চীনের উইঘুর মুসলিমদের রয়েছে সমৃদ্ধ সঙ্গীত মুকাম



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী তুদী আখুনের ভাস্কর্য, ছবি: বার্তা২৪

চীনের কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী তুদী আখুনের ভাস্কর্য, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের জিনজিয়াং থেকে ফিরে: চীনের উইঘুর মুসলিমদের রয়েছে সমৃদ্ধ সঙ্গীতের বারো (১২) মুকাম। আর এটি সংরক্ষণ করেছেন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী তুদী আখুন।

 

১৯৪৯ সালে গণচীনের প্রতিষ্ঠা হয়। চীনের অংশ জিনজিয়াং প্রদেশের সরকার চাইল, হাজার বছর ধরে চলে আসা সমৃদ্ধ উইঘুর সঙ্গীত যেন সংরক্ষিত হয়। ১৯৫১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৭০ বছর বয়সী কিংবদন্তী উইঘুর সঙ্গীতশিল্পী তুদী আখুন প্রথমবারের জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমচি পৌঁছান।

তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি এসেছেন নতুন প্রতিষ্ঠিত চীনের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে জিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানীর ১৮০০ কিলোমিটার দূর থেকে।

 

মাঝারি আকারের বৃদ্ধ, মাথায় উইঘুরদের বাদাম টুপি, দীর্ঘ দাড়ি, ঘন ভ্রু, এবং ছোট ছোট, গভীর ও উজ্জ্বল একজোড়া চোখ। সঙ্গে আছে তার উইঘুর সঙ্গীতযন্ত্র সাটার। আরো আছেন তার বড় ছেলে উসুল আখুন।

তুদী আখুনের (১৮৮১-১৯৫৬) নেতৃত্বেই সংরক্ষিত হয় ১২ মুকাম। বাবার মৃত্যুর পর সেই কাজ শেষ করেন ছেলে উসুল আখুন।

তুদী আখুনকে বর্ণনা করা যেতে পারে উইঘুরদের রবীন্দ্রনাথ হিসেবে।

 

তৎকালীন জিনজিয়াং প্রদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুদ্দিন আজিজের (১৯১৫-২০০৩) একটি উদ্যোগের ফল হিসেবে এসেছিলেন তিনি। তিনি উইঘুর সঙ্গীত সংগ্রহ ও উদ্ধার করার জন্য বড় আকারের গবেষণা প্রকল্প সম্প্রসারিত করেছিলেন। এসব জানা গেছে জিনজিয়াং প্রদেশের সুফি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে।

তুদী আখুন যে ১২ মুকাম সৃষ্টি করেন সেগুলো হলো-
১. রাক
২. কাবিয়াত
৩. সেগাহ
৪. চাহারগাহ
৫. পঞ্জিগাহ
৬. ওজাল


৭. আজম
৮. আসাক
৯. বায়াত
১০. নেভা
১১. মুসাবেরাক
১২. ইরাক

১২টি মুকামের প্রত্যেকটিতে একটি প্রধান অধ্যায় রয়েছে, যা দীর্ঘ তালে প্রবর্তনের সাথে শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে গতি বৃদ্ধি পায় নানা চরিত্রের সঙ্গে।

প্রতিটি মুকামে তিনটি অংশ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নাঘমা, দস্তন এবং মশরাপ। এই অংশ প্রতিটি মুকামে একই ক্রম অনুসারে সাজানো হয়, যদিও সব মুকামের একই টুকরা থাকে না।

 

এই অংশগুলো তেজ, নুসখা, ছোট স্যালিক, জুলা, সানম, বড় স্যালি, পশ্রু এবং টাকিট নামে পরিচিত। কিছু সুর অলংকার হিসাবে পরিচিত। যদিও প্রতিটি নামকরণের টুকরাটির বৈশিষ্ট্যগত সুর প্যাটার্ন থাকে। তবে সুরগুলো ভিন্ন হয়। তাই প্রতিটি অংশ সাধারণত মুকাম দ্বারা বিভক্ত হয়।

উদাহরণস্বরূপ, "রাক নুশখা" বা "সেগাহ জুলা" সম্পর্কে বলা যেতে পারে। এ গানগুলো ২০ থেকে ৩০ অংশে বিভক্ত, যা শুরু হলে শেষ করতে দুই ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে!

