দলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চাইলেন মমতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বক্তব্য রাখছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, ছবি: সংগৃহীত

বক্তব্য রাখছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে অনেকগুলো আসন খোয়ানোর পর ভোটের ফল পর্যালোচনার জন্য নিজ দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এ বৈঠকের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চান তিনি।

শনিবার (২৫ মে) নিজের বাসভবন সংলগ্ন কার্যালয়ে এ বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল চেয়ারপারসন মমতা।

পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে এসেছে, লোকসভা নির্বাচনের সব প্রার্থীকেই ডাকা হয়েছিল সেখানে। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কিছু সংবাদ মাধ্যমকে বললেন ভোট নিয়ে, তার সারকথা এই। ভোটের ফলাফল পর্যালোচনার জন্য নিজের বাসভবন সংলগ্ন কার্যালয়ে এ দিন বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল চেয়ারপারসন। লোকসভা নির্বাচনের সব প্রার্থীকেই ডাকা হয়েছিল সেখানে। ডাকা হয়েছিল দলের জেলা সভাপতি এবং পর্যবেক্ষকদের। ডাকা হয়েছিল সিনিয়র নেতাদেরও। পর্যালোচনা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন, তাতে কিন্তু তৃণমূলের বা তার সরকারের তরফে কোনও খামতির স্বীকারোক্তি রইল না। বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা খাওয়ার অজুহাত হিসেবে ঘুরেফিরে বার বারই বরং উঠে এল নানা রকম চক্রান্ত ও অশুভ আঁতাতের তত্ত্ব।

শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রায় আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক থাকার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কোথাও মনে হল তিনি বিরক্ত, কোথাও মনে হল তথাকথিত চক্রান্তের সামনে তিনি অসহায় বোধ করছেন, কোথাও আবার রয়ে গেল একটু অভিমানের সুর। তিনি জানালেন, এ দিনের বৈঠকের শুরুতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তাকে গত পাঁচ মাস কোনও কাজ করতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘আমি এ রকম আগে কখনও দেখিনি। পাঁচ মাস ধরে কোনও কাজ করতে গেলেই বলছে, সব নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সারা ভারতে আর কোথাও হয়েছে কি না জানি না, কিন্তু বাংলায় তো হয়েছে।’’ কণ্ঠস্বরে তীব্র ঝাঁঝ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘পুরো কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, নির্বাচন কমিশন পুরো ওদের (বিজেপির) হয়ে কাজ করেছে। কেউ বলুক ছাই না বলুক, ঘটনা তো সত্য!’’

তবে এত কিছু করেও তৃণমূলকে বিজেপি খুব একটা ধাক্কা দিতে পেরেছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের আসন হয়তো কমেছে, কিন্তু ভোট বেড়েছে।’’ ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের হিসেবে চোখ রাখলে দেখা যাবে তৃণমূলের ভোটপ্রাপ্তির হার অবশ্যই বেড়েছে। কিন্তু তার পরে ২০১৬ সালে যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, তাতে তৃণমূলের পাওয়া ভোট শতাংশে যদি চোখ রাখা যায়, তা হলে কিন্তু ভোট এ বার কমেছে। সে প্রসঙ্গে কারও কাছ থেকে কোনও মন্তব্য মেলেনি।

নির্বাচনী ফলাফলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘পুরোপুরি হিন্দু-মুসলমান করা হয়েছে। আমি এটা মানি না, আমি এই থিওরি মানি না। আমি ওদের অভিনন্দন জানিয়েও বলছি, আমি এই থিওরি মানি না। এতে যদি আমায় একা থাকতে হয়, আমি একা থাকতেও রাজি আছি। কিন্তু আমি হিন্দু-মুসলমান-শিখ-খ্রিস্টানে ভোট ভাগাভাগি মানি না।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, শুধু সাম্প্রদায়িক মেরুকরণেই বিজেপি থামেনি। হাজার হাজার কোটি টাকা বিজেপি ছড়িয়েছে বলে তার দাবি। তিনি বলেন, ‘‘এই নির্বাচনে যে টাকা খরচ করেছে বিজেপি, যে কোনও কেলেঙ্কারিকে হারিয়ে দেবে।’’ এই সব কথা বলতে গেলেই তার বিরুদ্ধে সিবিআই বা ইডি-কে ব্যবহার করা হতে পারে— এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে পরক্ষণেই জানান যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয়ে তিনি চুপ করে থাকবেন না।

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে টাকা ঢোকানো এবং ঘরে ঘরে টাকা বণ্টন হয়েছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে এবং কলকাতা বিমানবন্দর যে কমিশনারেটের অধীনে, সেই বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দিয়ে টাকার আদান-প্রদানের পথ প্রশস্ত করা হয়েছিল বলে তার ইঙ্গিত।

