রমজানের প্রথম শুক্রবারেও ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ
আজ পবিত্র রমজান মাসের প্রথম শুক্রবার। এদিনকে শহীদ ও আহতদের জন্য নিবেদন করে রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।
নিজেদের দখল হয়ে যাওয়া ঘরবাড়িতে ফেরার দাবিতে ঘোষিত ‘ঘরে ফেরার মহান যাত্রা’র (গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন) আয়োজক কমিটি আজ গাজাবাসীদের ঘর ছেড়ে সীমান্তের পথে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভ দমনে গাজা সীমান্তে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফের বিপুলসংখ্যক সদস্যকে।
বাহিনীটি মনে করছে, সোমবারের সংঘর্ষে ৬০ জন নিহত হওয়ার পর আগের সপ্তাহগুলোর চেয়ে আজ কমসংখ্যক ফিলিস্তিনিই বিক্ষোভে অংশ নেবেন।
‘ঘরে ফেরার মহান যাত্রা’র আয়োজক কমিটি বলছে, পবিত্র রমজান মাসেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আগামী ৫ জুন ইসরাইলের সঙ্গে ছয় দিনের যুদ্ধের বার্ষিকী। ‘নাকসা’খ্যাত দিনটিতে ১৫ মের মতো গণবিক্ষোভ পালন করা হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র এ শহরটিতে মার্কিন দূতাবাস খোলা হয়।
এর প্রতিবাদে গাজা উপত্যকায় বড় ধরনের বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। ওই সময় তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েন ইসরাইলি সেনারা। তাদের নির্বিচার গুলিতে নিহত হন ৬০ ফিলিস্তিনি।
নিহতদের মধ্যে আট মাসের শিশু লায়লা ও দুই পা হারানো ফাদি আবু সালাহর মতো মানুষও ছিলেন। এ ছাড়া নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আহত হন।
এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে চলমান ‘ঘরে ফেরার মহান যাত্রা’ কর্মসূচিকালে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হলেন।
ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে তাদের সন্ত্রাসী দাবি করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের স্নাইপার দিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনার তথ্যপ্রমাণ থাকায় ইসরাইলের দাবি বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
বরং ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাকাণ্ডের জন্য জাতিসংঘ, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ইসরাইলের সমালোচনা করে আসছে।