বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক প্রত্যাহার

ভেনিজুয়েলায় বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাদুরোর জয়



আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

  • Font increase
  • Font Decrease

ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বিরোধীদের বয়কট ও ভোট কারচুপির অভিযোগের মধ্যেই দ্বিতীয় মেয়াদে ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে।

গত রোববার ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি ফলাফলে মাদুরো ৬৭ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ২১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ফ্যালকন। তবে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিরোধী প্রার্থীরা। তাঁরা চলতি বছরের আরও পরের দিকে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হওয়ায় ভেনেজুয়েলার সরকারকে নিন্দাও জানিয়েছে।

মাদুরোর জয়ের প্রতিক্রিয়ায় আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও কানাডাসহ ১৪টি দেশ কারাকাস থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করেছে বলে খবর বিবিসির।

রোববারের নির্বাচনের পর দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ঘাটতিতে থাকা ভেনেজুয়েলায় এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দানের হারও খুব কম ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ওপর ‘দমনপীড়ন বন্ধে’ নতুন নির্বাচন দিতে মাদুরেরা প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এর বিপরীতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দ্বিতীয় মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় মাদুরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

‘ভেনেজুয়েলা যেসব সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি, সেগুলোর সমাধানে’ মাদুরো সফল হবেন বলেও প্রত্যাশা জানিয়েছেন তিনি।

ভেনেজুয়েলার প্রয়াত বামপন্থী নেতা হুগো চাভেজের উত্তরসূরি মাদুরো ২০১৩ সাল থেকে একসময়কার তেলসমৃদ্ধ দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উচ্চমাত্রায় মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও ওষুধসংকট, অপরাধ বেড়ে যাওয়া, বিশুদ্ধ পানিসংকট, বিদ্যুতের ঘাটতি ও যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দেশটিতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে মাদুরোর জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে।

এবারের নির্বাচনে ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে মাদুরো ৫৮ লাখ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন বলে দেশটির ন্যাশনাল ইলেকটোরাল কাউন্সিল (সিএনই) জানিয়েছে; যা মোট ভোটের ৬৭ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হেনরি ফ্যালকন পেয়েছেন ২১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট, অর্থাৎ ১৮ লাখ মানুষের সমর্থন।

ভোটের আগেই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) বেশ কয়েকটি লাতিন দেশ জানিয়েছিল, এ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিবে না তারা।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর মেক্সিকো, কলম্বিয়া, চিলি, পানামা ও পেরু কারাকাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের মাত্রা নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে বলে খবর বিবিসির।

তবে পশ্চিমাদের দিক থেকে চাপের মুখে পড়লেও মাদুরোর প্রতি সমর্থন অব্যাহত আছে চীন, রাশিয়া, এল সালভাদর ও কিউবার মতো মিত্রদেশগুলোর। ভেনেজুয়েলার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দনও জানিয়েছে তারা।

ভেনেজুয়োর সব দলকে ‘জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা’ দেখাতে আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।

   

ইসরায়েলের ৪ ব্যক্তি ও ২ সংস্থার ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের চার ব্যক্তি ও দুটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গ্লোবাল হিউম্যান রাইটসের আওতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এসব ব্যক্তি ও সংস্থা ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলো হলো-উগ্র ডানপন্থি ইহুদি আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী লেহাভা এবং পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য গঠিত উগ্র যুব দল হিলটপ ইয়ুথ। হিলটপ ইয়ুথের দুই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব মেইর এটিংগার এবং এলিশা ইয়ারেডও ইইউর নিষেধাজ্ঞায় আওতায় রয়েছেন।

এ ছাড়া পশ্চিমতীরের ওয়াদি সিক এবং দেইর জারিরে ২০২১ সাল থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করার অভিযোগে অভিযুক্ত নেরিয়া বেন পাজি এবং ফিলিস্তিনি গ্রামের বিরুদ্ধে একাধিক সহিংস কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ইয়িনন লেভির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা এসব ব্যক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সদস্য রাষ্ট্র ভ্রমণ বা এসব অঞ্চলে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না। 

