৩০০ আসন পেতে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি!



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে লোকসভা বা সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। সরকার গঠন করতে কোনো দল বা জোটের কমপক্ষে ২৭২টি আসন প্রয়োজন।

ছয় ধাপের ভোট শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি প্রধান আমিত শাহ বলতে শুরু করেছেন, তারা এবার ৩০০টিরও বেশি আসনে জয়ী হবেন এবং দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করবেন।

ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভার নতুন সংসদ গঠনে উদ্দেশ্যে সাত ধাপের এই ভোট উৎসব ১১ এপ্রিল শুরু হয়, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। ভোট গণনার দিন ২৩ মে।

এই নির্বাচনে বৈধ ভোটার সংখ্যা ৯০ কোটি, যার কারণে এটি বিশ্বের সর্বকালের সর্ববৃহৎ নির্বাচন বলা হচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছিল।

অমিত শাহ বলেন, ভোটের ছয় ধাপের পর বিজেপি এরই মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে।

নির্বাচনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপে এটা স্পষ্ট হয়েছে, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং সপ্তম পর্যায় অর্থ্যৎ শেষ ধাপে ৩০০ আসন অতিক্রম করবে।

প্রধানমন্ত্রী মোদিও এমনই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, ১৫ মে পশ্চিমবঙ্গে এক জনসভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ৪২ আসনের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। আর সারা ভারতে আসনের ক্ষেত্রে এটি ইতিমধ্যে ঘটে গেছে।
নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দেড়শর বেশি জনসভা করছেন। তারমধ্যে ৪০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং উত্তর প্রদেশে তিনি জনসভা করেছেন।

অর্থাৎ এ তিনটি প্রদেশকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। বিজেপি মনে করছে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এ তিনটি রাজ্যেকে কেন্দ্র করে। পশ্চিমবঙ্গ ৪২, উড়িষ্যা ২১ এবং উত্তর প্রদেশে ৮০ মোট ১২৩টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গে কোনো জোট হয়নি। উত্তর প্রদেশে বিজেপি বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট করেনি। উড়িষ্যাতেও একই অবস্থা

এক সংবাদ সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, ‘আপনি (মিডিয়া) যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, আমরা কত আসন জিতব। আমি সারাদেশ ভ্রমণ করেছি এবং জনপ্রিয়তার দিকে তাকিয়ে বলছি, আমি নিশ্চিতভাবেই নিশ্চিত যে বিজেপি পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পর্বের নির্বাচনের পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে। সপ্তম পর্বে ৩০০ আসন ছাড়িয়ে যাবে এবং এনডিএর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবার সরকার গঠন করবেন।

ভারতে ২৯টি প্রদেশ। ২০১৪ সালের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেস ৫৪৩টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪৪টি পায়।
আর দলটি প্রায় আড়াইশ আসনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। অর্থাৎ ভারতের শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ নির্বাচনী আসনে কংগ্রেস এখনও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

এখনো সর্বভারতীয় দল বলতে কংগ্রেস এবং বিজেপি। ১০টি রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে নিশ্চিতভাবেই ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে কংগ্রেস। এগুলো হল- আসাম, ছত্তিশগড়, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও পাঞ্জাব। এই ১০ প্রদেশে রয়েছে লোকসভার ২২৪ আসন। এগুলোর মধ্যে গতবার কংগ্রেস মাত্র ২৯টি পায় এবং ১৫৪টিতে দ্বিতীয় হয়।

২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আর এবারের প্রেক্ষাপট এক নয়। এমতাবস্থায় বিজেপি কিভাবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তা লক্ষ্য করার বিষয়। বিজেপি ও তার জোট গত জাতীয় নির্বাচনে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার বেশ কিছু রাজ্যে ভোট দেওয়ার হার কমে যাওয়া বিজেপিকে চিন্তায় ফেলেছে। বিশেষ করে যে রাজ্যগুলোতে বিজেপি নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিজেপি ও কংগ্রেসের বাইরে ভারতের প্রায় সব দলই আঞ্চলিক। এর মধ্যে কমিউনিস্টদের সর্বভারতীয় কিছু সাংগঠনিক কাঠামো থাকলেও কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বিহারের বাইরে তাদের নির্বাচনী কোনো শক্তি নেই বললেই চলে। তারাও চাইছে মোদি হারুক। আঞ্চলিক শক্তিধর দলগুলো চাইছে মোদি হারুক। কংগ্রেস তো আছেই। এত চাওয়ার মাঝেও বিরোধীদলগুলোর অনৈক্য মোদির জন্য একটি আশার আলো।