মুকামের ১২টি অধ্যায়ে বাদ্যযন্ত্র, রোমান্টিক, বিরহ, প্রকৃতির গান ও নৃত্যে কলা সংযুক্ত রয়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় এবং মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে প্রাপ্ত রোমান্টিক বিবরণী গান রয়েছে এ মুকামে।

   

যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে আটকে গেল জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশটি।

খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণসদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল।নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২টি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোটদানে বিরত ছিল। ভেটো প্রদান করে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ভেটো দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে চলেছে।এই ভোটটি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্বের বিরোধিতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা চাই তারা সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুক।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন ভেটোকে অন্যায়, অনৈতিক এবং অযৌক্তিক বলে নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মার্কিন ভেটো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ভেটো দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করে বলেছেন, লজ্জাজনক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হবে না।

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

তবে তাদের এই আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে।

২০১১ সালে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। এরপর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে ফিলিস্তিন এ মাসের শুরুতে আবারও সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।

;

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লাসহ শীর্ষস্থানীয় ৯ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এই খবর জানিয়েছে বিবিসি, এএফপিসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

কেনিয়ার একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার এএফপিকে জানিয়েছেন, উড্ডয়নের পরপরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায় এবং এতে জেনারেল ওগোল্লাসহ ৯ জন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। তার মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, হেলিকপ্টারে অবস্থান করা সবাই ছিলেন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে জেনারেল ফ্রান্সিস ওগোল্লা, রাষ্ট্রপতির প্রধান সামরিক উপদেষ্টাও ছিলেন। তবে বিবিসি এসব প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি কেনিয়ার রিফট ভ্যালিতে নেমে এসেছিল এবং আগুনে ফেটে পড়েছিল। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভূমি তার সবচেয়ে বীর জেনারেলদের একজনকে হারিয়েছে। জেনারেল ওগোল্লার মৃত্যু আমাদের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।

ওগোল্লা ১৯৮৪ সালে কেনিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সঙ্গে একজন ফাইটার পাইলট এবং কেনিয়া এয়ার ফোর্সে (কেএএফ) একজন প্রশিক্ষক পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। ডেপুটি মিলিটারি চিফ হওয়ার আগে ওগোল্লা কেনিয়ার বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট তাকে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান করেন।

;

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোয় ইরানের ড্রোন কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একযোগে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে ইহুদি রাষ্ট্রটির ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশ দুটি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ওই ড্রোন ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

শনিবার রাতে ইসরাইলে প্রত্যাশিত ও অভাবনীয় হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলের বিমান হামলায় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহতের প্রতিশোধ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।

বড় ধরনের এই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলা রুখতে ইসরায়েলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।

এই হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।

;

হারিয়ে যাওয়া প্রাণী

২৫ মিটার লম্বা নতুন প্রজাতির সামুদ্রিক সরীসৃপের সন্ধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের সমুদ্রের তীরে ২৫ মিটার লম্বা অতি দীর্ঘাকৃতির সামুদ্রিক সরীসৃপের ফসিল পাওয়া গেছে। এই প্রাণীটি ২শ ২ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরের পাশাপাশি এই পৃথিবীতে বাস করতো। গণবিলুপ্তির মুখে পড়ে একসময় পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় তারা।

২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের সমারসেট সমুদ্রের তীরে এক ফসিল-গবেষক প্রথম এটির সন্ধান পান। এরপর ২০২০ সালে ওই সমুদ্রে তীরে বাবা ও মেয়ে বেড়াতে গিয়ে আরেকটি হাড়ের ফসিল খুঁজে পান।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সামুদ্রিক এই সরীসৃপ সাঁতার জানতো না। দুটো বাস মুখোমুখি রাখলে যতটা লম্বা দেখায়, এই প্রাণীটি ছিল তার চেয়েও লম্বা।

এ বিষয়ে ইউনির্ভাসিটি অব ব্রিস্টল প্লিয়নটোলজিস্ট (প্রাণী বা গাছের ফসিল গবেষক) ডা. ডিন লোম্যাক্স বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে জানান, সরীসৃপ জাতীয় সামুদ্রিক এই প্রাণীটি নীল তিমির মতোই লম্বা। বলা চলে ২৫ মিটার। তিনি বলেন, প্রাণীটির চোয়ালের দুটি হাড় পাওয়া গেছে। এর একটি এক মিটারের চেয়েও লম্বা। অপরটি লম্বায় দুই মিটার। এর ভিত্তিতেই বলা যেতে পারে, এটি ২৫ মিটার লম্বা ছিল।

