায়ের মাঝে অবিশ্বাস ও ভয় দূরীকরণে বৈষম্যমূলক আইন প্রত্যাহার এবং জননিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না করা হলে প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হবে।’ গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার অগ্রগতির বিষয়ে কিছু বলেননি ফেল্টম্যান। এক্ষেত্রে মিয়ানমার সরকারকে বৈধভাবে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ফেল্টম্যান জানান, গত অক্টোবরে মিয়ানমার সফরে তিনি জাতিসংঘের সহযোগিতার ব্যাপারে সু চি সরকারকে বিস্তারিত বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সেবামরিক ও সামরিক নেতাদের জাতিগত বিদ্বেষ এবং সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছি।’ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সংঘর্ষকালীন যৌন সহিংসতা বিষয়ক মহাসচিবের বিশেষ দূত প্রমীলা প্যাটেনও বক্তব্য দেন। গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে তিনি রোহিঙ্গা নারীদের অবস্থা পরিদর্শন করেন। প্যাটেন বলেন, ‘যারা এখনো যৌন সহিংসতার ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বেঁচে আছেন এবং যারা নিষ্ঠুরতম এই যৌন সহিংসতার দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছেন তারা সবাই বলেছেন, নারকীয়ভাবে মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা ধর্ষণ, গণধর্ষণ এবং সেনাক্যাম্পে আটক রেখে দিনের পর দিন যৌনদাসত্বে বাধ্য করার মত জঘন্য কাজ করেছে।’ তিনি সহিংসতার শিকার এমন অনেক নারীর উদাহরণ দেন, যাদের কেউ কেউ টানা ৪৫ দিন সেনা ক্যাম্পে ধারাবাহিক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। প্যাটেন জানান, অনেক মেয়েকে তার স্বামী অথবা বাবার সামনে নগ্ন করে ধর্ষণ করা হয়েছে। অনেক মায়ের সন্তানদের গ্রামের জলকূপে ডুবিয়ে মারা হয়েছে। শিশুকে কেড়ে নিয়ে শিশুর সামনে মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে; এবং ধর্ষণ শেষে শিশুটিকে আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এমনই সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা জানিয়ে প্যাটেন দ্রুততম সময়ে এই সহিংসতার সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদকে সর্বক্ষমতা প্রয়োগের আহ্বান জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদেরও কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।
   

তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন হামাস প্রধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে শনিবার (২০ এপ্রিল) সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ।

ইরান এবং গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের হামলার প্রস্তুতির কথা জানানোর পর মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই তিনি এ সাক্ষাত করছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন এরদোয়ান। তবে, তিনি হামাস প্রধানের সাথে তার বৈঠকের বিষয়ে আন্তরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।

শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আমাদের এবং হানিয়ার মধ্যে আলোচ্যসূচি রাখব।’

তবে কাতার বলেছে, তারা হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তাদের ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করবে।

এদিকে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চেয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়ে বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে দোহায় পাঠান এরদোয়ান।

২০১১ সাল থেকে হামাসের একটি কার্যালয় রয়েছে তুরস্কে। ওই সময় ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্ত করার জন্য হামাস গ্রুপের জন্য চুক্তিটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছিল আঙ্কারা।

;

‘ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি যুক্তরাষ্ট্র’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন সামরিক বাহিনী শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বলেছে, ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে কথিত হামলার পেছনে তাদের বাহিনীর কোনো হাত নেই।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি।’ এতে আরো বলা হয়, ‘দেশটিতে মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছে এমন কথা সত্য নয়।’

এর আগে ইরাকের মধ্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী এবং ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে শুক্রবার রাতে বোমা হামলা চালানোর খবর পাওয়া যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এবং একজন সামরিক কর্মকর্তা শুক্রবার জানান, ক্যালসো ঘাঁটিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে সাবেক ইরানপন্থী আধাসামরিক গোষ্ঠী, বর্তমানে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে একীভূত হাশেদ আল-শাবি’র অবস্থান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই হামলায় একজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে। তবে দেশটির সামরিক সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ইরাকের তিনজন সামরিক কর্মী আহত হয়েছে।

হামলায় আহতের সংখ্যা উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে হাশেদ আল-শাবি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলায় অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এএফপি’র প্রশ্নের জবাবে, সূত্রগুলো এই হামলার জন্য কে দায়ী বা এটি একটি ড্রোন হামলা ছিল কিনা তা শনাক্ত করতে পারেনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং যানবাহনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ওই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি।

বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এগুলো ছিল সরঞ্জাম সংরক্ষণের গুদামে বিস্ফোরণ।এখনও আগুন জ্বলছে এবং আহতদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’

ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গঠিত প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট এই হাশেদ আল-শাবি এখন ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অংশ।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং তেহরানের সমর্থিত ফিলিস্তিনি যোদ্ধা হামাসের মধ্যে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

এদিকে, ইরানের ইসফাহানের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শুক্রবারের হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে তেহরান।

;

যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের বাইরে নিজেকে দগ্ধ করা ব্যক্তির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো মারা গেছেন।

ম্যানহাটনের ওই আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচারকাজ চলছিল।

এ সময় আদালতের বাইরে নিজের শরীরে আগুন দেন ৩৭ বছর বয়সি ম্যাক্সওয়েল।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ট্রাম্প আদালতকক্ষে ছিলেন। ঘটনার পরপর ট্রাম্প আদালত ত্যাগ করেন।

ম্যাক্সওয়েল প্রথমে বাতাসে ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের’ প্রচারপত্র ছুড়ে দেন। এরপর নিজের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

গুরুতর অবস্থায় ম্যাক্সওয়েলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান।

তদন্তকারীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ফ্লোরিডায় থাকতেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন।

ম্যাক্সওয়েলের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কোনো তথ্য নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে নেই।

ম্যাক্সওয়েল যে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন, তা তার পরিবারের সদস্যরা জানতেন না।

;

স্থায়ী সংঘাতে রূপ নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা: তুরস্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের উত্তেজনা বৃহত্তর স্থায়ী সংঘাতে রূপ নিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে তুরস্ক। উভয় দেশকে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, চলমান উত্তেজনা বৃহত্তর সংঘাতে গড়াতে পারে। 

সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি ও বার্তাসংস্থা এপির পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলেছে, সর্বশেষ পরিস্থিতির আলোকে চলমান উত্তেজনা স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হচ্ছে। দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলের বেআইনি হামলার মাধ্যমে এই উত্তেজনার সূচনা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় গুরুত্বারোপ করে বলেছে, গাজায় সংঘাত বন্ধ এবং একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

;