ভারতে এনজিও’র ওপর নতুন বিধিনিষেধ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে বিদেশি ফান্ড নিতে সব এনজিও’র ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রজ্ঞাপনে বৈদেশিক কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) বিধি-২০১১ পরিবর্তন করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এনজিওগুলোর বিদেশি তহবিল পাওয়ার জন্য, তাদের সমস্ত কর্মচারী এবং আধিকারিকদের সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নতুন নিয়ম অনুসারে কোনো এনজিও  কাউকে ধর্মান্তরিত করেনি, কোনো এনজিওকে ধর্মান্তরের জন্য বিচার করা হয়নি বা দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।

অন্যদিকে যে কোনো ব্যক্তি এক লাখ রুপি ব্যক্তিগতভাবে ফান্ডে নিতে পারবেন। এজন্য তার ঘোষণা করার দরকার নেই। এর আগে, ২৫ হাজার টাকার বেশি অর্থ নিলেই ঘোষণা করতে হতো।

প্রজ্ঞাপনে প্রতিটি এনজিও’র ‘অফিসার, মূল কর্মী এবং সদস্যদের’ এ বিষয়টি নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যে একটি বিশ্বাস থেকে অন্য বিশ্বাসে ‘রূপান্তর’ করার জন্য এবং ‘সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও বৈরাগ্য সৃষ্টি’ করার জন্য তাদের কারো বিচার করা হয়নি বা কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।

এর আগে, কেবলমাত্র পরিচালক বা বিদেশি তহবিল প্রাপ্তির অনুমতি চেয়েছেন এমন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের এ জাতীয় ঘোষণা দিতে হতো। বিগত পাঁচ বছরে মোদি সরকার বিদেশি তহবিল প্রাপ্ত এনজিওগুলোর জন্য নিয়মকানুন এবং পদ্ধতি কঠোর করেছে।

এছাড়াও এখন থেকে কেবল আবেদনকারীই নন, এনজিও’র প্রতিটি সদস্যকে অবশ্যই অঙ্গীকার করতে হবে যে তারা কখনও বিদেশি তহবিল অন্য খাতে ব্যবহার করবেন না এবং সহিংসতার পক্ষে কোনো প্রচারের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন না।

নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বিদেশ সফরের সময় কোনো মেডিকেল জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে সরকারকে এক মাসের মধ্যে এনজিও সদস্যকে ওই দেশের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানাতে হবে। সদস্যকে তার চিকিৎসা বা অবস্থানের তহবিলের উৎস, ভারতীয় টাকায় কত খরচ হয়েছে, তার মান, যে পদ্ধতিতে অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে, তার বিবরণ দিতে হবে। আগে, এ বিবরণ দুই মাসের মধ্যে দেওয়া যেত।

নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রায় ১৮ হাজার এনজিও থেকে বিদেশি অনুদান গ্রহণের অনুমতি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৫৬টি এনজিও বিদেশি তহবিল গ্রহণ করতে পারে না, কেননা তাদের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে।

   

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে সবকিছু ঝলসে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে এবং লোকজনকে বাইরে থাকার বিষয় সতর্কতা জারি করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চ, এপ্রিল ও মে সাধারণত ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উষ্ণ ও শুষ্কতম মাস। তবে এই বছর এল নিনোর আবহাওয়ার প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

ম্যানিলার দক্ষিণে ক্যাভিট প্রদেশের একটি সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে কাজ করেন ৬০ বছর বয়সি এরলিন তুমারন।

তিনি বলেন, ‘এত গরম যে, আপনি নিশ্বাস নিতে পারবেন না।’ রিসোর্টটিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাপ সূচক ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

এরলিন তুমারন বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, আমাদের পুলগুলো এখনও খালি। এই গরমে আপনি আশা করতে পারেন যে, লোকেরা এসে পুলগুলোতে সাঁতার কাটবে। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা গরমের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে নারাজ।’

দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুধবার অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আনা সোলিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তাপ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোলিস এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের বাইরে কাটানো সময় সীমিত করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও টুপি ব্যবহার করতে হবে।’

সোলিস বলেন, এল নিনোর কারণে ‘চরম তাপ’ দেশের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করছে। দেশটির প্রায় অর্ধেক প্রদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে খরায় রয়েছে।

অ্যাপাররি উত্তর পৌরসভায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

;

ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা ও টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়া সহায়তা বিল এবং টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির সিনেটে বিলগুলো অনুমোদনের পর এটি অপেক্ষায় ছিল বাইডেনের স্বাক্ষরের। অবশেষে তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো চূড়ান্ত আইনে পরিণত হলো।

অনুমোদিত টিকটক বিলের শর্তে বলা হয়েছে, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নয়তো এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট।

এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী মনে করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া বিদেশি সহায়তা প্যাকেজে ইসরায়েলে সামরিক ও গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্র তাইওয়ানের জন্য ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসিত চীনকে মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

;

‘ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তান সফরকে উদ্দেশ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, রাইসির সফরে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে আটটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) ইসলামাবাদে আকস্মিক সফরে আসেন রাইসি। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে রাইসি পাকিস্তান সফর করেন।

গত সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই রাইসির এ সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, ইসলামাবাদ সফরে এসে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন রাইসি। তিনি বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

রাইসির পাকিস্তান সফর ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্বাক্ষর সই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকির কথা বলেন।

ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিই। তবে পাকিস্তান সরকার তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কথা জানাতে পারে।’

গত সপ্তাহে চীন ও বেলারুশের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, কারণ সেসব এমন উপকরণ ছিল, যা গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।

;

লোকসভায় এনডিএ জোট ২২০টা আসনও পাবে না: কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স) জোট জাতীয় সংসদের লোকসভায় ২শ ২০টা আসনও পাবে না।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এনডিটিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিদ্দারামাইয়া এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রার্থী হবেন না জানিয়ে বলেন, আমার প্রার্থী না হওয়ায় ইন্ডিয়া ব্লক কোনো বেকায়দায় পড়বে না।

তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন যখন মাত্র আর দুদিন পর ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের ২৪টিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।

সিদ্দারামাইয়া বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লক লোকসভায় ৪শটি আসনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে লড়ছে। তবে এনডিএ জোট ২শ ২০টি আসনও পাবে না। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেননি।

এ সময় এনডিটিভিকে তিনি বলেন, বিজেপি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার দল জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) জোটে দেবগৌড়া একজন ‘অপবিত্র’।

 

;