৪ বছর পর মুসলিম এমপি পেল উত্তরপ্রদেশ



নিউজ ডেস্ক

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে ভারতের লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনের আগে সোমবার (২৮ মে) ভারতের ১০টি রাজ্যে ৪টি লোকসভা ও ১০টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়। বৃহস্পতিবার (৩১ মে) ঘোষণা করা হয় ওই নির্বাচনের ফলাফল। ফলাফলে বিজেপির চেয়ে কংগ্রেস ভালো করেছে। এর চেয়ে বড় কথা- ভালো ফল করেছে বিজেপি বিরোধীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ৪ বছর পর এক জন মুসলিম সংসদ সদস্য পেল উত্তরপ্রদেশ। কৈরানা লোকসভা আসনে জয়ী হলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরএলডি) ও সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রার্থী তাবাসসুম হাসান।

উত্তরপ্রদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মুসলিম, সেই রাজ্য ৪ বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ের দাপটে এক জন মুসলিমকেও সংসদে পাঠাতে পারেনি। সে বার মুসলিম ভোট কয়েক ভাগে বিভক্ত হওয়ায় এ অবস্থা হয়। কিন্তু এবার যোগীর রাজ্যে যে দলের মুসলিম ভোটব্যাংক কংগ্রেসের পরেই বেশ জোরালো, সেই সমাজবাদী পার্টি সমর্থন করেছিলো কৈরানা আসনে দাঁড়ানো আরএলডি প্রার্থী তাবাসসুম হাসানকে। ফলে জাতপাতের সমীকরণ একপাশে ঠেলে দিয়ে তাবাসসুম হাসানের জয় স্মরণীয় হয়ে রইল।

অথচ ৫ বছর আগে এই কৈরানা রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল জাঠ ও মুসলিমদের মধ্যেকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। বিজেপির গেরুয়া ঝড়কে রুখতে সেই জেলাতেই এক জন মুসলিমকে প্রার্থী করে জাঠদের দল আরএলডি। আর এলডি প্রার্থীকে সমর্থন দিতে দ্বিধা করেনি মুসলিম ভোটব্যাংক সমৃদ্ধ সমাজবাদী পার্টি (এসপি), বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি) ও কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধীরা হাতে হাত মিলিয়ে ভোট ঢাললো এক বাক্সে। ফলে তাবাসসুম হাসান জিতলেন ৫৫ হাজারের বেশি ভোটে।

উত্তরপ্রদেশে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য তাবাসসুম হাসান প্রথম বার সাংসদ হয়েছিলেন বিএসপির টিকিটে ২০০৯ সালে। হরিয়ানায় এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তার স্বামীর মৃত্যুর পর।

২০১৪ সালের নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩টি দখল করে নিয়েছিল বিজেপি। কৈরানা কেন্দ্রটিও ২০১৪ সালে বিজেপির হাতেই ছিল। সাংসদ হুকুম সিংহের মৃত্যুতে সেখানে উপনির্বাচন হয়েছে।

   

নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে রুশ গোয়েন্দা প্রধানের উ.কোরিয়া সফর : কেসিএনএ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে ঐতিহাসিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হওয়ার প্রেক্ষিতে রুশ গোয়েন্দা প্রধান চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ কথা জানায়।

রাশিয়ার বিদেশি গোয়েদা সংস্থা এসভিআর-এর প্রধান সের্গেই নারিশকিন ২৫ থেকে ২৭ মার্চ তার সফরকালে উত্তর কোরিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রী রি চ্যাং ডে-এর সাথে বৈঠক করেন।

কেসিএনএ জানায়, কর্মকর্তারা শত্রু শক্তির ক্রমবর্ধমান গুপ্তচরবৃত্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপের মোকাবিলা করতে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়া ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়া উভয়ই বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে শীর্ষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে কিম ঘোষণা করেন, রাশিয়ার সাথে তার দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তবে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করেছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে।

এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়া জোর দিয়ে বলেছে, গত জুলাইয়ের দিকে স্থানান্তর শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ায় প্রায় ৭ হাজার কন্টেইনার অস্ত্র পাঠিয়েছে।

ওয়াশিংটন ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া বিনিময়ে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও তার সোভিয়েত যুগের সামরিক সরঞ্জাম উন্নত করার মতো সামরিক সহায়তা চায়।