তৃণমূল চেয়ারপারসন এ দিন বলেন, ‘‘পুরো জরুরি অবস্থা তৈরি করে নির্বাচন করেছে। খুব অপমানের মধ্যে দিয়ে সরকার চালিয়ে এসেছি।’’ এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ইস্তফার ইচ্ছার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট, টাকার দোষে দুষ্ট নির্বাচনকে আমি মেনে নিতে পারছি না। তাই আমি আজ বৈঠকের শুরুতেই বলেছিলাম, আমি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে চাই না।’’ কিন্তু তার এই প্রস্তাব দল মানেনি বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন যে, তিনি কিছুতেই দলকে নিজের কথা বোঝাতে পারেননি, তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

শুধু বাংলা নয়, অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচন নিয়েও যে তার সন্দেহ রয়েছে, সে কথাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন। গুজরাত, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সব আসন বা প্রায় সব আসন বিজেপির ঝুলিতে গেল কী ভাবে? প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভোট লুঠ না করলে কি এমনটা সম্ভব? প্রশ্ন তার।

‘প্রোগ্রামিং’ তত্ত্বও এ দিন বেশ জোর দিয়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেক কিছু শুনতে পেয়েছি, পাচ্ছি। যেখানে আমরা এক লক্ষের কমে হেরেছি, সেখানে আমার সন্দেহ আছে। আমার নিজের ধারণা, প্রোগ্রামিং একটা করা ছিল। আমাকে তিন মাস আগে থেকে আমলা মহলের অনেকে বলেছিলেন।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সেটিং একটা হয়েছে। সেটিংটা কী করে হল, কী করে হল? দেখা যাক।’’

বিজেপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও এ দিন তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি একা নন, সম্মিলিত বিরোধী শিবির বার বার কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে, কিন্তু কোনও অভিযোগকেই কমিশন গুরুত্ব দেয়নি— বিরক্তি নিয়ে এ দিন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি— আক্ষেপ তার। সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাতেও যে তিনি সন্তুষ্ট নন, তাও এ দিন বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন কমিশনের বিরুদ্ধেই। তার কথায়, ‘‘এ বার ইলেকশন কমিশন ওপেন গেম খেলেছে, ইলেকশন কমিশন হল এই নির্বাচনের ম্যান অব দ্য ম্যাচ।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এ দিন এক বারের জন্যও বুঝতে দিতে চাননি যে, নির্বাচনের এই ফলাফলে তিনি আশাহত। সাংবাদিক সম্মেলনের প্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন স্বভাবসিদ্ধ তেজ। কোনও প্রসঙ্গেই ব্যাকফুটে গিয়ে খেলার কথা ভাবেননি, আক্রমণাত্মক মেজাজে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যাবতীয় অস্বস্তি। কিন্তু তার ফাঁকে ফাঁকেই কখনও উঁকি দিয়েছেন এক অভিমানী মমতা। যিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন অথবা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে বলছেন, ‘‘একটু বেশি কাজ করে ফেলেছিলাম মনে হচ্ছে। এ বার একটু দলটা বেশি করে করব।’’ কখনও দেখা দিয়েছেন ঈষৎ সংশয়ে থাকা মমতা। যিনি দাবি করছেন, চক্রান্ত করে তার দলকে অনেক আসনে হারানো হয়েছে। আবার সে সব ঠেলেই আচমকা তে়ড়েফুঁড়ে উঠতে দেখা গিয়েছে এক বেপরোয়া মমতাকেও। যিনি বলতে পারেন, ‘‘আমার চেয়ারকে প্রয়োজন নেই, আমাকে চেয়ারের প্রয়োজন।’’

   

ইরানের ইস্পাহানকেই কেন টার্গেট করে হামলা চালালো ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরাইলি ভূখণ্ডে তেহরানের নজিরবিহীন হামলার ছয় দিনের মাথায় একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দাবি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসি’র যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্ফাহানের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানের গণমাধ্যমে এসেছে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার মাধ্যমে তিনটি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।

ইরানি গণমাধ্যম এবং দেশটির কর্মকর্তারা ইস্ফাহান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরে হামলার খবরটিকে হালকাভাবেই উপস্থাপন করছেন।

ইরানিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি একজন কর্মকর্তা হোসেইন দালিরিয়ানের দাবি, সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

এদিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।


বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে দেশটির মধ্যাঞ্চলের নগরী ইস্পাহানের বিমানঘাঁটির কাছে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করার কথা জানানো হয়েছে।

তবে ইরানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। ইরানের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারণে ইস্পাহান বিমানঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফারস বলেছে, মধ্যাঞ্চলের শহর ইস্পাহানের একটি সেনাঘাঁটির কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছে, এটা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়। ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, মধ্যরাতের একটু পরেই ‘ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ নিরাপত্তাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। আর এর ফলে ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করে ফেলা হয়।


যে কারণে ইস্পাহানই ইসরায়েলের লক্ষবস্তু-


বিবিসিকে একজন পারমাণবিক এবং রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর ইস্ফাহানকে বেছে নেয়া ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’।

যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন উল্লেখ করেছেন, শহরটির আশপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু। যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে ধারণা করা হয় সেই স্থানটির খুব কাছেই আলোচিত আক্রমণটি করা হয়েছে। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি,’ বিবিসিকে বলেন তিনি।


এছাড়াও, ইস্পাহান ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ও প্রধান পর্যটন নগরী। সমৃদ্ধ মুসলিম ঐতিহ্য ও নান্দনিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত এটি। একসময় শহরটিকে ‘ইস্পাহান নিসফে জানান’ বলা হতো, যার অর্থ ইস্পাহান পৃথিবীর অর্ধেক। ছন্দোবদ্ধ এই প্রবাদ আসলেই সত্য। এটি পৃথিবীর অন্যতম বড় শহর ছিল এবং দুবার ইরানের রাজধানী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল। মুসলিম ঐতিহ্যের শহর ইস্পাহানকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্রিটিশ পর্যটক রবার্ট বায়রন এথেন্স বা রোমের মতো বিরল স্থানগুলোর সঙ্গে ইস্পাহানকে তুলনা করেছেন। ইস্পাহানের ইতিহাস ও চিত্তাকর্ষক স্থাপত্যের কারণে শহরটিকে ‘ইরানের লুকানো রত্ন’ও বলা হয়।

;

ভারতে গরম নিয়ে সতর্কতা, তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪৩ ডিগ্রি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের দক্ষিণের জেলাগুলোতে বাড়ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ইতোমধ্যেই তাপমাত্রার পারদ পেরিয়েছে ৪০ এর কোঠা। এতে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি। এমন পরিস্থিতিতে একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। 

এদিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির আবহাওয়া বিভাগ এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী দু থেকে তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়বে। ২১ এপ্রিলের পর থেকে আরও ভয়ঙ্কর হবে পরিস্থিতি।  

পশ্চিমবঙ্গে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে।   

এছাড়া পশ্চিমের কিছু কিছু জেলায় সিভিয়ার হিট ওয়েভ বা তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এই ৮ জেলায় তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। 

জেলা পুরুলিয়াও রয়েছে সেই তালিকায়। এদিন জেলাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই। তবে আগামী সপ্তাহে কিছুটা গরম কমতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস। বিশেষ করে ‌উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

;

বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন মালিকায়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজ্য কর্নাটকে লোকসভা নির্বাচনের আগে ধাক্কা খেল বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, পদ্মশিবির ছেড়ে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী মালিকায়া গুট্টেদার।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে লোকসভা আসনের সংখ্যা ২৮। সেখানে দ্বিতীয় দফায় ১৪টি আসনে ভোটগ্রহণ আগামী ২৬ এপ্রিল। ৭ মে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে বাকি ১৪টি আসনে।

ভোটপর্ব শুরুর আগে প্রভাবশালী এই নেতার দলত্যাগে হায়দরাবাদ-কর্নাটক অঞ্চলে বিজেপি ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের জেলা কলবুর্গির (সাবেক গুলবর্গা) আফজলপুর বিধানসভা থেকে ছয় বার জিতেছেন গুট্টেদার।

২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন তিনি। কলবুর্গির রাজনীতিতে গুট্টেদারের ‘কট্টর বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত তারই ভাই নিতিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট কাটায় ওই আসনে জিতেছিল কংগ্রেস।

সম্প্রতি নিতিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারই জেরে বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পার একদা ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন মন্ত্রী পদ্ম ছেড়ে হাত ধরলেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।

খড়্গে নিজে কলবুর্গি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে সাংসদ হয়েছিলেন। তার ছেলে প্রিয়ঙ্ক কলবুর্গি লোকসভার অন্তর্গত চিত্তপুরের বিধায়ক। এবার ওই লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী কংগ্রেস সভাপতির জামাই রাধাকৃষ্ণ দোদ্দামণি।

;

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘণ করে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের ফলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ তালিকায় রয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েক জন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা নামও।

আইসিসির সম্ভাব্য এই পদক্ষেপ ঠেকাতে তাই সম্প্রতি নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবও আইন বিশেষজ্ঞ উপস্থিতি ছিলেন।

গত মঙ্গলবার রাতে এ বৈঠক হয়েছিল বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর।

বুধবার জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোনার প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরোয়ানা ঠেকাতে তিনি এই দুই দেশের সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

২০১৪ সালে হামাস এবং আইডিএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর এই কাজ স্থগিত থাকার পর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফরে এসেছিলেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে পারেননি তিনি তবে সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয় এবং যেসব সহিংসতা পূর্বে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, সেসব হামাস এবং আইডিএফের পূর্ব পরিকল্পিত বলে তিনি মনে করছেন। এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

করিম খানের সফরের তিন মাস পর এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া আইসিসি শুরু করেছে বলে জানা গেছে, যা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে ইসরায়েরের সরকার।

;