বিশ্ব বাণিজ্যে অসম শুল্কনীতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত (প্রতীকী)

ছবি: সংগৃহীত (প্রতীকী)

  • Font increase
  • Font Decrease

'বিশ্বায়ন আর বাণিজ্য নীতি'- যার উপর গোটা বিশ্ব এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অবাধ বাণিজ্য নীতি বলতে বিশ্বের দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে জল-স্থল-আকাশ পথে অবাধে পণ্য আমদানি ও রফতানি করার স্বাধীনতাকে বোঝায়। বাণিজ্য নির্ভর অর্থনীতির সূচকে প্রতিটি দেশই আমদানি-রফতানি নির্ভর। নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষায় বাণিজ্য পথকে অবাধ ও উন্মুক্ত করার কথা বললেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছে ভবিষ্যত বাণিজ্য যুদ্ধের।

যদিও এই সমস্যা সমাধানে আত্মপ্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। কিন্তু অবাধ বাণিজ্য প্রশ্নে সবার প্রথমে যে শর্তটি আসে সেটি হলো শুল্কনীতি। বিশ্ব বাণিজ্যে অসম শুল্কনীতির প্রসঙ্গে প্রথমে যে নাম আসে সেটি হলো ১৮২৪ সালের ভারত ও ইংল্যান্ডের অসম শুল্কনীতি। যেখানে দুই দফায় ভারতের বস্ত্রশিল্পের উপর ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ইংল্যান্ড।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/02/1564754820378.jpg
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন

 

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও চীনের ৩০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।

খবরে জানানো হয়, ট্রাম্প তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে। ইতোমধ্যে যেসব চীনা পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে তার মধ্যে স্মার্টফোন ও পোশাক আছে বলেও জানানো হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এবারের ঘোষণার ফলে সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা সব চীনা পণ্যেই শুল্ক বসানো হবে বলে জানানো হয়।

এদিকে চীনের ২৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে আগে থেকেই ২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। ওই সব পণ্য নতুন ঘোষণার আওতায় পড়বে না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/02/1564754961654.jpg
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার অনুষ্ঠিত বৈঠক  

 

চীনের রফতানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও শুল্ক আরোপ করেছে। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও থেমে নেই। মার্কিন পণ্যেও শুল্ক বসিয়েছে চীন।

যদিও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাসের লক্ষে করা কয়েক দফা বৈঠকের পরই এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পর বিশেষজ্ঞরা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংকট নিরসনে এ বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/02/1564755367067.jpg
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বামে) ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডানে) 

 

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতির পর থেকেই চীনের রফতানি করা সকল পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক বসিয়ে আসছে ট্রাম্প। ২০১৮ সালে তিন দফায় চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্বল্প সময়ের নোটিশে ২৬৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘটনা ঘটে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বে প্রথম বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বেইজিং। অবাধ বাণিজ্য নীতির প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক দ্বিমুখী নীতি নিত্য নতুন সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে।

শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্ব নয়, সম্প্রতি ইরাকের হরমুজ প্রণালিতে ব্রিটিশ মালবাহী দুইটি নৌযান আটক করা হলে সমুদ্র পথে বাণিজ্য নীতি নিয়ে তোপের মুখে পড়ে ইরান। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েক দফা বৈঠক শেষে বলেন, সমগ্র বিশ্বে সমুদ্র বাণিজ্য পথ উন্মুক্ত হওয়া উচিত। একইসঙ্গে তিনি বিরূপ মন্তব্য করেন ইরানের এহেন কর্মকাণ্ডে। যদিও এটা নিয়ে ইরানের অবস্থান ছিল বরাবরের মতোই একরোখা।

   

ন্যাটোর দেশে আক্রমণ নয়, তবে এফ-১৬ দিলে ধ্বংস করা হবে: পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এছাড়া পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না রাশিয়া। তবে এসব দেশ যদি ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে, তবে সে যুদ্ধবিমান গুলি করে ধ্বংস করা হবে।

রাশিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেন।

রুশ বিমানবাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়ার দিকে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার তাদের ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করে আসছে। সে কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করতে চাওয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, এসব যুদ্ধবিমান যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে না। আমরা এখন যেমন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং একাধিক রকেট লাঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করি, ঠিক তেমনি আমরা যুদ্ধবিমান ধ্বংস করব।