কমিউনিস্টরা অনেক প্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ ও উরিষ্যাতেও কংগ্রেস একা। এ রাজ্যগুলোতে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে কংগ্রেসের মোদি বিরোধীতায় মিল থাকলেও একসঙ্গে পথচলায় খুব একটা বোঝাপড়া নেই। এমতাবস্থায় নির্বাচন শেষে যদি দেখা যায় মোদির বিরুদ্ধে সরকার গঠন সম্ভব, তখন হয়ত তারা রাহুলকে সমর্থন দেবেন। আবার গড়ে বিরোধীদের আসন সংখ্যা সরকার গঠনের কাছাকাছি হলে তখন নানা শর্তের বেড়াজাল সামনে আসবে। তখন হয়ত, মোদি তাদের কারো সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে চমক দিতে পারেন।

এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক দোলাচল বিরাজ করছে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশে। ৬৪টি আসন সমৃদ্ধ এই দুই রাজ্যে কংগ্রেসের ফল ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই দুই প্রদেশে তারা স্থানীয় শক্তিশালী দলগুলোর হাত ধরেছে। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে এবং অন্ধ্রে টিডিপি।

তবে নির্বাচনের গতি-প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, কংগ্রেস যদি গত নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ৪৪-এর সঙ্গে আরও প্রায় ১০০টি আসন যুক্ত করতে না পারে, তাহলে তাদের ক্ষমতাসীন হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। আবার একই সঙ্গে ১০০টি আসন পাওয়া কংগ্রেসের জন্য বেশি কঠিন এটাও জোর দিয়ে বলা যায় না। সবকিছু জানা যাবে ২৩ মে। কিন্তু ততদিন তো চাপানউতোর চলবেই।

   

মধ্যস্থতার জন্য ইতিবাচক হলে দোহায় থাকবে হামাস নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতার মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক নেতারা ততক্ষণ দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য ইতিবাচক হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি, ততক্ষণ তারা দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কার্যকর এবং ইতিবাচক হবে।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরসহ মধ্যস্থতাকারীরা রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ব্যর্থ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘কাতার তার ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করছে।’

এই ঘোষণার ফলে হামাস নেতাদের গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি ছেড়ে দিতে বলা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।

সেই গুঞ্জন অবসানে আনসারি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাতার তার মধ্যস্থতা ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছে এবং দোহাতে হামাস সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।’

রয়টার্স জানিয়েছে, এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিচালনাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার সকল সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আনসারি মঙ্গলবার বলেন, ‘সবাই জানে যে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কাতারের ভূমিকা কী।’

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে সফলভাবে গাজা যুদ্ধের একমাত্র বিরতির মধ্যস্থতা করেছে কাতার।

;

ইউক্রেনের জন্য সর্ববৃহৎ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করবেন সুনাক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য তার সর্ববৃহৎ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটেন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পোল্যান্ড সফরের সময় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ওই সামরিক প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দেবেন।

রাশিয়ার বাহিনী সামনের সারিতে অগ্রসর হতে শুরু করায় এবং তাদের বিমান হামলা বাড়ানোর কারণে বর্ধিত সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।

হোয়াইট হাউস প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দীর্ঘ বিলম্বিত সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় যুক্তরাজ্য এই ঘোষণা দিয়েছে।

ব্রিটিশ সরকার বলেছে, চলতি অর্থবছরে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাজ্যের মোট সামরিক সহায়তাকে ৩ বিলিয়ন পাউন্ডে নিয়ে যাবে তারা।

নতুন প্যাকেজের আওতায় গোলাবারুদ, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ড্রোন এবং প্রকৌশল সহায়তার জন্য অর্থায়ন করবে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ মিডিয়া অনুসারে আল জাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ এই প্যাকেজে ৬০টি নৌযান এবং ১,৬০০টিরও বেশি আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি স্টর্ম শ্যাডো নামের দূর-পাল্লার নির্ভুল-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এ ছাড়াও ১৬২টি সাঁজোয়া যানসহ ৪০০টিরও বেশি যানবাহনের পাশাপাশি ৪ মিলিয়ন রাউন্ড ছোট অস্ত্রের গোলাবারুদও সরবরাহ করা হবে এই প্যাকেজে।

সুনাক বলেছেন, ‘রাশিয়ার নৃশংস উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে রক্ষা করা আমাদের নিরাপত্তা এবং সমগ্র ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি পুতিনকে এই আগ্রাসনের যুদ্ধে সফল হতে দেওয়া হয়, তবে পোল্যান্ডও ছাড়বেন না।’

