ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর উৎসবে সংঘর্ষ, নিহত ৩



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে রবিবার থেকে, তাতে অন্তত দুজন মারা গেছেন। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ যেমন হয়েছে, তেমনই ভাঙ্গা হয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মৌলানা আবুল কালাম আজাদের মূর্তিও। বিজেপি ও তাদের সহযোগী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো যেমন অস্ত্র হাতে মিছিল করেছে, তেমনই ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও এবারে নেমেছিল পাল্টা রামনবমী পালন করতে। পশ্চিম বর্ধমানের রাণীগঞ্জ শহরে হিন্দু আর মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে রামনবমী পালনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পরে এখনও সেখানে পরিস্থিতি থমথমে। গোটা শহরেই ১৪৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও বিক্ষিপ্ত উত্তেজনা আজও ছড়িয়েছে। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ বাহিনী সহ পুলিশের বিরাট দল এলাকায় টহল দিচ্ছে। রবিবার থেকে রামনবমী পালন করা নিয়ে রাণীগঞ্জ ছাড়াও পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর চব্বিশ পরগণাতেও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে। রাজ্য জুড়েই বিজেপি ও তাদের সহযোগী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো তলোয়ার, ত্রিশূল, কাটারির মতো চিরাচরিত অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে। এই উগ্র অস্ত্র প্রদর্শন করে রামচন্দ্রের জন্মতিথি রামনবমী পালনের চল পশ্চিমবঙ্গে একেবারেই নতুন। রামনবমী আগেও পালিত হত, তবে তা থেকেছে মূলত পারিবারিক স্তরে। পুরাণ বিশারদ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী বলছিলেন, তাদের বাড়িতে কীভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। "দুর্গা পুজো বা কালীপূজোর মতো রামনবমী কোনও কালেই বারোয়ারি উৎসব ছিল না পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু তা বলে কি এখানে রামনবমী পালন করা হত না? আমাদের বৈষ্ণব বাড়ি। ছোট থেকেই দেখেছি সারাদিন উপবাসের পরে সন্ধ্যায় রামকথা পাঠ হত, কীর্তন হত। এটাই প্রচলিত প্রথা ছিল। কিন্তু এই দুবছর ধরে রামচন্দ্রে যে রুদ্ররূপ সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে, অস্ত্র নিয়ে আস্ফালন কোনও রামায়ণেই বর্ণিত নেই। রামের এই চেহারা একেবারে অপরিচিত," বলছিলেন নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী। বিজেপি আর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর এই অস্ত্র প্রদর্শন করে রামনবমী পালনের পিছনে যে রাজনীতি রয়েছে, তা স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ভিত শক্ত করতে আর মাস কয়েক পরের পঞ্চায়েত ভোটে হিন্দু ভোট একজোট করার লক্ষ্যেই এই রাজনীতি করছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো - এমনটাই মত তাদের। রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভাশিষ মৈত্র বলছিলেন, "একটা স্পষ্ট ডিজাইন দেখা যাচ্ছে, যেটা উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগেও হয়েছিল। নির্বাচনের মূল ইস্যুগুলোকে পেছনে ঠেলে দিয়ে ধর্মকে সামনে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা - যা দিয়ে মানুষকে মাতিয়ে দেওয়া সহজ। সমস্যাটা হচ্ছে বেশীরভাগ মানুষেরই তো রামায়ণ পড়া নেই, তাই তাদের যা বোঝানো হচ্ছে, তাই বুঝছে তারা।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে উদ্ধৃত করে মি. মৈত্র বলছিলেন, "উনি একটা যথার্থ কথা বলেছেন। রামচন্দ্র বা তার ভক্তরা কি পকেটে পিস্তল নিয়ে ঘুরে বেড়াত। অথচ এখন তো দেখা যাচ্ছে যে রামভক্তদের হাতে তলোয়ার, পকেটে কারও পিস্তল, আবার তারা বোমাও ছুঁড়ছে।" নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী বলছিলেন, "নাবালকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে যা করা হচ্ছে, তা তো একেবারে জঙ্গীপনা!" গত বছর শুধু হিন্দুবাদী সংগঠনগুলোই রামনবমীর দিনে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছিল। কিন্তু এবারে তাদের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সব এলাকায় রামনবমীর পাল্টা মিছিল করেছে - যদিও তাদের হাতে অস্ত্র ছিল না। কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বিমল শঙ্কর নন্দ বলছিলেন, "সর্বভারতীয় স্তরে রামের নামে যে ভোট হয়, রাম যে ভোট টানতে সক্ষম, সেটা আগেই দেখা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও এখন রাম নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। এতদিন শুধু বিজেপি এটা করত, এখন তো দেখছি তৃণমূল কংগ্রেসও সেই পথেই পা বাড়ালো। হয়তো তারা ভাবছে যে রাম নিয়ে রাজনীতির ময়দানটা শুধু বিজেপি কে ছেড়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না।" রামনবমীর দিনে অস্ত্র প্রদর্শন নিয়ে মি. নন্দ বলছিলেন, "এটা কনসেপ্ট অফ ডিফায়েন্স - যা বহুকাল ধরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো করে আসছে। সরকারী নির্দেশ অমান্য করার মনোভাব।" তৃণমূল কংগ্রেস কেন হিন্দুত্ববাদীদের টেক্কা দিতে গিয়ে রামনবমী পালন করতে গেল, তা নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়েছে। বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ থেকে শুরু করে নানা বুদ্ধিজীবী আর বামপন্থী দলগুলো বলছে ক্ষমতাসীন দলের এই রাজনীতিতে নামাটা অনুচিত হয়েছে। অন্যদিকে অস্ত্র নিয়ে মিছিলের করতে কেন দিল পুলিশ তা নিয়েও যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে পারে এটা আগে থেকে বোঝা গেলেও তা আটকাতে কেন ব্যর্থ হল প্রশাসন তা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে।
   