তবে তিনি তার লেখায় এটাও উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র চোয়ালের হাড় দেখেই প্রাণীটির আকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পাওয়া যায় না; অনুমান করা যায় মাত্র। এ জন্য প্রাণীটির মস্তিষ্ক এবং কঙ্কাল পাওয়া প্রয়োজন।

ডা. ডিন লোম্যাক্স জানান, বিশালাকৃতির এই সামুদ্রিক প্রাণী গণভাবে বিপন্ন হয়ে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায়। এরপর বিশালাকৃতির শরীর নিয়ে তারা আর ফিরে পৃথিবীতে ফিরে আসেনি।

২০১৬ সালে ফসিল-গবেষক পল ডি লা স্যালি সমারসেট সমুদ্র তীরে বিশালাকৃতির চোয়ালের একটি হাড় খুঁজে পান। তিনি ফসিল বিশেষজ্ঞ স্টিভ ইচেজের কাছে ফসিল বিষয়ে হাতেখড়ি হওয়ার ২৫ বছর পর এই বিশালাকৃতির সরীসৃপের চোয়ালের একটি হাড় খুঁজে পান। এই সময় ডি লা স্যালি তার স্ত্রীকে নিয়ে সমুদ্র তীরে ফসিল খুঁজে ফিরছিলেন।

এরপর তিনি ২০১৮ সালে যখন ডিন লোম্যাক্সের সঙ্গে তার পাওয়া চোয়ালের হাড়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তখনই জানা যায় যে, তারা একটি বড় ধরনের একটি আবিষ্কার করে ফেলেছেন। তারা তাদের প্রাপ্ত উপাত্ত নিয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ লেখেন।

প্রাণীটি আসলে লম্বা বা আকৃতিতে কত বড়, সে সম্পর্কে তথ্য পেতে তারা অনুসন্ধান শুরু করেন। ডিন লোম্যাক্স বলেন, ২০২০ সালে বাবা জাস্টিন ও মেয়ে রুবি রেনোল্ডস এ বিষয়ে বড় কিছু আবিষ্কার করে ফেলেন।

বিশালাকৃতির সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে Ichthyotitan severnensis

তিনি বলেন, আমি সত্যি সত্যি ভীষণভাবে অভিভূত হয়ে যাই, বাবা ও মেয়ের এই আবিষ্কারে। তিনি বলেন, পল ডি লা স্যালি যেভাবে বলেছিলেন, চোয়ালের দ্বিতীয় হাড়টি ঠিক সেভাবেই পাওয়া গেছে।

তাদের এই খবর জানার পর পল সমারসেট সমুদ্রে তীরে ছুটে আসেন এবং তার সহযোগিতায় সেখানকার মাটি খুঁড়তে শুরু করি। প্রায় একঘণ্টার চেষ্টায় শক্ত কিছু একটা খুঁজে পাই। তারপর দেখি, প্রাণীর চোয়ালের হাড়টি একদম ঠিকঠাক মতো সুরক্ষিত রয়েছে।

২০২২ সালে গবেষক দলটি হাড়ের শেষ টুকরোটির সন্ধান পান। এই আবিষ্কার প্রাণীটির প্রকৃত আকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা দেয়। তারা বলেন, এই প্রামাণ্য উপাত্ত নতুন একটি প্রজাতি ‘ইচথিওসোর’ সম্পর্কে ধারণা দেয়। তখন এটির নামকরণ করা হয়, ‘ইচথিওটিটান সেভারনেনসিস (Ichthyotitan severnensis) বা দ্য সেভার্নের বিশালাকৃতির লেজওয়ালা মাছ।

রুবি রেনোল্ডসের সহলেখক ডিন সর্বশেষ গবেষণাপত্রে জানান, এই প্রজাতির প্রাণীর নাম একসময় ‘রুবি’ হয়ে যেতে পারে। আবিষ্কৃত এই প্রাণীটির ফসিল খুব শিগগিরই ব্রিস্টল মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্ট গ্যালারিতে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

;