কেসিএনএ'র রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ একটি বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনার টেবিলে থাকা বিষয়গুলোর ওপর সম্পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

;

নিরস্ত্র ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা, বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিল ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরস্ত্র ২ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ বালুচাপা দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সৈকতে ২ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তাদের একজনকে বারবার সাদা কাপড়ের টুকরো নাড়তে দেখা যায়। কিন্তু কোনো হুমকি সৃষ্টি না করলেও ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে তাদের হত্যা করে। পরে গাজা শহরের কাছে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, এটা ইসরায়েলি বাহিনীর ফ্যাসিবাদ, অপরাধের মাত্রার আরও একটি প্রমাণ যা জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।

 

;

ইসরাইলের হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতাসহ নিহত ৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহ বাহিনীর নেতাসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) দেশটির নিরাপত্তা সূত্র সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে এ তথ্য জানায়।

নিরাপত্তা সূত্র এবং লেবাননের সরকারি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সীমান্তবর্তী গ্রাম তাইর হারফায় হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সীমান্ত শহর নাকুরায় একটি রেস্তোরাঁয় হামলায় অন্তত আরও তিনজন নিহত হন।

ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ বলেছে, একদিন আগে দক্ষিণ লেবাননের হেব্বারিয়েহ গ্রামে ইসরাইলি আকাশ পথের হামলার পাল্টা হামলা হিসেবে বুধবার ভোরে উত্তর ইসরাইলের কিরিয়াত শমোনা সীমান্তে তারা কয়েক ডজন রকেট ছুড়েছে।

ইসরাইলের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কারখানার এক কর্মী নিহত হয়েছেন। রকেট হামলার আগে এলাকাটিতে সতর্ক করে সাইরেন বাজানো হলেও প্রাণহানি এড়ানো যায়নি।

কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহর হামলার পর ইসরাইল ফের দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কথিত লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালায়।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ পরস্পরের দিকে গোলাবর্ষণ করে আসছে।

 

;

গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে: জাতিসংঘের সতর্কতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল হামাস যুদ্ধে কয়েক মাস সতর্কতার পর সম্প্রতি পরিসংখ্যানগত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় মানবিক বিপর্যয় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে।

এ প্রতিবেদন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তাদের প্রতি আইনী দায়িত্ব পালনের জন্য ইসরায়েলের উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। এটি গাজায় যাদের প্রয়োজন মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহের জন্য অনুমতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বিবিসি-র এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য দোষ করেছে। এর একটা প্রমাণযোগ্য ঘটনা হলো ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে অনাহারকে ব্যবহার।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের এ অভিপ্রায় প্রমাণিত হলে তা হবে যুদ্ধাপরাধ।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির একজন  জেষ্ঠ্য রাজনীতিবিদ ও ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নির বারকাত জাতিসংঘের এ সতর্কবার্তাকে ‘অর্থহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন জিনিস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বারকাত জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্বের সমস্ত সহায়তা দিতে দিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি হামাস সহায়তা না করায় ত্রাণ বিতরণে জাতিসংঘকে করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তবে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়ম, গাজা উপত্যকায় পাঠানো প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বোঝাই লরিগুলোর দীর্ঘ লাইন রাফাহ সীমান্তের মিশরীয় দিকে নিদারুণভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জটিল ও আমলাতান্ত্রিক ধারাবাহিক তল্লাশির পরই তারা কেবল ইসরায়েলের মধ্য দিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে পারে।

স্থলপথে পর্যাপ্ত সরবরাহ না করতে পেরে জর্ডান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য সহায়তাকারী দেশগুলোকে আকাশপথে ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে।

বিমান থেকে প্যারাসুটে পাঠানো ত্রাণসহায়তা নিতে স্থলভাগে থাকা ফিলিস্তিনিরা ভিড় করছেন। এমনকি সাগরে পড়া খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে মারাও যাচ্ছেন।

মার্কিন নৌবাহিনী সমুদ্রপথে স্থল সাহায্যের জন্য একটি অস্থায়ী পিয়ার তৈরি করতে আটলান্টিক জুড়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্লোটিলাও পাঠাচ্ছে।