পুতিন বলেছেন, ন্যাটোর কোনো সদস্যদেশের ওপর আক্রমণাত্মক চালানোর কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তবে হ্যাঁ যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, সে স্থানগুলো বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। সেটি যে স্থানই হোক না কেন।

বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব দেশের একটি জোট ইউক্রেনের চালকদের প্রশিক্ষণ দেবে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিমান চেয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে।

;

‘ক্রিপ্টো কিং’ স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রিডের ২৫ বছরের কারাদণ্ড



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধসে যাওয়া ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এফটিএক্স-এর সাবেক প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাংকম্যান ফ্রিডকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ম্যানহাটনের একটি আদালত।তাকে গ্রাহকদের বিলিয়ন ডলার চুরি করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতির অভিযোগে স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রিডের ৫০ বছরের সাজা চান প্রসিকিউটররা। তাদের যুক্তি জনসাধারণকে প্রতারক থেকে রক্ষা করা দরকার এবং একটি কঠোর শাস্তি অন্য অপরাধীদের নিবৃত্ত করবে। পরে বিচারক ৩২ বছর বয়সী স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রিডের ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেন।

আদালতে দায়ের করা মামলায় প্রসিকিউটররা বলেছেন, আসামি একাধিক মহাদেশজুড়ে কয়েক হাজার লোক এবং কোম্পানির শত শত কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।

বিচারক কাপলান ‘ক্রিপ্টো কিং’ স্যাম ব্যাঙ্কম্যানের ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনকে সান ফ্রান্সিসকো এলাকার কাছাকাছি একটি মাঝারি-নিরাপত্তা কারাগারে স্যাম ব্যাঙ্কম্যানকে পাঠানোর পরামর্শ দেব। কারণ তিনি অন্য বন্দি বা কারাগারের কর্মীদের জন্য শারীরিক হুমকি হতে পারেন। তিনি একটি উচ্চ নিরাপত্তা অবস্থানে অন্যান্য বন্দীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

;

মুস্তফাকে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী করে ফিলিস্তিনের নতুন মন্ত্রিসভা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফা বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, যেখানে তিনি রিয়াদ আল-মালিকির স্থলাভিষিক্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ওই মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছেন।

এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৭৬ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে।

এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৭৫ হাজার জনে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর মাস থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪৯০ জনে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল।

;

রাজধানী সরিয়ে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, জাকার্তাকে বিশেষ মর্যাদা ঘোষণা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ুদূষণসহ বেশ কিছু সমস্যার কারণে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে বোর্নিও দ্বীপে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এর আগেই জাকার্তাকে দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসবে মনোনীত করেছে ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বোর্নিও দ্বীপের পূর্ব কালিমান্তান জঙ্গলের নুসানতারা অঞ্চলটিকে নতুন রাজধানী হিসেবে সাজানোর জন্য ৩২ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।

বর্তমান রাজধানী জাকার্তা অত্যন্ত জনবহুল আর যানজটপূর্ণ। এ ছাড়া ভূ-গর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত উত্তোলনের ফলে শহরটি দেবে যাচ্ছে। জাভা সাগরের এই বৃহত্তম দ্বীপটিতে বায়ুদূষণও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এখানে এক কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরটি তলিয়ে যায়। তাই রাজধানীকে বোর্নিও প্রদেশের ইস্ট কালিমানতানের নুসানতারায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

শহরটি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বৃহত্তম একটি প্রকল্প। উইদোদো জাভা দ্বীপপুঞ্জজুড়ে কেন্দ্রীভূত সম্পদ পুনর্বণ্টন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

১৮ মার্চ পাস হওয়া আইন অনুযায়ী জাকার্তা এবং নতুন রাজধানীর উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয় করার জন্য একটি একীভূতকরণ কাউন্সিল গঠন করা হবে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টিটো কারনাভিয়ান জানান, নুসানতারায় রাজধানী স্থানান্তরের পর জাকার্তা যাতে বিশ্বের অন্যান্য শহরের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে করে এই শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় এবং দেশের জিডিপিতে অবদান বৃদ্ধি পায়।

আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ডিক্রি জারির আগ পর্যন্ত জাকার্তাই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী থাকবে।

আগামী ১৭ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া সরকার নুসানতারায় তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে। আর চলতি বছরের শেষ নাগাদ কয়েক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে নতুন রাজধানীতে স্থানান্তর করা হবে।

;