স্থায়ী সংঘাতে রূপ নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা: তুরস্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের উত্তেজনা বৃহত্তর স্থায়ী সংঘাতে রূপ নিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে তুরস্ক। উভয় দেশকে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, চলমান উত্তেজনা বৃহত্তর সংঘাতে গড়াতে পারে। 

সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি ও বার্তাসংস্থা এপির পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলেছে, সর্বশেষ পরিস্থিতির আলোকে চলমান উত্তেজনা স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হচ্ছে। দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলের বেআইনি হামলার মাধ্যমে এই উত্তেজনার সূচনা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় গুরুত্বারোপ করে বলেছে, গাজায় সংঘাত বন্ধ এবং একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

;

ইসরায়েলকে ১৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি প্রদর্শনের জন্য ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল তার মোট অস্ত্র সহায়তার ৬৮ শতাংশই পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। সম্প্রতি সংঘাতময় মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে দিতে ইসরায়েলের কাছে আরও ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ভারী সমরাস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরই মধ্যে নতুন করে ইরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে মার্কিন মদদপুষ্ট রাষ্ট্রটি। সব মিলিয়ে এই মূহুর্তে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতেও ইরানের ইস্পাহান শহরে পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে শুধু অস্ত্রই নয়, আর্থিক ও নৈতিক সব ধরনের সমর্থনই তারা মূলত পেয়ে থাকে মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকেই।

শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন আরেকটি অস্ত্র চুক্তি করার কথা বিবেচনা করছে। এই চুক্তির আওতায় অস্ত্র সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক যান ও ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মর্টারের গোলা পাবে ইসরায়েল।

ইসরায়েলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে এরপরের স্থানটিই জার্মানির। মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি চর্চার জন্য ইসরায়েলের মোট চাহিদার আনুমানিক ৩০ শতাংশ অস্ত্রই সরবরাহ করা হয় জার্মানির পক্ষ থেকে। বাদবাকি মাত্র দুই শতাংশ অস্ত্র তারা পায় ব্রিটেন, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর কাছ থেকে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং অবশ্য সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তার দেশ অস্ত্র সরবরাহ করেনি ইসরায়েলকে।

;

ভারতে প্রথম দফায় ভোটের হার ৬০%



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয়। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় রেকর্ডসংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবগুলো আসন মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভোট হয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, আন্দামান-নিকোবর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি, সিকিম, লাক্ষাদ্বীপসহ মোট ২১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।

প্রথম দফার ভোটে প্রায় ২ হাজার প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা করবেন ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ভোটার। এরমধ্যে তরুণ ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৫১ লাখ। আর প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার। প্রথম দফায় মোদি সরকারের ছয় শীর্ষ মন্ত্রী ছাড়াও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে।

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে মূল লড়াই হতে যাচ্ছে। জোটগতভাবে ৪০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ। আর এককভাবে ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে জোটটির মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার লোকসভা আসনে। স্থানীয় শীতলকুচি এবং মাথাভাঙ্গায় সকাল থেকেই বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করছে ভারতীয় গণমাধ্যম। আর বরাবরের মতোই সহিংসতার জন্য দায় একে অপরের কাছে চাপিয়েছেন রাজ্যের দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সাতটি ধাপে মোট ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোট দেবেন। ভোটারের এই সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগেরও বেশি।

দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। পরবর্তী ধাপগুলোর ভোট হবে যথাক্রমে, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

;

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৪ হাজার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৪ হাজারে। গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ৬৩ জন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরাইলে হামলা চালায় ইরান। এর প্রতিত্তোরে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য আলোচিত শহর ইসফাহানে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।

এমন পরিস্থিতিতে গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৪ হাজারে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৪ হাজার ১২ জন নিহত হয়েছেন। এসময়ে আরও ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন আহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জনে। এছাড়াও গাজায় কয়েক ডজন ইসরায়েলি নাগরিক বন্দী রয়েছে।

;