এমনকি ইউরোপে থাকা তাদের সম্পদও জব্দ করা হতে পারে। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ইউরোপীয় কাউন্সিল ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ইসরায়েলিদের দ্বারা জবরদখলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। 



;

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়া কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য তৈরি করা একটি সুবৃহৎ আকারের ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ ছাড়াও একটি নতুন ধরনের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছে, ‘হাওয়াসাল-১ আরএ-৩' কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা একটি সুপার-লার্জ ওয়ারহেডের শক্তি পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন।

এ ছাড়াও, শুক্রবার বিকেলে একটি ‘পিওলজি-১-২’ এর একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও করেছে উত্তর কোরিয়া। কেসিএনএ জানিয়েছে, পিওলজি-১-২ একটি নতুন ধরণের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।

কেসিএনএ আরও বিশদ বিবরণ না দিয়ে জানিয়েছে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘এই অস্ত্র পরীক্ষা ছিল প্রশাসন এবং এর অধিভুক্ত প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।’

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে তার গভীর সামরিক সহযোগিতা থেকে উপকৃত হতে পারে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে যে ইউক্রেনে তাদের যুদ্ধের ক্ষমতা প্রসারিত করতে রাশিয়াকে আর্টিলারি শেল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া।

;

তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন হামাস প্রধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে শনিবার (২০ এপ্রিল) সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ।

ইরান এবং গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের হামলার প্রস্তুতির কথা জানানোর পর মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই তিনি এ সাক্ষাত করছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন এরদোয়ান। তবে, তিনি হামাস প্রধানের সাথে তার বৈঠকের বিষয়ে আন্তরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।

শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আমাদের এবং হানিয়ার মধ্যে আলোচ্যসূচি রাখব।’

তবে কাতার বলেছে, তারা হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তাদের ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করবে।

এদিকে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চেয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়ে বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে দোহায় পাঠান এরদোয়ান।

২০১১ সাল থেকে হামাসের একটি কার্যালয় রয়েছে তুরস্কে। ওই সময় ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্ত করার জন্য হামাস গ্রুপের জন্য চুক্তিটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছিল আঙ্কারা।

;

‘ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি যুক্তরাষ্ট্র’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন সামরিক বাহিনী শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বলেছে, ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে কথিত হামলার পেছনে তাদের বাহিনীর কোনো হাত নেই।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি।’ এতে আরো বলা হয়, ‘দেশটিতে মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছে এমন কথা সত্য নয়।’

এর আগে ইরাকের মধ্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী এবং ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে শুক্রবার রাতে বোমা হামলা চালানোর খবর পাওয়া যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এবং একজন সামরিক কর্মকর্তা শুক্রবার জানান, ক্যালসো ঘাঁটিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে সাবেক ইরানপন্থী আধাসামরিক গোষ্ঠী, বর্তমানে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে একীভূত হাশেদ আল-শাবি’র অবস্থান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই হামলায় একজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে। তবে দেশটির সামরিক সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ইরাকের তিনজন সামরিক কর্মী আহত হয়েছে।

হামলায় আহতের সংখ্যা উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে হাশেদ আল-শাবি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলায় অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এএফপি’র প্রশ্নের জবাবে, সূত্রগুলো এই হামলার জন্য কে দায়ী বা এটি একটি ড্রোন হামলা ছিল কিনা তা শনাক্ত করতে পারেনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং যানবাহনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ওই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি।

বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এগুলো ছিল সরঞ্জাম সংরক্ষণের গুদামে বিস্ফোরণ।এখনও আগুন জ্বলছে এবং আহতদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’

ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গঠিত প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট এই হাশেদ আল-শাবি এখন ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অংশ।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং তেহরানের সমর্থিত ফিলিস্তিনি যোদ্ধা হামাসের মধ্যে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

এদিকে, ইরানের ইসফাহানের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শুক্রবারের হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে তেহরান।

;