ইসরায়েল যদি গাজায় সম্পূর্ণ রাস্তার প্রবেশাধিকার দেয় এবং গাজা স্ট্রিপের উত্তরে প্রায় আধা ঘণ্টার পথের দূরত্বে আশদোদের আধুনিক কনটেইনার বন্দরের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ ত্বরান্বিত করে তবে আকাশপথ ও জলপথে সহায়তা পাঠানোর প্রয়োজন হবে না।

জেনেভায় এক সাক্ষাত্কারে তুর্ক বলেছেন, ইসরায়েল সাহায্য সরবরাহের গতি কমিয়ে দিচ্ছে বা আটকে রেখেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বেসামরিক ও সৈন্যদের ওপর হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে তুর্ক বলেন, যুদ্ধে কোনও পক্ষই গাজায় প্রয়োজন এমন লোকদের কাছ থেকে সাহায্য সরবরাহ বন্ধ করার যে কোনও প্রচেষ্টা সহ তার ক্রিয়াকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াবে না।

তিনি বলেন, আমার সমস্ত মানবিক সহকর্মীরা বলেছেন গাজা সহায়তায় অনেক বাধা রয়েছে। যা ইসরায়েলকে উল্লেখযোগ্য উপায়ে দোষ দেওয়া হচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে গত সপ্তাহে মানচিত্র, চার্ট এবং পরিসংখ্যানের পাশাপাশি স্বচ্ছ লিখিত মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরায়েলের মিত্ররা আরও সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, এটি উচ্চ বিস্ফোরক বা ক্ষুধা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত।

অধ্যয়নটি একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ শ্রেনি বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদন, যা আইপিসি নামে পরিচিত। এটি সরকার, জাতিসংঘ এবং সাহায্য সংস্থাগুলিকে ক্ষুধার মাত্রা পরিমাপের জন্য অরাজনৈতিক তথ্য সরবরাহ করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল - ‘গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। ১.১ মিলিয়ন মানুষ বিপর্যয়কর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে।’

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি না হলে এবং ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছালে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো সময় দুর্ভিক্ষ কীভাবে আসতে পারে তা এর তথ্য ব্যাখ্যা করেছে।

বিবিসির সাংবাদিক গাজার একটি হাসপাতালে এক তরুনীকে বিছানায় অর্ধ-সচেতন অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে। নুরা মোহাম্মদ নামের মেয়েটির ফুসফুস এবং লিভারের ফাইব্রোসিস রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক মাস অনাহারে থাকা এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

নুরা মোহাম্মদ গাজার একটি হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না

নুরা মোহাম্মদের মা বলেন, আমার মেয়ে নড়াচড়া করতে পারে না। সে অ্যানিমিক, সবসময় ঘুমায় এবং তাকে খাওনোর মতো পুষ্টিকর কিছুই নেই। নুরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলেও এক মিলিয়নেরও বেশি গাজাবাসীর বেশিরভাগেরই কোনো বিকল্প নেই।

বিবিসি জানায়, গাজার মানবিক বিপর্যয়ের প্রমাণ অপ্রতিরোধ্য। হাসপাতাল থেকে তোলা ছবিগুলোতে ফোলা জয়েন্ট, ক্ষয়প্রাপ্ত অঙ্গ এবং ডার্মাটাইটিসসহ শিশুদের তীব্র অপুষ্টির সমস্ত ক্লাসিক লক্ষণ দেখা গেছে।

এদিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে ইসরাইল। ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নীর বারকাত বলেছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য হামাসকে ধ্বংস করা এবং ৭ অক্টোবর জিম্মিদের মুক্ত করার পথে কোনো কিছুই বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মিত্ররা ইসরায়েলের কৌশলগত লক্ষ্যকে সমর্থন করেছে। আমরা মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, এবং আমরা হামাসকে মানচিত্র থেকে শেষ না করা পর্যন্ত বিশ্ব আমাদের মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনার একটি সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমি তাদের বলতে পারি যে একটি উদীয়মান আন্তর্জাতিক ঐকমত্য রয়েছে। মানবিক পরিস্থিতির বিষয়ে এই সপ্তাহের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে এটি এখন স্পষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবাধিকার পরিস্থিতি এতটাই মর্মান্তিক যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এটাই আমার প্রতিক্রিয়া।

;