রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান আবারো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
আবারো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। আগাম নির্বাচন দিয়ে ৫৩ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদন্দ্বী সেকিউলার রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মুহাররম ইনস পান ৩১ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আরো ক্ষমতাধর হলেন এরদোগান। সংবিধান সংস্কারের পর এখন থেকে আর প্রধানমন্ত্রী পদ থাকছে না। মন্ত্রী ও বিচারপতি নিয়োগের পাশাপাশি নির্বাহী ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট নিজেই ডিক্রি জারি করতে পারবেন। এতে করে কখনো প্রধানমন্ত্রী আবার কখনোবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় টিকে রইলেন এরদোগান।
জয়ের পর এক বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, জনগন আমাকে প্রেসিডেন্ট এবং কার্যনির্বাহী বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি তাদের সেই বিশ্বাস রাখবো।
এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তুরস্ক বিশ্ববাসীর কাছে গণতন্ত্রের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও মন্তব্য করেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। এসময় বিপুল সংখ্যক মানুষ তাঁকে সংবর্ধনা দেন। উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁর ভক্ত সমর্থকরা।
এদিকে, পার্লামেন্টারি ভোটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এরদোগানের একে পার্টি এবং এমএইপি পার্টি সমন্বয়ে গঠিত পিপলস অ্যালায়েন্স।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ছয়জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নেন। মূল প্রতিদন্দ্বীতা হয় সেকিউলার রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) নেতা মুহাররম ইনস’র সাথে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল:
রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান: ৫২.৫ শতাংশ
মুহাররাম ইনস: ৩০.৮ শতাংশ
মিরাল আক্সিনাার: ৭.৪ শতাংশ
সেলাহাত্তিন ডিমিরতাস: ৮.১ শতাংশ
পার্লামেন্টারি নির্বাচনের ফলাফল:
পিপলস অ্যালায়েন্স (একে পাটি এবং এমএইচ পি): ৫৩.৬ শতাংশ
ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (সিএইচপি এবং আইওয়াইআই): ৩২.৮ শতাংশ
এইচডিপি: ১১.১ শতাংশ
এতে করে পার্লামেন্টের ৬০০ আসনের মধ্যে একে পাটি ২৯৩ এবং এমএইচ পি ৪৯ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্টতা পায়। আর সিএইচপি পায় ১৪৬, আইওয়াইআই ৪৫ এবং এইচডিপি ৬৬ আসন।
এবারই প্রথমবারের মতো তুরস্কে একই সাথে প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টারি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্ক জুড়ে এক লাখ ৮০ হাজার ব্যালট বক্সের মাধ্যমে ৫ কোটি ৬০ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।