এদিকে, সুনাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা এবং ইউক্রেনের জন্য সমর্থন নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে ওয়ারশতে
দেখা করার কথা রয়েছে। এরপর জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে দেখা করতে জার্মানি যাবেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ‘প্যাকেজটি ইউরোপে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউকে সর্বপ্রথম এনএলএডব্লিউ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করবে। এ ছাড়াও সর্বপ্রথম আধুনিক ট্যাংক এবং সর্বপ্রথম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করা হবে।’

সুনাক বলেন, ‘এখন আমরা আরও এগিয়ে যাচ্ছি। ইউক্রেন যে অস্তিত্বের লড়াই চালাচ্ছে, তা আমরা বিশ্বকে কখনোই ভুলতে দেব না এবং আমাদের স্থায়ী সমর্থনে তারা জয়ী হবে।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, পোল্যান্ডের জন্যও সুনাকের একটি প্রস্তাব রয়েছে। সেটি হলো, আগামী বছর পোল্যান্ডে ন্যাটোর বিমান পুলিশিং চালানোর জন্য একটি ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের টাইফুন স্কোয়াড্রন মোতায়েন করা।

;

‘এই গ্রীষ্মে অপ্রত্যাশিত এলাকায় হামলা চালাবে রাশিয়া’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের কমান্ডার ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা যখন ইউক্রেনে তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ পরিচালনা করবে, তখন তারা ফ্রন্টের অপ্রত্যাশিত অংশে হামলা চালাবে এবং তারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দ্বারা হামলা চালানো হয়েছে।

তবে ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো বলেছেন, কিয়েভের বাহিনী মস্কোর যেকোনো আক্রমণকে ব্যর্থ করতে প্রস্তুত থাকবে।

তিনি ইউক্রেনের নিউজ আউটলেট রিগা ডট নেট-কে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। হ্যাঁ, শত্রুরা আমাদের অপ্রীতিকরভাবে চমক দেবে। তারা এমন এলাকায় হামলা করবে, যেখানে আমরা আশা করি না। কিন্তু, তারা লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।’

এদিকে, রাশিয়া পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। কিন্তু, দীর্ঘ বিলম্বিত মার্কিন সামরিক সহায়তা অবশেষে এই সপ্তাহে অনুমোদিত হবে এবং শীঘ্রই ইউক্রেনে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই সহায়তার আওতায় গোলাবারুদের ঘাটতি দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বিজয় দিবস মস্কো ৯ মে’র মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর চসিভ ইয়ার দখল করতে চাইবে।

পিভনেঙ্কো বলেন, তিনি কিয়েভের সেনাদের কিছু অসুবিধা আগে থেকেই দেখেছেন। তবে, রাশিয়ান বাহিনী জয় লাভ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া সম্ভবত তাদের লক্ষ্যের ১০-১৫% পূরণ করতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু, এটি কৌশলগত বিজয় হবে না।’

তিনি আশা করেন যে, রাশিয়ার সেনারা খারকিভের বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানবে, যার বেশিরভাগই ইতিমধ্যে রাশিয়ান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের ইরান-সমর্থিত গ্রুপ হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা ওই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ইসরায়েলের ওই ড্রোন হামলায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর এক যোদ্ধা নিহত হয়।

জবাবে মঙ্গলবার, হিজবুল্লাহ একরির উত্তরে দুটি ইসরায়েলি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়।

গ্রুপটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, লেবাননে মঙ্গলবার ইসরায়েলের হামলায় ইরান-সমর্থিত ওই যোদ্ধা নিহত হন। ওই যোদ্ধা গাড়িতে করে যাওয়ার সময় ইসরায়েলের হামলার শিকার হন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার মধ্যদিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় হচ্ছে।

এএফপি’র এক সাংবাদিক জানান, সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় তায়ার নগরীর কাছে আবু আল-আসওয়াদ এলাকায় সর্বশেষ এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সূত্রটি এএফপিকে জানায়, নিহত যোদ্ধা হিজবুল্লাহর বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন প্রকৌশলী ছিলেন।

লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত জাতীয় বার্তা সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী তার গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এএফপি’র এক সাংবাদিক জানান, ওই ড্রোন হামলায় গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

খবরে বলা হয়, হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে তাদের রকেট হামলা জোরদার করেছে এবং রবিবার সন্ধ্যায় তারা ইসরাইলের একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩৭৭ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই
হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। তবে নিহতদের মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে।

এদিকে ইসরায়েল বলছে, তাদের দেশের সীমান্তে হিজবুল্লাহ গ্রুপের বিভিন্ন হামলায় ইসরায়েলের ১১ সেনা ও আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

;